dipaboli

এই দিপু এই দিপু আরে উঠ আজ তো দীপা বলি। সকাল থেকেই হাকডাক , জগন্নাথ মন্দিরে আজকে পুজো দিতে যেতে হবে। সবাই উঠে স্নান করেই দৌড়ে যেতে শুরু করল। শ্রী হরিদাশ চন্দ্র এর বাড়িতে আজকে অনেক তাড়াহুড়ো চলে , সবাই ব্যস্ত। কারন আজ দীপাবলি। দীপ জবালানো থেকে শুরু করে নানান কর্ম যজ্ঞ, পাশের গ্রাম মোস লেম পুর। সেইখানের মুসল মান পাড়ার লোক জন আসে দেখতে পুজা। সবাই খুব আনন্দে আছে আজকে। সেজেছে বেশ। মন্দিরে ব্রাক্ষন যখন মন্ত্র পাঠ করেই যায় সবাই মন দিয়ে শুনে পূজো দেয় কিন্ত দীপুর কোন খবর নেই তখনো। সে সবে ঘুম ছাড়িয়ে উঠে মায়ের দিকে তাকায়। দেখে মা রান্নার ঘরে ব্যস্ত। দীপাবলি সব চেয়ে আদরের মেয়ে। দীপাবলির বাবা একজন ব্যবসায়ি , বাড়ি কক্স বাজার সদরে, চট্টগ্রাম শহর থেকে দূরে এই ছোট্ট শহর কক্স বাজারে অনেকেই ব্যবসা করেন, দীপাবলির জন্মের পরে তার মা অনেক মানত করেই এই মেয়েরে জন্ম দিয়েছেন। কারন তারে মেয়ের শখ। দীপাবলি রা আট ভাইবোন । যাহোক আজ দীপাবলি। সে তার মায়ের নতুন শাড়ী কেড়ে নিয়ে পড়ে বসে আছে। এর মাঝে এই ব্রাক্ষন জাতের কাছাকাছি কেউ ঘেষে নাই কারন সমাজে তাদের নাম ডাক। অনেক মা নুষ আসেন দীপাবলির বাড়ীতে। সেদিন ও এসেছিল। কিন্ত... সেইদিন পুজায় যেই মানুষ কে দেখে দীপা বলি এর ১৯ পরিপক্ক মন উড়েছিল ভাল বাসায় সেই মন যে ন আজো কাদে তার জন্য। শংখ শাখা ঢাকের বাদ্য সব ঠিক কিন্তু যা ঠিক নাই তা হল সেই প্রেমিক! বিলেত ফেরত উকিল জমির উদ্দিনের এক মাত্র সন্তান আহ সান আলি। বাবার মত মস্ত উকিল হবে এই আশায় বাবা তাকে বহু কষ্টে বিলেতে পাঠায়, বিলেতে তা লেখা জোকায় মন ছিল এবং পলিটীক্স এর দিকে ঝোক ছিল তাই সেই দেশে ভাল পয়সা পাতি করে দেশে এসেছে বিয়ে করতে ,বাবার আশা সে অনেক বড় উকিল হবে দেশের মানুষের সেবা করবেন কিন্ত পুত্র যেবিদেশি মেমেরর প্রেমে পাগল তা কেউই জান ত না মাঘের শীত। চার দিক ঠান্ডায় যেমন জমেছে তেমন বিয়ে শাদিতে রীতিমত পাড়া গ্রাম গুলি জমেছে। জমির উদ্দিনের আশা এই বারেই ছেলেকে বিয়ে দিয়ে তিনি তার চেম্বার এর দায় ছেলেকে বুঝিয়ে দেবেন এর জন্য তিনি মনে মনে সকল প্রস্তুতি করেই রেখেছেন কিন্ত তার জানা ছিল না যে পুত্র তার আরেক দিকে মন দিয়ে না শুধু বিয়ে ও করে ছেন। তবে কানাকানি চলেছে এই ব্যাপারে কিন্ত তার অতি চালাক পুত্র বাপ মা কে বুঝিয়েছেন যে বিলেতে থাক লে এমন হয় ।সবাই চায় কিন্ত এতে কান দিতে নাই । ভোরের দিকে দীপার চোখ জুড়ে যেই ঘুম ছিল তা নাই , গত কালের ধকল এখন ও শেষ হয়নাই। আসলে দীপার মনে পুজায় দেখা কাউকে আজকে বেশ মনে আসছে, ১৬/১৭ এর বাড়ন্ত দীপাবলি যেন সবারই চোখের মনিতে পরিনত হল। 19 years after. america. dr jones waiting for his new paient 39 years old. dipaboli das, wearing a white sari and wear a blouse with a stick. age changeher everything.life also , her son ashutosh kantilal now a doctor, waiting for her mom cheackup. in this country noone say why dont u take a seat for yourmom. you must wait for the doctor The woman was screeming আমাকে বাচাও আমি ফিরে যেতে চাই আমি বাচতে চাই .