ভাল থেকো আমার ভাল বাসা তোমার প্রেমিক দের নিয়ে পার্ট ২

আম্মা আমি এখন আমার লাইফ গুছাইতে চাই। আমাকে ছেড়ে দেন। আমার সবাধীনতা টুকু নিয়ে কেন আপ্নে এরকম করবেন? আম্মা আমি লেখিকা হতে চাই আমারে শুধু শুধু বিয়ে করতে বল্ বেন না। নাইমার কথায় তার মা মেয়ের গালে চড় দেন। মেয়ে হয়ে জন্মেছিস পরের ঘরে যাবার জন্য বিয়ের জন্য এইসব ছাই পাশ করে কি করতে পারবি? কত টাকা কামাই করবি? তার চেয়ে এই ছেলে ইঞ্জিনিয়ার তাকে আমার পছন্দ হয়েছে তুই একে বিয়ে কর। আম্মা আমি আপনার পা ধরি আমাকে বিষ দেন তাও আমি এরে বিয়ে করব না। আমাকে মানসিক ভাবে অত্যাচার ্করবেন না কে শুনে কার কথা মারের উপর মার চলে নাইমার উপর। তার দোষ সে নিজের পছন্দের কাউকে বিয়ে করবে আর নিজের সবাধীন মত কাজ করবে। আর পারে না নাইমা বিষ খেয়ে ফেলে তার মায়ের হাত থেকে বাচতে। সাথে সাথে থানা পুলিশ আর এম্বুলেন্স এসে হাজির । মা কে ধরে নিয়ে গেছে পারিবারিক নির্যাতনের জন্য। আর বাকি যারা ছিল তাদের ও জেরা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জেলে। এটা যদি ইউ এস এ বা উন্নত দেশ হত বিচার সাথে সাথে হত। কিন্ত ব্যাপার টা সেইরকম নয় এখানে বিচার হয় নাই মাকে ছাড়ান হল কারন তিনি বলেছেন আমার মেয়ে আমি তার ভাল চাই কিন্ত এই ভাল চাইতে গিয়ে তিনি মেয়েকে মরে যাবার দিকে উ্দভুত কেন করলেন এই প্রশ্নের উত্তর তিনি সাংবাদিক দের দিতে পারে ্নাই। বাংলাদেশের অনেক মহিলা পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। প্রতি বছর নিজের মান সম্মানের খাতিরে এই ভাবে মেধাবি মেয়েরা নির্যাতিত হয়েই যাচ্ছেন দিনের পর দিন কিন্ত সামাজিক ভাবে যদি এদের বয় কট করা যেত তাহলে হয়ত বাংলাদেশের মেয়েদের আত্ন পরিচয় এর কিছু মুল্য দেয়া হত,সাংবাদিক টিভি চ্যানেলে বলছে। নাইমার মা ছাড়া পেল। কিন্ত নাইমা হাস পাতাল থেকে সোজা মর্গের দিকে । মারা গেছে। ডাক্তার এর ভাষ্য ছিল এত বেশি মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে যে সে এমন বিষ খেয়েছে যে যাতে বেচে না ফিরে! চিকিতসকের চোখে হতাশা। বুঝাই যাচ্ছে তিনি ্নাইমাকে বাচাতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। নাইমার লাশ দাফন হল তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার মা কে আরো জেরার জন্য এর দুইদিন পর নিয়ে গেল পুলিশ। কেস টা ফিশি। তুমি কি বল জাহিদ? পুলিশ অফিসার আক্তার আলি বলছে ।