কবিতার ভালোবাসা ......


কবিতার ভালোবাসা ...........

সময়টা ১৯৭৭-৭৮ সালের। পাহাড় ঘেরা  chittagong  এ পড়তে আসা অনেক চিকিৎসকের মত পাস করে সবে ইন্টার্ন শুরু করতে যাবেন ডক্টর হিমেল। পড়তে পড়তে হয়ত  মায়া বসে গেছে এই শহরের ...

বাকি সব দিনের মতই হাস্পাতালে রোগী  আর বইনিয়ে পড়ে থাকা এর সময় পেলে কিছু মেডিকেলি বন্ধু দের সাথে  গল্পে মশগুল থাকা এই ছিল জীবন। ভালই কাটছিল।
আরেকদিকে......... 


হিন্দু ব্রাহ্মমন পরিবার থেকে আসা কবিতা। দেখতে খুব একটা আহামারি কিছু নাহ কিন্তু তার কবিতার মত ২  নয়ন এর একহারা ছিপছিপে গড়নের কাল কবিতা সব্বাই কে ছাপিয়ে অন্ন্যরকম...হাস্পাতালে তার পরিচয় নার্স কবিতা বলে। সহকরমিদের কাছে কবিতা দিদি বলে। সুন্দর পরিপাটি করে গুছানো শাড়ী আর  মোটা ২বেনির কবিতা যখন নার্স এর পোশাকে হাস্পাতাল চক্কর দিত সবাই দেখত তাকে।সব রো গীদের পছন্দের কবিতা দিদি।দেখার মতন মেয়ে একটা কবিতা...... 
 এই ভাবে ই চলছিল। কিন্তু এর  মাঝে নতুন ইন্টার্ন ডক্টর রা আসতে শুরু করল তাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে। এদের ই একজন ছিল ডক্টর হিমেল । হাজারো রোগীদের মাঝে একটু ও দম ফেলার সময় নাই তার ।।দিন রাত খালি ডিউটি আর ডিউটি। বোরিং লাইফ ...... এর চাইতে বাড়িতে গিয়ে হালচাষ ও যেন ভাল ছিল  ভাবছেন হিমেল। অমনি পেছন থেকে কে যেন ডাক দিল -----
স্যার ...... পেছন ফিরে দেখেন নার্স কবিতা দাড়িয়ে আছেন  হাতে একটি গজ বেন্ডেজ আর সাথে আছে একটা ফাইল। কবিতাকে দেখে ডক্টর হিমেল একটু থমকে যান। নিজেকে সাম্লে বলেন কি হয়েছে? 
কবিতা ব্লে- ডক্টর রফিক সয়ার আপনাকে ডেকেছেন একটা রোগী খুব আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। 
একটু বিরক্ত হয়ে গেলেও হিমেল গেলেন আবারো রোগী দেখতে। 

রোগী দেখা শেষ করে যখন ডক্টরস রুমে হিমেল আসল তখন তার মন অনেক খারাপ হঠাত'ই তার  নার্স কবিতাকে মনে পড়ল। আরে এই নার্স কে তো হস্পিটালে আগে দেখিনি এত দিন ধরে আছি অনেক নারস আর সাঠেই আমার ভালো পরিচয় আছে কিন্তু এই নার্স কে? মনে জিগাসা আসল হিমেলের।থাক হয়ত নতুন এসেছে। 
হাস্পাতালের কাজের চাপে বেশ কিছুদিন এরকম ই চলছিল সবকিছু। ডক্টর হোস্টেল আর নার্স হোস্টেল এর মাঝে বেশ দুরুত্ত। কিন্তু স্রস্টার কি ইচ্ছে এই দুরুত্ত অল্প কদিনেই কমে গেল।

