বিবাহিতা

আজ সকালে একটা গাড়ি এসেছে আমার বাসা উত্তরায় , গাড়িতে একটা অর্ধ মৃত ছেলে খুব হ্যান্ড সাম এবং এর সাথে দেখা যাচ্ছে আমার জামাই আবু আহমেদ ভুইয়া। জামাইকে নাকি নাম বলে ডাক দিতে নাই এই শিক্ষা আমার শাশুড়ি আম্মার । আমি আসলেই সেই চিন্তা করে দেখি নাই এখন পর্যন্ত তবে এর ভেতরে আমার জামাই আমার দিকে ইশারায় বুঝাতে চেষ্টা করছেন আমার আম্মার সামনে এই ভাবে ডাক দিবা না! কে শুনে কার কথা। ব্যাকডেটেড চিন্তা কে বাদ দিয়ে আমি তাকে জান বলে ডাক দেই! সে জিহবায় কামড় দেয় মেয়েদের মত! আমি তাকাই আছি! আমি কি করলাম! আমি ত হালাল উপায়ে বিয়ে করে কি ভুল করলাম! এর পরে শাশুড়ি আম্মার গো গো শব্দে বলতে শুনাচ্ছেন আমাকে এই সব বিদেশি শিক্ষায় শিক্ষিত মেয়ে বাড়ির বউ হবার উপযুক্ত ? বাবা তোরে আমি আগেই বলসিলাম এরকম ফার্স্ট মাইয়া বিয়া করিস না বাজান ,মান ইজ্জত কিচ্ছু থাকবে না। আমার জামাই মাথা নিচু করে হু বলে আর ভেতরে এসে হাসছে আর বলছে তোমার তো বেশ সাহস! সে মুহুর্তে আমি জিগেস করি আচ্ছা আমার কথা ছাড় অই যে অর্ধ মৃত একজন কে ধরে এনেছ অইটা কে ? সে জানায় তার এক বন্ধুর ভাই সুই সাইড করতে গিয়েছিল পুলিশ কেসের ভয়ে তারা এখানে আমার কাছে এসেছে সাহায্যর জন্য। আমি স্তব্ধ! আমি শুনেই বলি তুমি কে ন এই কাজের দায় নিচ্ছ? সে মুচকি হেসে বলে তুনি তুমি ভয় পেও না আমি পুলিশের লোক সুত রাং কোন বিপদ নাই ,আমি সব ম্যানেজ করেই আসছি। এখন ডাক্তার এসে একে দেখবে আর সুস্থ হলে চলে যাবে ব্যস। আমি দ্রুত বলে দেই দেখ আমার বাসায় এসব চলবে না। সে জানায় এর জন্য বাসায় না এনে উপরে যে চিলে কোঠা আছে সেখানে রেখেছি, তুমি চিন্তা করো না। আমার মাথায় নানা চিন্তা , জানা নাই চেনা নাই এরকম এক্ জন কে কিভাবে আমি বাসায় এলাও করি। আবু যাইই বলুক ,সে যখন অফিসে থাকবে তখন?? বলছে পুলিশ থাকবে তাতে কি? কত ক্রিমিনাল পুলিশ এর চোখ ফাকি দিয়ে চলে যায়? ভাবা যায় ওর এসব আসলেই আমার ভাল লাগছে না। তাই ধাম করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে আসি ।ও উপরে চিলে কোঠায় চলে যায়। আমি কিন্ত সব দেখে আসছি খালা, কাজের বুয়া আফিয়া এসে বলে আমাকে! ক ক কি দেখেছিস? আমি ভয়ে তাকাই ওর দিকে কেননা আমাকে সতর্ক করে গেছে আবু, বলে গেছে আফিয়া কে যেন ছাদে না পাঠাই! আজকে ভুলে আমি ছাদে কাপড় গুলি আনার জন্য পাঠাই দিসিলাম মানে আমার মাথা আসলে কি আমার জানা নাই , এখন কি হবে ? আল্লাহ আল্লাহ করছি যেন আফিয়া বলে না বসে যে চিলেকোঠায় কাউকে দেখসে সে, আফিয়া আমায় তখন উত্তর দেয় খালা আমি কি আপ নাদের পর কেউ? আমি ত তটস্থ হয়ে আছি মানে আমার ভেত রের পানি শুকিয়ে গেছে ততক্ষনে, আমি তাকে বলি কি দেখেছিস সে বলে আপ্নে যে আমাকে এক্টা কাথা এই শীতে দেবেন বলেছিলেন সেটা ত দেন নাই উলটা আজাদের মাকে আপ নি একটা শাল দিয়েছেন । আমার অতক্ষনে জানে পানি আসছে। দাগি আসামি কে আমার জামাই বাড়িতে তুলে এনেছে আরেক দিকে কাজের মেয়ে