Posts

বিবাহিতা

আজ সকালে একটা গাড়ি এসেছে আমার বাসা উত্তরায় , গাড়িতে একটা অর্ধ মৃত ছেলে খুব হ্যান্ড সাম এবং এর সাথে দেখা যাচ্ছে আমার জামাই আবু আহমেদ ভুইয়া। জামাইকে নাকি নাম বলে ডাক দিতে নাই এই শিক্ষা আমার শাশুড়ি আম্মার । আমি আসলেই সেই চিন্তা করে দেখি নাই এখন পর্যন্ত তবে এর ভেতরে আমার জামাই আমার দিকে ইশারায় বুঝাতে চেষ্টা করছেন আমার আম্মার সামনে এই ভাবে ডাক দিবা না! কে শুনে কার কথা। ব্যাকডেটেড চিন্তা কে বাদ দিয়ে আমি তাকে জান বলে ডাক দেই! সে জিহবায় কামড় দেয় মেয়েদের মত! আমি তাকাই আছি! আমি কি করলাম! আমি ত হালাল উপায়ে বিয়ে করে কি ভুল করলাম! এর পরে শাশুড়ি আম্মার গো গো শব্দে বলতে শুনাচ্ছেন আমাকে এই সব বিদেশি শিক্ষায় শিক্ষিত মেয়ে বাড়ির বউ হবার উপযুক্ত ? বাবা তোরে আমি আগেই বলসিলাম এরকম ফার্স্ট মাইয়া বিয়া করিস না বাজান ,মান ইজ্জত কিচ্ছু থাকবে না। আমার জামাই মাথা নিচু করে হু বলে আর ভেতরে এসে হাসছে আর বলছে তোমার তো বেশ সাহস! সে মুহুর্তে আমি জিগেস করি আচ্ছা আমার কথা ছাড় অই যে অর্ধ মৃত একজন কে ধরে এনেছ অইটা কে ? সে জানায় তার এক বন্ধুর ভাই সুই সাইড করতে গিয়েছিল পুলিশ কেসের ভয়ে তারা এখানে আমার কাছে এসেছে সাহায্যর জন্য

বঙ্গাসন—গুরুজী

Image
বইসে বইসে কি কর ? মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে আজম সাহেব ,সারাদিন ত টিভির সামনে বসেই থাক কাজ কর্ম কিছু কর? আতিকা বেগম কোন উত্তর না দিয়ে রান্না ঘর থেকে এক টা বেলুন এনে জামাইকে দেখিয়ে বলছেন নিজের দিকে তাকিয়ে দেখ যে কি রকম হইস। আমি না হয় বসেই থাকি কিন্ত একটা ব্যায়াম করি নাম বঙ্গাসন ।নিজে যে ২৪ ঘন্টা ফোন আর ল্যাপ্টপে থাক এবং নড়া চড়া কর না আমি ত বেচে থাকব তুমি ই নাইই হই যাবা । শুনে আজম মিয়া চোখ লাল করে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন , ও তুমি তাহলে চাও আমি মারা যাই?? স্ত্রী এক দম শান্ত ভাবে বলেন তুমি মারা যাও অই কথা কিন্তু বলিনি বলেছি চেয়ার এ বসে না থেকে একটু হাটা হাটি কর আর ঘুরা ফেরা কর যাতে মরে ভুত হয়ে আমার কাধে আসা না লাগে , আমি বাপু তোমার মউতের জন্য বসে থাকব না উলটা বিয়ে শাদি করব কারন একা থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। স্ত্রীর এহেন কথা শুনে তিনি যার পরনাই ক্ষেপে যান আসলে পুরুষ মানুষ এর ভাল বাসা রাগ দেখিয়েই প্রকাশ পায় এই টা বাঙ্গাল পুরুষের সবভাব কিন্তু আজকের কাহিনিরে যা দেখা গেল তাতে আজম সাহেব সন্দেহ করে বলছেন এর মানে তুমি কি কারো সাথে প্রেম করছ নাকি ? মুচকি হেসে আতিকা বলেন হ্যা করবই ত যদি না তুমি