স্যার কি যে বলেন প্রতিদিন যে পরিমান সুইসাইড কেস দেখি এর ভেতর এটা নরমাল। আপনি এর ভেতরে আবার রহস্য কি দেখলেন স্যার? জাহিদ তুমি কি মনে কর শুধু মাত্র মেয়েটা এই কারনে আত্নহত্যা করসে? আমার ত মনে হয় প্রেম ঘটিত কাহিনি আছে। স্যার, আজকালের বাচ্চারা এত সেন্সেটিভ হইসে যে অল্পতেই বিষ খায়। হুম। বুঝছি তুমি এটাকে সোজা ভাবে নিস কিন্ত একজন পুলিশের চোখ দিইয়ে দেখ সব ক্লিয়ার হবে। মা এর আচরন ও অসাভাবিক। আচ্ছা এই কেস কোন থানার ? বাড্ডা। জাহিদের উত্তর সাথে প্রশন কেন স্যার? আপ্নে কি এই কেস আবার আমাদের জন্য নিয়ে আসবেন কিনা? আক্তার আলি হাসি দিল। তার হাসি রহস্যময় হলেও জাহিদ স্যারের মনের কথা পড়ে ফেলেছে। সে মুখ কাল করে ফেলেছে। ১মাস ও হল না থানায় শান্তিতে আছে সে এই কেসের কারনে তাকে এখন দৌড়ের উপ্রে যেতে হবে আর আক্তার স্যার ত ঘুম হারাম করবেনই সাথে তারও। আরেকজনের কেস কেন স্যার নিজের কাধে নিবেন তার এটা জানা নাই ।মাঝে মাঝে তার স্যারের কান্ড কীর্তি দেখে চরম বিরক্ত লাগে কিন্ত কিছু বলা যাবে না। স্যারের হুকুম। প্রস্তুতি নিতে হবে । নাইমার ঘর। রং বেরঙ্গের জিনিসে ঠাসা। সেইখান থেকে এক টা ডায়েরি পায় পুলিশ। তারা সেটাকে নিয়ে যায় ইনভেস্টিগেশনের খাতিরে । সেখান থেকে তার কিছুই পায়নি তবে সাদা নীলের আকা ছবি আর অনেক গু্লো রঙ এর কম্বিনেশন এ আকা তার কিছু ছবি তারা পেয়েছে এটা কে তারা কিছুটা কাজের বলে মনে করছেন না কারন তার ডায়েরিতে লেখাজোকা কিছুই নাই। লাশের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এসে গেছে। লাশের গলায় ছিল তার দিয়া মারার চিনহ মারা যাবার আগ পর্যন্ত সে যে বাচার আশা করসে তা তার মায়ের অস্নগ্লগ্ন কথা বার্তায় স্পষ্ট। এই ব্যাপার গুলি নজরে আসছে পুলিশের । পুলিশ খুব চিন্তা করে করে এগুবে কারন ব্যাপার টা পারিবারি্রক। আমাদের দেশের মত দেশে পারিবারিক ভাবে কেউ নির্যাতিত হলে তার বিচার করা হয় না কারন এটাকে কেউ ব্যাপার বলে গন্য করে না। এই জন্য খুব সুক্ষ ভাবেই চিন্তা করতে হচ্ছে কারন লাশের উপর এ মারের চিনহ ছিল ।তাকে কিভাবে মারা হয়েছে আর এর জন্য কে দায়ি এটাই চিন্তার মা ছাড়া বাইরের কেউ কি ইনভ্লব আছে কিনা বামেয়েটাকে মানসিক ট্রমার ভেতরে ছিল নাকি যার জন্য সে এই কাজ করেছে তা ও দেখতেসে আসলে এটা মার্ডার নাকি আত্নহত্যা। suicide but it's influenced suicide আক্তার আলি এর কথা হল এটা। তার সাগ্রেদ ভাবছে স্যার এর মাথা কি খারাপ হল? সুইসাইড আবার ইনফ্লুয়েনসড হয় কিভাবে ? জাহিদ তুমি তোমার সোর্স কে বলেছ কিছু এর ব্যাপারে জানার জন্য? জাহিদ মাথা নেড়ে জবাব দেয় স্যার যা জানা গেছে তা হল তাদের পারিবারিক কলহ ছিল কিন্ত সেটা ত সব ফ্যামিলিতে থাকে । আহ জাহিদ তুমি বেশি বেহইসাবি কথা বলছ কেন বুঝতে পারছ না যে এটা মার্ডারের কাছাকাছি ,ভিক্টিম এ্ম নি তেই আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় নাই। আর এর বিচার হয় না আমাদের দেশে কারন আইন যেখানে রিয়েল মার্ডারের বিচার করে না সেখানে এই কেস ত বলেই আক্তার আলি ঘাড় ঘুরালেন। হঠাত তার মনে আস ল সাদা নীলের আঁকা ছবির কথা যা সে নাইমার রুমে দেখেছে। জাহিদ চল ।