যদি দেখে এই সব তখন আমার আর আবুর অবস্থা কি হবে? পুলিশ কেস হবে উফফ ! নিজের বোকামির জন্য আমি নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছি মনে মনে তখন দেখি যে আফিয়া বলছে আফা চিলে কোঠায় তালা কেন? আগে ত খোলা রাখতেন ! এই ভাবে প্রশ্ন করে যাচচ্ছে দেখে আমার শাশুড়ি একটা ধমক দেয় ! এই আফিয়া এত প্রশ্ন করিস না এইদিক আয়! উফফ এই মেয়ে যা! মানে গোয়েন্দার মত প্রশ্নই করে যাচ্ছে আর আমি ভয়ে ঘামছি! বউ মা বউ মা আমার শাশুড়ি ডাক দিল, দৌড়ে গেলাম, তিনি বলেন কামের মানুষের সাথে এত কথা কেন কউ? এদের সাথে বেশি মিশবা ত ঝামেলায় পড়বা, জি আম্মা, অই আফিয়া আমার গোস লের গরম পানি দে, যাও মা নিজের ঘরে যাও, আমি তখন আমার শাশুড়ির বুদ্ধি দেখে অবাক! এই কাল কুচ কুচে মহিলার এত বুদ্ধি যে তিনি যে কাল এর জন্য ও তিনি শ শুর বাড়িতে কুটিল বউ হিসাবে পরিচিতা বলে শুনেছিলাম আজ দেখলাম।তাকে নাকি তার শাশুড়ি পছন্দ করে এনেছেন! উনার জামাই মানে আমার শশুর আব্বা উকিল ছিল ধব ধবে সাদা তিনি এবং তিনি যে সুন্দর মানুষ তার সাথে এই বউ আসলে বেমানান কিন্ত তার বুদ্ধির কারনে তিনি এই বউকে অত্যধিক পছন্দ করতেন , বাই দ্যা বাই আমার শ শুর দুই বিয়ে করেন, এক বউ তার নিজের পছন্দে , আরেক জন আমার শাশুড়ি! তিনি অত্যন্ত শান্ত কিন্ত ভয়ানক কুটিল ! আমি তার বিবাহিত জীবনের কিছু কথা শুনেছি যে তাকে বিয়ে করে তারর সবামি ঘরেই আসেননি ১ম, কেননা তিনি কাল ছিলেন, মায়ের বাধ্য সন্তান বলেই এই বিয়ে তিনি করেন কিন্ত তার অতি মাত্রায় বুদ্ধির গুনে তিনি তারর জামাই এর কাছে বেশি গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেন। আমার শশুরের পছন্দের বউ ছিল অপুর্ব সুন্দ রি পাকিস্তানি এক মহিলা কিন্ত তিনি বেশিরভাগ সময় আম্মা মানে আবুর মায়ের কাছে থেকে যেতেন কেননা তার সকল কাজ কারবার ছিল এই ঢাকা কেন্দ্রিক, তিনি ১ম বউ কে দেখতে যেতেন কিন্ত বেশির ভাগ সময় থাক তেন তিনি আমার শাশুড়ির সাথেই। আজকে বুঝলাম কেন তিনি আমার শাশুড়িকে বেশি গ্রহন যোগ্য তা দিয়েছেন ।আম্মা যে কিভাবে একটা এত বড় সত্য চাপা দিলেন ! কাজের বুয়া আফিয়া ভয়ে চলেগেছে ,আমার মুখ দিয়ে তো সত্য কথা বেরিয়েই যেত কিন্ত আম্মা আজকে বাচালেন! ফজরের ওয়াক্তের আজান দিয়ে ফেলসে , হঠাত অইঘর মানে যে ঘরে অর্ধ মৃত করে পড়ে থাকা মানুষের পায়ের শব্দে ঘুম ভেংগে যায় তুনির। সে আবু আহ মেদ কে ধাক্কা দিয়ে বলে এই শুনেন , ভুইয়া শুনেন, কে শোনে কার কথা ঘুমের ভেতরে বলে উঠল আমাকে ঘুমাতে দাও সকাল বেলা অফিস আছে। তুনি বলে আরে উপরের ঘর থেকে আওয়াজ পাচ্ছেন না? হত চকিত হয়ে উঠে বসে আবু আহ মেদ ভুইয়া, সেও শুনে যে কেউ পায় চারি করছে । আমি তো ভয় পাচ্ছি তুনি বলে,এই ফজরের সময় আপনি বাইররে যাবেন না আমাকে একা রেখে, রিভল বারে গুলি ভরা আছে অভয় দিয়ে বলে ভুইয়া। ভয় পেও না। সে রিভল বার বের করে এবং উঠে অফিসে ফোন দেয় ,আজকে ডিউটি নাই এর পরেও শান্তি নাই, পুলিশের