এক দিনের ঘটনা... হাস্পাতালে নাইট ডিউটি ... ডক্টর হিমেল আছেন ডিউটিতে সাথে নার্স কবিতার ও ডিউটি পড়েছে ।একই সাথে ও টি থেকে বেরুলেন তারা ফ্রেশ হয়ে যখন ডক্টর হিমেল  হোস্টেল এর দিকে যাবেন ভাবছেন ঠিক তখনই কবিতা আরেকদিকে যাওয়ার প্রস্তুতি তে ...... 
ডক্টর হিমেল হঠাত ই ডাক দিলেন এই যে নার্স...
কবিতা- সয়ার আমার নাম কবিতা। 
হিমেল- ও হ  আমি আসলে আপনাকে  আগে  দেখিনি তাই জানতে চাইছিলাম আপনি কবে থেকে কাজ করছেন  হাস্পাতালে?
কবিতা - সয়ার আমি  এই তো আপনাদের ইন্টার্ন শুরু হবার আগেই জয়েন করেছি।
হিমেল- ও আচ্ছা। তা বাড়ি কোথায় আপনার?
কবিতা- চিটাগাং 
হিমেল- ও। আপনি তো ভালই কাজ করেন এ সিস্ট ও করেন ভালই।লেগে থাকুন ।
কবিতা- ধন্নইয়বাদ সয়্র।
হিমেল হেসে বলেন আছেন কোথায়?
কবিতা- নার্স হোস্টেলই।
হিমেল-হুম ভালই। আপনার সাথে পরিচিত হলাম কইছু মনে করেননি তো?
কবিতা- না সয়ার।
হিমেল- আচ্ছা ঠিক আছে আজ তাহলে আসি কবিতা। 
বলেই তিনি চলে গেলেন ডক্টরস রুমের দিকে। কবিতা ও ঘুরে দারাতেই এক সিনিয়র নার্স বলে কি ব্যাপার কবিতা? ডক্টর হিমেল কি জন্নে তোমাকে প্রশন করছিল?
কবিতা- কিছু নাহ এমনি......  বলেই  কবিতা ও চলে যায় তার রুমের দিকে, সিনিয়র নার্স আপা তাকিয়ে থাকেন ।
 এইভাবেই শুরু  ডক্টর হিমেল আর কবিতার আড্ডা দেওয়া। কি ও টি রুমে কি হোস্টেল এর সামনে আড্ডা যেন শেষ ই হয়না।
 আর এর মাঝে  ডক্টর হিমেলের ইনটারনশিপ এর ৬ মাস চলে গেছে। কবিতার সাথে সম্পর্ক টাও অনেক গভীরে... এই  আড্ডা দেওয়া একসময়  রুপ নেয় ভালবাসায়... 

কবিতা তখন ডক্টর হিমেলের সাথে সময় কাটানো এর  নতুন ভবিষ্যতের ভাবনায়  বিভোর । 
কিন্তু পরম করুনা ময় যেন কবিতার ভালবাসাকে অমর করতে চাইল।
হিমেল যে মুসলিম তা কবিতা জানত নাহ। এরই মাঝে কবিতা এটা জেনে ফেল্ল। একটু  থমকে গেল সে। 
দেখা করল হিমেলের সাথে। পরশন করল তুমি মুসলিম আমাকে আগে বলনি কেন?
হিমেল- তাতে কি?
কবিতা-মানে? তুমি জান না আমি হিন্দু?
হিমেল-হা জানি তাতে কি?
কবিতা- তার মানে এর পর ও তুমি আমাকে ভালবাস?
হিমেল-হা ভাল্বাসি। 
কবিতা- এটা হবে নাহ কারন সমাজ মেনে নিবে নাহ।
তাতে কিছুই এসে যায় না কবিতা- হিমেলের শান্ত উত্তর
কবিতার চোখে অশ্রু । কাদঁতে কাদঁতে সে চলে যায়। 
এরপর অনেক দিন কেটে যায়।কবিতার সাথে দেখা নেই হিমেলের। পুরু হস্পিটালের সব খানেই খুজেঁ ও  পাওয়া যায়নি তাকে, পরে জানা গেল সে বাড়ি গেছে।ফিরতে দেরি হবে।
মনের ভেতর অনেক চাপা কষ্টে হিমেল ও বাড়ি চলে যায়। 