নীল সকার্ট টা বেশ মানিয়েছে তাকে। দেখতেও বেশ লাগছে তার। এটা সেই দীপাবলি। সুন্দর আদল বুঝাই যায় সাদা চুল আর সুন্দর চেহারাটা আজ ১৯ বছর পরেও নষ্ট হয় নাই। বুড়ো হলে মানুষ নাকি ঝিমি্যে যায় কিন্ত দীপার ক্ষেত্রে নাহ দেখা যাচ্ছে না এসব সে দিব্বি আছে কিন্ত এরকম চিৎতকারের কারন জানা যাচ্ছে না এই মুহুর্তে। সে কিভাবে এই খ্রিস্টান মুল্লুকে আসল আর কিভাবে সে এরকম হয়ে গেল জানার জন্য অপেক্ষায় থাকা লাগবে হয়ত আরো কিছুদিন।কারন এই মুহুর্তে তার পাগ লামির যে অবস্থা এতে একটা বিSHOyপরিস্কার সে দেশে মানে বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় আর তার সাথের মেয়েটা তার নিজের মেয়ে । দীপার মেয়েটা অনেক কিউট, কিন্ত এর বাপ কই? ফ্ল্যাশ ব্যাকে দেখি জমির উদ্দিন এর ছোটছেলে আহসান আলি গ্রামে ঘুরতে বেড়ি্যেছে, হঠাত আম বাগানের দিকে আস তেই তার কাধের উপরে একটা পাকা আম পরে সে উপরের দিক তাকিয়ে দেখে দীপা আর তার দুই বান্ধুবি গাছের এক এক মগডালে উঠে বসেছে আম চুরি করে খাইতে । আর যায় কই সব গুলি ধরা খেয়ে আর কেউ গাছ থেকে নামেনা। আহসান সুপুরুষ হলেও তার এই মুহুর্তে এক দম কিছুই পছন্দ হচ্ছে না এইসব. ২০২২ সাল । সবে ক্রিস মাস শেষ হল। চার দিক প্রচনড আনন্দে কাটাচ্ছে ক্রিস্ মাসে। দীপাবলির গায়ে চাদর দিয়ে দিল তার মেয়ে আফ্রিন। সে সব ধর্ম কে পালন করে , তার বিশবাস সে যে ধর্মই পালন করুক না কেন সেই ধর্মের ভেতরে একজন আছেন এবং সে এও বিশবাস করে একজন কেই সবাই ডাকে এক এক নামে। আফ্রিন এর বাপ কে খুজে পাইলাম না আজো, হঠাত করে তার চাচা মানে জেঠু এসে মন খারাপ করে বসে রইল চেয়ারে। আফ রিন তাকিয়ে আছে সেই দিকে , ভাবছে আসলে আমার বাপ কে? তার সব ধর্ম পালনের এই এক কারন যদি তার বাপ মুস্লিম হয় তাহলে সে এক ভাবএ নিজেকে উপস্থাপন করবে এবং অন্য কোন ধর্ম হলে সে সেই ধরনের ব্যবস্থা করবে আসলে এই ব্যাপারে তার আগ্রহ কম কিন্ত তার জেঠার আগ্রহ অনেক দিনের, বিশেষ করে দীপা পাগল হবার পর থেকে এবং অসুস্থ হবার পর থেকে এই আগ্রহ অনেক বেড়েছে। আসলে এই সময়ে এত বড় পৃথিবীতে কে কার বাপ মা এইটা কেউ দেখে না যদি না পরিবার এর চলন না থাকে এ দেশে মানে আমেরিকায় এর চল নাই সুত রাং কি দরকার এসবের এই ছিল দীপার মনে কিন্তু তার জেঠার আগ্রহ এর কারনে এই সব ঘাটান । আফ্রিন সাহা গোমেজ শিখ এরকম উদ্ভট নাম এর টাইটেল বানিয়েছে সে এই কারনে । I am so sick and i will die any way af rin saha gomez she is not a good vibe now iam seriously thinking about my work need to be precious word for me to write the things which is not good vibe for me আফ রিন তার ডায়েরি তে এরকম কিচছু এক টা লিখ ছিল আর তাকিয়ে রইল বাইরের দিকে যে কিভাবে সে এল আমেরিকায়। আরব , হিন্দি, আর শিখ এর মাঝে বাস করে নিজের অস্তিতব টিকিয়ে রাখা যেন অন্য রকম । দীপার মেয়ে সে , কিন্ত সে আজ ও জানে নাই তার বাবা কে? কিভাবে সে আস ল আমেরিকায় এবং এত গুলি বছর জানার দরকার ছিল না কারন আমেরিকায় এরকম কেউ জান তে চায় না সবাই যার যার মত ব্যস্ত। কিন্ত আজকে একটা ইনডিয়ানিকে দেখে তার অনেক খারাপ লাগে আর সে ভাব তে থাকে যে আসলে তার আত্ন পরিচয় কি? কে তার বাবা?! ২০২৩ আ ফ রিন আসিয়া এই ভাবে তার ভাবনা টাকে কাগজে লিখতে শুরু করেছে এখন। আমি জানি না আমার বাপ কে আফ রিন তার ডায়েরিতে লিখে এইটা। এর পর পেছনে তাকিয়ে দেখে দীপাবলি উপুড় হয়ে আছে । তাকে চেনার কোন উপায় নাই কারন দীর্ঘ দিন যাবত অসুস্থ থাকায় তার চেহারা খারাপ করেছে এখন তাকে কিছু জিগেস করতে চাওয়া অবান্তর কিন্ত উপায় নাই আফ রিন এর কারন তার পছন্দের মানুষ যে তার পরিবার কে জানাতে হবে যে সে ভাল পরিবারের মেয়ে এবং তাকে বিয়ে করলে তাদের ছেলের কোণ সমস্যা হবে না। অনেক কঠিন সত্য এত সবাভাবিক ভাবে আসলেই বলা সম্ভব না কিন্ত আমি আজকে এই সত্য জানাব দীপার অসুস্থতার কারন যে সেই মানুষ জানাতে হবে আফ রিনের মা দীপা এটা যেমন সত্য তেমন সত্য দীপা নির্যাতিতা ছিল। কম জাতের হিন্দু পরিবারের দীপাবলিকে দুর্গা পুজার দিনে তুলে নিয়ে যায় জোত দার মুস লিম জমিদার অপ রাধ দীপার না তার ভাইয়ের , মুস্ ল মানের মেয়ে কে ভাল বেসেছিল তার দাদা। এর শাস্তি হিসাবে দীপাবলিকে লাঞ্চিত করা হয় এবং সে কাজ টা জমিদারের ছেলে জমির উদ্দিনের বড় সন্তান কুলাঙ্গার আহমাদ করেছিল সেদিন। দিপার আর্ত চিতকারে আকাশ বাতাস ভারি হয় কিন্ত তার কথাই কেউ পাত্তা দেয় নাই কারন সে অঞ্চলে জমিদার দের মুল্লুকে কথা বলার কেউ নাই ছিল না সেদিন। জমিরের ছেলে rape করেছে তা চিন্তাই করেনাই কেউ। হিন্দুর মেয়ে বলে যেন সবাই কুকুর এর মত দূর দূর করেছে তাদের , আর এরপর পুলিশ কোর্ট কাচারি এসবের কোন কিছু না হলেও সেদিন তাদের সব বেচে দিয়ে চলে যেতে হয় দূরে অনেক দূরে । দেশ ছাড়া হতে হয় তাদের সব ছেড়ে তারা চলে আসে এই বিদেশ বিভুইয়ে । এই দেশে আসাটা এত সহজ ছিল না কারন আমেরিকায় ইমিগ্রান্ট হতে হলে যা যা করা দরকার তা পেতে তাদের বহু বছর লেগেছে। এক সময় বাংলাদেশের বাড়ি ঘর বেচে দিয়ে তারা ভারত চলে যায় এবং সেইখান থেকে তারা চলে আসে আজ কের আমেরিকায়। বেশ্যা বলে যাকে বের করে দেয়া হয় আজ থেকে ৩০ বছর আগে সেই দীপা বলি মুস লিম হয়ে এক প্রেমিকের ভাল বাসায় আকৃষ্ট হয়ে বিনিময়ে সে পায় ছলনা আর অব হেলা সম্মান হারিয়ে আজ সে একজ ন পাগল অ্যান্ড বেশ্যা , হিন্দু স মাজ তার থেকে দূরে সরে যায়। তাকে করে দেয় একদম এক ঘরে কারন সে মুসলিম সমাজের ছেলে বিয়ে করেছে, এর পর সব কিছুই ইতিহাস। এর জন্যই কি আফ রিন তার নামের সাথে সাহা, শিখ আর গোমেজ এর সম্মিলন করেছিল ? হয়ত বা।। finish

Comments

Popular posts from this blog

কুয়াশা

কবিতার ভালোবাসা ......

বঙ্গাসন—গুরুজী