কুয়াশা

শীতের রাত , আজম আর মালিকা দুই জন প্রেমিক প্রেমিকা এক সাথে পালিয়েছে বাড়ী ছেড়ে। কুয়াশা রাত। রাতের অন্ধকারে দৌড় দিয়ে যাচ্ছিল তারা হঠাত তারা একটা সাদা জিন দেখে যেটা মাঝ রাতে এক তাল গাছ থেকে আরেক তাল গাছে নিজের পা ছড়িয়ে ঘুম দিচ্ছিল মালিকার হাতে তাবিজ ছিল এর জন্য সে ভয় পাই নাই কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আজম আক্রান্ত হয়ে যায় এবং সকাল বেলা তাকে তাল গাছে পাওয়া যায়। গ্রামের এক দল কাঠুরে সকালে তাকে উদ্ধার করে সখিপুরা গ্রামে নিয়ে যায় এবং সেইখানে এই ঘটনা প্রকাশ পায় এবং আমি সেই যাত্রায় বেচে যাই কিন্ত এখন আজকে দুই বছর পর আমার বাসা তে এক লোক সাদা আলখাল্লা পড়া চলে আসছে। আমি সামিনা পেশায় শিক্ষিকা ,একটা হাই স্কুলে পড়াই। আমি আমার বাপের বাড়িতে থাকা কালিন এই ভয়ানক ঘটনার সম্মুখিন হয় তারা। এর পর এর ঘটনা আমরা আর কেউই জানিনাই ।আমরা গ্রাম থেকে ফেরার পরে শুনেছিলাম আজম পাগল হয়ে গেছে এবং তার চিকিৎসা চলছে আরেক দিকে মালিকা জানা নাই সে কই হারিয়েছে। আজকে আমার বাসায় এই অচেনা ব্যাক্তির আগমন আমাকে ভয় পাইয়ে দিলেও আমার বাড়ি ঘর বন্ধ আছে । যাদু করেও আমাকে কেউই ক্ষতি করতে পারবে না। তবু ভয় করছে ।একে সাথে নিয়ে আসছে আমার জামাই আবির

Muslim(মুসলিম)

afifa was watching tv , she loves to watch tv. her father is a imam in a masque suddenly she saw her fatehr came home with a beautiful woman . she and her mom was totally shocked! they both were wanted to know why her father need a new wife. Hi i am shearley marrie from bbc desk.. this is our story .. muslim woman are not capable to say anything if there husband marry another lady! ২০২৩,ইংল্যান্ডের ম্যা্ন চেস্টারে বসে আফিফা এবং তার মা কাউচে বসা দেখ লেন এই কাহিনি। তিনি রীতিমত বিরক্ত বিবিসির এই খবরে আর আফিফার দিকে তিনি তাকিয়ে আছেন সে কি বলে । আফিফা কিছুই না বলে তার ঘরে চলে যায় এতে আফিফার মা আরো বিরক্ত হন । তিনি বুঝতে চাইছেন তার মেয়ে কি এই ব্যাপারে কিছুই বলবে না। আসলে ভিডিও টা একটা বানানো , আফিফা এবং তার মা এবং তাদের এক ভাই বর্ত মানে ম্যান চেস্টারে থাকে। বিবিসির এই বার্তা আজ থেকে ৩০/৪০ বছর আগের। সব চেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল আফিফার এই ভিডিও টা করা হয় অন্যত্র বসে যখন তার বাবা আরেক বিয়ে করে সময় তখন ৭০ এর দশক , আফিফার বাবা বিহারি মা বাংগালি। আর এই ভিডিও করেছিল তার এক আত্নীয় যে কিনা আমেরিক

dipaboli

এই দিপু এই দিপু আরে উঠ আজ তো দীপা বলি। সকাল থেকেই হাকডাক , জগন্নাথ মন্দিরে আজকে পুজো দিতে যেতে হবে। সবাই উঠে স্নান করেই দৌড়ে যেতে শুরু করল। শ্রী হরিদাশ চন্দ্র এর বাড়িতে আজকে অনেক তাড়াহুড়ো চলে , সবাই ব্যস্ত। কারন আজ দীপাবলি। দীপ জবালানো থেকে শুরু করে নানান কর্ম যজ্ঞ, পাশের গ্রাম মোস লেম পুর। সেইখানের মুসল মান পাড়ার লোক জন আসে দেখতে পুজা। সবাই খুব আনন্দে আছে আজকে। সেজেছে বেশ। মন্দিরে ব্রাক্ষন যখন মন্ত্র পাঠ করেই যায় সবাই মন দিয়ে শুনে পূজো দেয় কিন্ত দীপুর কোন খবর নেই তখনো। সে সবে ঘুম ছাড়িয়ে উঠে মায়ের দিকে তাকায়। দেখে মা রান্নার ঘরে ব্যস্ত। দীপাবলি সব চেয়ে আদরের মেয়ে। দীপাবলির বাবা একজন ব্যবসায়ি , বাড়ি কক্স বাজার সদরে, চট্টগ্রাম শহর থেকে দূরে এই ছোট্ট শহর কক্স বাজারে অনেকেই ব্যবসা করেন, দীপাবলির জন্মের পরে তার মা অনেক মানত করেই এই মেয়েরে জন্ম দিয়েছেন। কারন তারে মেয়ের শখ। দীপাবলি রা আট ভাইবোন । যাহোক আজ দীপাবলি। সে তার মায়ের নতুন শাড়ী কেড়ে নিয়ে পড়ে বসে আছে। এর মাঝে এই ব্রাক্ষন জাতের কাছাকাছি কেউ ঘেষে নাই কারন সমাজে তাদের নাম ডাক। অনেক মা নুষ আসেন দীপাবলির বাড়ীতে। সেদিন ও এসেছিল। কিন্ত... স