বাড়িতে আসার পর হিমেল জানতে পারে তার পরিবার তার জন্নে মেয়ে দেখছে এবং তা ডক্টর মেয়ে। হিমেল বাড়িতে জানায় যে কবিতাকে সে ভাল্বাসে। হিমেলের মা বোনরা এর দুলাভাই মিলে তাকে বুঝায় কিন্তু লাভ হয় নাই। হিমেল বাড়ি ছেড়ে চলে আসে চিটাগাং। আর যাবে না প্রতিজ্ঞা করে।
হসপিটালে ফিরেই সে কবিতা কে খুজে।  নার্স হস্টেলে যায়।  গিয়ে জানতে পারে কবিতার সুম্পরকে কিছু খারাপ কথা। বিশসাস হয় নাই হিমেলের। তার প্র ও ভালো করে  খবর নেয় হিমেল  ঘটনা সত্ত, কবিতা আরও এক ডক্টর আর সাথে নাকি প্রেম করছে সে হিন্দু।  ভেঙ্গে যায় হিমেলের বিশ্বাস... টুকরো হয়ে যায় তার ভাল্বাসা।
  এদিকে  কবিতা...
 বাড়ি থেকে ফিরেই ডক্টর হিমেলের সাথে যোগাযোগ করতে আসে। হিমেল ফিরে ও তাকায় না।কবিতা  ডাক দেয়  হিমেল কথা আছে। শোন। 
সময় নাই-হিমেলের উত্তর। কবিতা অবাক হয় না ,বলে দেখ  আমি তোমাকে ভাল্বাসি এটা সত্ত কিন্তু আমি জানতাম না তুমি মুসলিম। আমি হিন্দু। তাই আমি  খুব কষ্ট পেয়েছি তুমি আমাকে বলনি তুমি মুসলিম ,কিন্তু তার পর ও আমি তমাকেই বিয়ে করতে চাই। কারন ভালবাসার কোন  ধরম নাই। 
হিমেল- আমি চাই না। কবিতা অবাক। তার পরশন- কেন?
হিমেল- আমার পরিবার তোমাকে মেনে নিবে না কবিতা।তুমি আমাকে ভুলে যাও। 
এ বার কবিতা শক্ত হয়ে গেছে।কি শুনছে  সে ,বিশ্বাস করতে পারছে নাহ নিজের কান কে ও। সে বোবা হয়ে তাকিয়ে আছে ডক্টর হিমেলের দিকে,আর হিমেলের ভেতরে  একটা হাহাকার আর ঘ্ররনা,কবিতার চোখের দিকে না তাকিয়ে সে বল্ল  চলে যাও কবিতা।
কবিতা সেখান থেকে বেরিয়ে গেল। নার্স হোস্টেল এর দিকে আসার আগে বিষ কিনল সে। হস্টেল ফিরে সব জানল সে যে হিমেল এসেছিল তার খোজে সব শুনে আর সইতে পারল না সে অনেক কাদল সে। 
বাকি রুমমেট রা ও তার জন্নে সহানুভুতি জানাল।
আরেকদিকে হিমেল...... 
ভালবাসা হারিয়ে মৃত হয়ে গেছে এখন। কবিতা কবিতার সেই ভুবন ভুলানো চোখ আর হাসি হিমেল্কে তাড়া করছিল আর কাত্র  হয়ে যাচ্ছিল।সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস নাই ডক্টর মানুষ না হলে এত ক্ষনে অনেক খাওয়া হত সিগারেট। নিজেকে সাম্লে নিতে পারছিল হিমেল......
কিন্তু বিধিবাম ...
 পরদিন সকাল বেলা... 
 নার্স হস্টেলে চীৎকার শুনা গেল। সব নার্স  আর ডক্টর রা ছুটল কি ঘটনা জানার জন্নে। জানা গেল।
কবিতা রাতে বিষ খেয়েছে।কিন্তু কেন? সবারই এক পরশন কেন? আর মাঝে জানাজানি হয়ে গেছে পুরু হসপিটাল। তাড়াতাড়ি কবিতা কে স্টমাক  ওয়াশ করতে নিয়ে যাওয়া হল। অবস্থা আশংকা জনক। 
হিমেল ও শুনেছে কিন্তু যায়নি ।কাপড় গুছিয়ে সে বাড়িতে যাবার জন্নে তৈরি হ্ল। বেরিয়ে ও গেল হাস্পাতাল থেকে সাথে  তার বোন জামাই...

অনেক কষ্টে কবিতা বাচঁল। পুরু ৭দিন  হসপিটালের বেডে থাক্ল। সহকরমি রা সবাই তাকে  সান্তনা দিল। কবিতা জানল হিমেল চলে গেছে, কাঁদল অনেক। এক নার্স  আপা আসলেন তাকে বুঝাতে  বললেন কবিতা যে মানুষ তোমাকে বিশ্বাস ই করেনি  উরো কথাকে  মুল্য দিয়েছে সে আর যা হোক ভালো নাহ তুমি তাকে ভুলে যাও।
কবিতা- দিদি  আমি তাকে আজীবন ভাল্বাসব। 
চাকরী ছেড়ে দেয় কবিতা। যে হাস্পাতালে কবিতা তার জীবনের ১ম ভালবাসা পেয়েছিল তা যখন চলে  গেল আর সেখাকে থেকে কি হবে? তাই রেজিগ্নেশ্ন লেটার টা দিয়ে দিল। হস্পিটালের  অনেক বন্ধুরা ততক্ষনে জেনে গেছে হিমেলের জন্নে কবিতা বিষ খেয়েছে।পুরু হসপিটালে তখন কবিতা আর হিমেলের কাহিনির সুর ভাসছে।
 কবিতা লজ্জায় অপমানে চলে যায় হসপিটাল ছেড়ে......