চাকরির এই হল জবালা! কোন দিন আর রাত নাই এর পরেও সবাই বলে পুলিশের চুরির শেষ নাই । যাহোক সে উঠে উপর ঘরে যায়, এক মিনিট পরে তুনি ২টা গুলির আওয়াজ শুনে! ভয়ে সে চিৎকার দেয় আর দরজা বন্ধ করতে যাবে সে সময় সেই মরা টা তাকে চেপে ধরে ! ভুইয়া চিৎকার দেয় শালা তোরে বাচাই আন্ সি লাম এক জনের অনুরোধে তুই আমার বউরে ধরেছিস ছেড়ে দে ওকে। হলদে দাত বের করে মড়াটা বলে না তোর বউ আমার! এই বলে তুনিকে চেপে ধরে ভুইয়া সহ্য করতে পারে না সে গুলি করে তাকে! সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায় কেননা তখন ও পুরা ভাল হয় নাই ।তুনি ছাড়া পেয়ে দেখে ভুইয়ার গায়ে গুলি লেগেছে ,ততক্ষনে পুরা এলাকার মানুষ উঠে গেছে গুলির শব্দে, চারদিকে সুর্যের আলো ছড়িয়েছে আর সবাই জড়ো হয়েছে তাদের বাড়িতে! ভয়ে তুনি আড়ষ্ট , আর ভুইয়াকে কোন ভাবে তুলেছে ও , ভুইয়ার গা থেকে গল গল করে রক্ত ঝরছে এবং মড়াটাকে তত ক্ষনে বাড়ির সবাই বেধে ফেলেছে।পুলিশ এসে গেছে বাড়িতে। সকাল আটটা বাজে তখন। আজ যেন কি বার কে একজন বলে , ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে ভুইয়া তার দিকে , সে তখন ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় বিছানায়। এক পুলিশ অফিসার ,আন সারি বলছিল ,শুক্র বার! উত্তর দিল কাজের বুয়া আফিয়া, সবাই চুপ এরকম একটা ঘটনায় কেউই বাড়িতে আর কথা বলছে না এক দম চুপ। পুলিশের আইজি বাড়িতে ,এই ঘটনা ততক্ষনে পত্রিকা হয়ে মিডিয়ায় চলে এসেছে এই ভাবে পুলিশের বাড়িতে দাগি আসামি! চার দিকে লোক জন জমে গেছে , সবাইকে বহু কষটে বিদায় করার পরে তুনি আর ভুইয়ার সাম নে পুলিশের আইজি ওস মান সাদি আর ইন্সপেক্টর আন সারি সাফি বসে আছেন। তারা জান তে চাইছেন কেন ভুইয়ার মত একজন তুখোর অফিসার এই কাজ করতে গেল! কি জন্য একজন দাগি আসামি কে বাড়িতে আন তে গেল আসল কাহিনি জানতেই এই বইঠক সামনে বসে আছেন তাদের মা আর বোন এবং বোনের দুলাভাই ,এক কথাই পুরা পরিবার, পুলিশ কাউকে ছেড়ে দেয়নাই সবাইকে ডাকা হয়েছে , কাজের মেয়ে আফিয়াকেও তার বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছে জেরা করতে । তুনি আর ভুইয়া একে অন্যের দিকে চোখে চোখ রেখে কি যেন বলে নিল ,এ যেন চোখে চোখে কথা হয়েছে। পুলিশের কাজ চোরধরা আর তাকে থানায় দেয়া , তুমি এই দাগি আসামিকে বাড়িতে কেন এনেছ আবু? তীর্যক প্রশ্ন আইজি সাদি সাহেবের। স্যার আমি সরি, বুঝতে পারি নাই। উত্তর দিল আবু। তুমি কি কিছু লুকাচ্ছ? সত্য কথা বল আবু কেন তুমি একে তোমার বাসায় এনেছ আর কাউকে বল নি কেন এই লোক দাগি আসামি? তুনি জামাইএর দিকে তাকিয়ে আছে ফ্যাল ফ্যাল করে ,আজকে সে মরে যেত নয়ত ধর্ষিত হত এই লোকের হাতে এখনো তার হাতে আচড়ের দাগ আছে। তুনি কে ও জানাওনি কেন আবু? আইজির এইরকম প্রশ্নে আবু তাকিয়ে আছে মাটির দিকে। জবাব দেও তুনির চিৎকার! সম্বিত ফিরে পেয়ে জানায় আমি তাকে একটা ব্যাপারে ইনভেস্টি গেট করতে