রাতের পাখি

রাত ২টা। চট্টগ্রাম রেল এলাকা। ঘুটঘুটে আধার। কারও পক্ষেই এর ভেতর দিয়ে গিয়ে বাসা পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব না। সেই মুহুর্তে কিচছু না দেখা যাওয়া অন্ধ কারে হঠাত কেউ যেন চেপে ধরে আসলাম সাহেব কে । ছুরি ধরে সব নিয়ে যায়। আসলাম সাহেব সউদি আরব থেকে আজকের রাতের ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তার বাড়ি চট্টগ্রাম এ। তিনি আরবি মেয়ে বিয়ে করে সউদি সেটেল্ড। আবার দেশেও উনার এক বউ আছেন। যাহোক এই মুহুর্তে তার যা খোয়া গেল এর জন্য তিনি মোটেও প্রস্তু্ত ছিলেন না । রীতি মত খাস চাটগাইয়া ভাষায় যত গালি আছে সব দিলেন। তিনি এই বারে দেশে এসে রেলে চড়ার কারন তিনি শুনেছেন দেশে রেল এর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে তাই তিনি ও দেখতে চেয়েছেন কেমন হল উন্নতি। পুরাই আরবি তে ও কিছুক্ষন গালি দিলেন । এরপর তার ভেতর পকেট এর থেকে চশমা আর টাকা বের করে কো ন মতে বাসায় ফেরেন । বাসায় ফিরে এসে নিজের পুরান বউকে দিলেন গালি মানে আসার পর থেকেই গালিই চলছে ব্ৃষ্টির মত থামা থামি নাই। কিছুক্ষন আরবি ভাষায় আর কিচছুক্ষন বাংলায় আবার কতক্ষন বাঙ্গআরবিও চলে বাংলিশ এর মত। এরকম গালি কে কাউন্টার দিতে হঠাত উনার ৮ বছরের পুত্র হামিদ কায়সার আরবি তেই বাপকে উত্তর দিতে শুরু করে। আসল

নামহীনা

কি লিখব জানিনা, বুঝাতেও পারব না আমি আসলে কিভাবে ভাল বাসি তোমাকে। আমি শুধুই জানি আমার ভাল বাসা আর আমার অসুস্থতা এই দুইয়ের মাঝে যে কোন একটা বেছে নিতে হবে। জানিনা আমি তোমাকে কতটা পরম মমতায় ভেবেছি।আমি জানিনা তোমাকে কতবার ভুলে যেতে চেয়েও ভুলে যাইনি। আমি শুধুই জানি আমিমতোমাকে ভাল বাসি।আমার শুধুই জানা আছে আমাদের মাঝে একটি অদৃশ্য বন্ধন আছে। আমি শুধুই তাকিয়ে থাকি জানালার ফাক দিয়ে যে কবে আমি সুস্থ হয়ে যাব আর তোমার সাথে একবার দেখা করতে পারব।আমি অনেক ভীতু।আমার এই ভীতু মন যেন প্রতিদিন তোমাকে খুজে বেড়ায় আর তোমার জন্য কাদতে থাকে। আমি যে সাহস দেখাই এর পিছনে অন্যতম কারন হল আমার শুধু মাত্র বেচে থাকতে ইচ্ছে করছে তোমার জন্য। চিঠির উপরে বা নিচে কোন নাম নাই। নার্স আসিফা এই মুহুর্তে যে লাউঞ্জের সামনে আছে সেই লাউঞ্জের সামনের দিক থেকেই দেখা যাচ্ছে সেই মেয়েকে। আদৃতা ওর নাম। বেশ কিছুদিন হল এই হস পিটালে উঠেছে। নিউইয়র্ক শহর থেকে একটু দূরে এই পাগলা গারদে এসে উপস্থিত সে এখন। আদৃতার হাল্কা গড়ন আর তার চাহনি দেখার মতন একবার কেউ দেখলে তা ভুলে না কেউই। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আদৃতা, হঠাৎ নার্স চিতকার করে উঠে বলে come b