এর বেশ ক বছর পর... 

হিমেলের বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়ে ডক্টর। বাড়ি চিটাগাং। হিমেলের বাড়ি  ছিল কুমিল্লায়। হিমেলের মা ১ম এ রাজি হন্নি বোন জামাই বুঝিয়েছেন আম্মা হিমেল যদি  ডক্টর মেয়ে বিয়ে করে তাতে আপনার সম্মান বাড়বে  কম্বে না ঐ নার্স বিয়ে করার চেয়ে এটা তো ভালই, হিমেলের মা রাজি হ্ন। কিন্তু বোনেরা বলে ভাই তুমি চিটাগাং আর মেয়ে বিয়ে কর না। হিমেল চুপ থাকে। অবশেষে বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু হিমেল কবিতাকে ভুলতে পারে নি তাই বিয়ের পর ও কবিতার জায়গা আর এক জন কে দিয়ে সে শান্তি পায়নি।  হিমেলের আত্তা জুড়ে ছিল শুধুই কবিতা আর কবিতা। একহারা গড়নের কাল ছিপছিপে  তরুণী কবিতা,কবিতার চোখ তার সামনে ভাস্ত তাই সংসার  নামক একটা পিঞ্জিরায় নিজেকে আটকে ফেললেও সে কবিতাকে ভুলেনি। 
এরই মাঝে হিমেলের সাথে তার ডক্টর বউ এর অশান্তির সংসার,বউ জানে তার সমস্যা আছে কিন্তু জানে না হিমেলের মন জুড়ে আছে কবিতা...... 