চেয়েছিলাম কিন্ত ভাবিনি এরকম হবে। এইটা কোন রেস্পন্সিবল অফিসারের কথা না আবু , আইজির উত্তর তুমি নিশ্চয় কিছু আমাদের লুকাচ্ছ কি সেটা বল আমাদের... সরি স্যার এই মুহুর্তে আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না । নিরুপায় হয়ে আবুর উত্তর। তুনি তখন চিৎকার দিয়ে বলে তোমার কি আমার জন্য পর্যন্ত মায়া হয়নাই? আজকের ঘটনায় আমি মারা যেতে পারতাম কেন তুমি এরকম মিথ্যে বলেছ? তুনি তোমাকে আমি সব বুঝিয়ে বলব আইজির সামনে তুনি চিৎকার দেয় আমি জানতে চাই কেন তুমি একটা সন্ত্রাসি বাড়িতে এনেছিলে বল? আবু নিশ্চুপ। ওকে, আইজি সাদি বলেন তুনি তুমি থাম। ও এখন অসুস্থ গুলি লেগেছে আবুর ,সুস্থ হও এর পরে আমরা এই ব্যাপারে আবারো বসব তবে আবু তুমি যে কাজ করেছ এটা কেউই করবে না, নিজের পরিবারকে কেউ বিপদে ফেলে এরকম কাজ আসলেই কেউ করবেনা আবু । আজ আমরা আসি ,২ /৩ দিন পরে আমরা আবার আসব এর ভেতরে আমরা আসামিকে নিয়ে গেলাম ,তাকে ইঞ্জেকশন দেয়া আছে এখন? প্রশ্ন আইজি সাদির, হ্যা উত্তর দিল ইন্সপেক্টর আন্সারি ,স্যার ৪ জন মিলে আমরা তাকে বেধে রাখতে পারিনা ভাবিকে কিভাবে সে ছেড়ে দিল! আমি ত শকে আছি, আহ চুপ কর আন সারি। তুনি তখন ও ভয়ে কাপছে যেন জ্যান্ত একটা এডভ্যাঞ্চার দেখ ল আজ। স্যারে গুলি না করলে কি হইত আল্লাহ জানেন স্যার! । আন সারি বলছিল। আইজি ওস মান বলে তোমার আবু স্যারের বেশি বুদ্ধির কারনে এই অবস্থা কিন্ত আমার প্রশ্ন এক্টাই আবু তোমার কাছে কেন একে জেল থেকে বাসায় এনেছ?? ঠিক আছে আজকে জবার দিতে হবেনা তোমাকে। তুমি বিশ্রাম কর আমরা আসি আজ, এই বলে চলে যান তারা। যাবার আগে পুলিশ প্রটেক শনে সমস্ত বাড়ি রাখার ব্যবস্থা করেন। আমার জন্য এক কাপ চা এনো, সামিয়া বসে আছে আসাদের পাশে, আসাদ ও সামিয়া হল আমার ননদ ও নন্দের জামাই,বাড়িতে এরকম একটা ঘটনার পরে পুলিশি প্রটেক শনের কারনে কেউ আসতে যেতে তাকে আইডি দেখাতে হচ্ছে কিন্ত এখন এই সমস্যা হল আমাদের গাড়ি আসছে বাসা চেঞ্জ করতে হবে হঠাত , এই মুহুর্তে মোহাম্মদ পুর থেকে অন্যত্র বাসা পরিবর্ত ন করা আসলেই সমস্যার সুত রাং পুলিশি অর্ডার মানা সম্ভব না আবার আতংক এখন পর্যন্ত দাগি আসামি কে নিয়ে যায় নাই পুলিশ । সব বিবে চনা করে আমি চিন্তা করলাম বাবার বাড়ি চলে যাব এর ভেতরে আমার জামাই আহত হয়েছেন তাকে রেখেও যাওয়া সম্ভব না কি করি ,এইস ব চিন্তা যখন করছি সেই মুহুর্তে আমার নন্দাই এর আগমন । এই বিবাহিত লাইফে ১ম আমি আম্র নন্দের দেখা পাইলাম । যা আমার জন্য সত্যিই ভয়াবহ কেননা সে এসেই মায়ের সাথে যুদ্ধ শুরু কেন তাকে জানানো হল না আর এত বছর তাকে কেন অব হেলা করা হল, আমি তাদের মা আর মেয়েকে পাশ কাটিয়ে আমার হজ বেন্ডের কাছে এসে যাই । দরজা বন্ধ করে দেই ! দরজা বন্ধ করে দেয়ার পরে আমি চমকে উঠ লাম ।দেখি আমার জামাই নাই আর সেখানে বসে আছে সেই দাগি আসামি!!!!

Comments

Popular posts from this blog

কুয়াশা

কবিতার ভালোবাসা ......

বঙ্গাসন—গুরুজী