১৫বছর পর...... 
হিমেল এখন নামকরা ডক্টর। চেম্বার ও আছে। সংসারে অশান্তি তো চলছেই এর মাঝে সে বাবাও হয়েছে।সময় এর স্রতে  সব ছাপিয়ে দায়িত্ব তাই এখন ১ম প্রায়োরিটি। বাকি সব কিছু বাদ, আবেগ অনুভুতি গুলি এখন নেই আগের মতন।  যা আছে টা হ্ল সৃতি। চেম্বারে বসে ভাবছে সে। হঠাত একটা দামি কার এসে থাম্ল চেম্বারের সামনে... একজন সুন্দরী মহিলা নাম্লেন। হিমেল  এর  এ সিস্টেন্ট কে জিজ্ঞেস করলেন ডক্টর কি আছেন?
মহিলা কে দেখে হিমেলের এ সিস্তেন্ত এর খুব ভালো লেগেছে তা নয় তবে খারাপ নাহ।মনে মনে ভাবছে  সে।
সয়ার...... এক ম্যাডাম আসছেন আপনার কাছে বলছেন আপনি আছেন কিনা তাকে কি ভেতরে আসতে বলব?
হিমেল- হা পাঠাও ।
 সুন্দরী  মহিলা ভেতরে ঢুক্লেন,১ম চিনতে না পারলেও একটু পর চমকে উঠে হিমেল......... তুমি???????? এত বছর পর????কোথা থেকে???? 
মহিলা এর কেউ না ......... কবিতা 
কবিতা-কেমন আছ তুমি হিমেল? তোমাকে দেখতে আসলাম।
হিমেল-ভাল।
কবিতা- শুনেছি বিয়ে করেছ বাবা ও হয়েছ,কেমন তোমার বউ?
হিমেল- ভালো সব কিছুই ভালই চলছে, তা তুমি কি ভাবে আমার খবর পেলে?
কবিতা- পেয়েছি আরকি। দেখতে আসলাম তো মাকে? আমাকে অবহেলা করে কিভাবে তুমি ভাল আছ? 
হিমেল- বাদ দাও  সবকিছু।তোমার হাজবেন্ড?
কবিতা- বিয়ে করিনি আমি। মুসলিম হয়ে গেছি।
হিমেল- কি???তুমি মুসলিম হ্যেছ?
কবিতা-হা।কেন কোন সমস্যা।
হিমেল -নাহ,তুমি আগের মতই আছ কবিতা।
কবিতা-তুমি বদলে গেছ হিমেল।
হিমেল হাস্ল। দীর্ঘ দিনের পুরুনো ভালবাসা আবার জেগে উঠেছে যেন। কত আলাপ ২জনের। কথায় কথায় 
তোমার মেয়ে কত বড় হয়েছে হিমেল? জানতে চাইল কবিতা
হিমেল- ও এবার ৫ম শেরনিতে
কবিতা- ও আমার মতন চোখ পেয়েছে দেখি......... হাসল কবিতা 
হিমেল- কবিতা তুমি বিয়ে করনি?
কবিতা- না হিমেল ক্রিনি, সেদিন আমাকে তুমি ফেলে চলে আসলে কেন? তোমার দুলাভাই আমার হস্টেলে গিয়ে আমাকে এত অপমান করল তার একটা উত্তর ও তুমি দাওনি কেন?
হিমেল চমকে উঠল... কি? ??
আমি জানতাম না কবিতা।দুলাভাই তওমার হস্টেলে গেছে। কবিতা অবাক হয়  বলে সত্তি তুমি জানতে না?কবিতার পরশন?
হিমেল-না কবিতা। আমি জানি তুমি কোন হিন্দু ডক্টর কে ভালবাস এর তাকেই বিয়ে করতে চাও, 
কবিতা- কি???
আমি??? কে বলেছিল তোমাকে???
হিমেল- এক নার্স......
আমি খবর ও নিয়েছিলাম যার সবটাই তোমার বিপ্রিতে রায় দিয়েছে কবিতা, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি তুমি আমাকে ছেড়ে দিয়ে এর কাউকে......... কিন্তু প্রমান পাওয়ার পর আমি চলে আসলাম।
কবিতা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বল্ল-১ বার ও কি আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারলে না ?
হিমেল - আমি তোমাকে খুজেছি কবিতা। তোমার কারনেই আমি চিটাগাং ছেড়ে যাইনি। তুমি তো উধাও হয়ে গিয়েছিলে।
কবিতা-মিথ্যুক। খুঁজলে তুমি  বিয়ে করতে না।
হিমেল- কাকে বিয়ে করতাম?তুমি তো আমার ভালবাসার  দাম দাওনি কবিতা। যাহোক পুরনো কথা বলে লাভ কি বল? সময় তো চলে গেছে ।
কবিতা-ঠিক বলেছ। সময় চলে গেছে সত্ত কিন্তু ভালবাসা কি  ফুরিয়ে গেছে?
হিমেল-কি লাভ?
কবিতা- বুঝতে পারছি। আজ তাহলে আসি।
হিমেল- যাবে? যাও।
কবিতা তাকিয়ে থাকে  হিমেলের দিকে,হিমেল ও তাকায় একটা কষ্টের নিঃশ্বাস বুকে চেপে রেখে।

এর কিছুদিন পর .........
কবিতা মারা যায় একটা এক্সিডেন্ট এ। হিমেল এর বউ জেনে যায় কবিতার কথা... হিমেল দিশেহারা... হিমেলের  বউ হতাশ,  অবিশ্বাস এর একটা ধাক্কা তার ও যে লেগেছে.........
কষ্টে নীল হয়  কবিতার ভালবাসা;  তার সাথে হিমেল ,তার বউ ডক্টর রিনা। 

..................................................................................................................................................................।
কবিতা হারিয়ে গেল  সত্য কিন্তু তার সত্যিকার ভালবাসা হারায়নি, হিমেল  তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালবেসে গেছে কবিতাকে।কবিতা ই ছিল হিমেলের সত্যিকারের ভালবাসা ।তাই তো  কবিতার  পর পর ই হিমেল ও চলে গেল কবিতার কাছে ............

আসলেই্‌;;;;;;;;;; সত্যিকারের ভালবাসা কখনো হারায়না। 

লেখক ............। । আসমানি

Comments

  1. ভাল লেগেছে...শুভ কামনা..

    ReplyDelete
  2. ভাল লেগেছে...শুভ কামনা..

    ReplyDelete
  3. দারুন লিখেছেন

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

কুয়াশা

বঙ্গাসন—গুরুজী