স্যার কই যাব? আবার নাইমার বাসায়। কিবলেন স্যার এত রাতে! জাহিদ পুলিশের রাত দিন বলে কিছু নাই চল। তারা দুইজনে মোট্র সাইকেল করে গেছে নাইমার মা দরজায় পুলিশ দেখে আবার আ্তঙ্কিত হয়ে উঠলেন আবার না জানি কি রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। জাহিদ আর আক্তার আলি সোজা নাইমার রুমে চলে যায়। আবার তারা ছবি গুলি দেখে আক্তার আলি কি যেন খুজঁছে কিন্ত কিছুই মিলে নাহ তারা ছবি গুলি ওয়াল থেকে নামায় আর দেখে রক্তের দাগ !চমকে উঠে তারা! একি! একি দেখছে! রক্ত! তারা দেয়াল ধাক্কা দেয় ভেতর থেকে বের হয় আরে্ক টা লাশ। থ খেয়ে যায় তারা আরসাথে সাথে যখন নাইমার মাকে ডাক তে যায় দেখে মহিলা পালিয়েছেন।তল্লাশি চলে সারা রাত বাড়ীটায় লাশ টাকে পাঠানো হয় পোস্ট মর্টেমএরজন্য।আমি জানিনা আফা এই লাশ কার ?মারের উপর মার চলে কিন্ত কিছুতেই সবীকার যায় না সে যে এই লাশ কার । পুলিশ এর এত্ত মার খেয়েও মহিলা কিছুতেই উত্তর দেয় না। এক মহিলা কন্সটেবল তাহ মিনা বলে স্যার আপ নি আমাকে চান্স দিন আমি এটা এর সাইজ করি।ঠিক আছে দেখ তুমি পার কিনা ? লাশ দেখস? না। উত্তরে বল্ল কন্সটেবল আজিজ। তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। স্যার লাশের থেকে অদ্ভুত গন্ধ। কি বলছো? জি স্যার। লাশের থেকে অদ্ভুত গন্ধ বের হচছে। কি যেন একটা ওষুধ দেয়া আছে লাশের উপর। দেখ আবদুল আজিজ তুমি কিন্তু না বুঝে কথা বলিও না তাদের মা আর মেয়ের সম্পর্কে তুমি ইন ডিটেইলস না জানিয়া কথা বলতে যেও না। লাশটা পড়ে আছে। ন্যাপথলিন দেয়া। আব দুল আজিজ যত বড় অফিসার ই হোক আজকে তার কইলজায় যেন ভয় ভর করেছে। রাতই ভর এই লাশ পাহারা দেয়া লাগবে তাকে।সাথে আরেক কন্সটেবল আছে কিন্ত সে ন্যাপথলিন এর গন্ধে না থাক তে পেরে সরে গেছে। শালা বদের বাচ্চা আব্দুল আজিজ গালি দিল। কিন্ত তার ভেতরের ধুক পুকানি কিছুতেই যাচ্ছে নাহ।তার প্রতিটি মিনিট মনে হচ্ছে এই বুঝি লাশটা উঠেই তাকে চেপে ধরে। অবাক হয় আব্দুল আজিজ একটা জিনিস দেখে যে লাশের গায়ে গয়না!?! আজ কাল ত বহু কাহিনি দেখছে সে তার মন খালি আন চান করছে আসলে কি কাহিনি। সে তার মনের ভয় দূর করে লাশের কাছে যায় হঠাত পেছন থেকে কে এক জন তাকে জাপ্টে ধরে।আব্দুল চিৎকার দিয়ে উঠে আল্লাহ বাচাও বাচাও করে। জান বাচাতে দেয় ধাক্কা। ধাক্কা খেয়ে তার কন্সটেবল আরিফ পড়ে যায় পেছনে থাকা ডোমের উপর পড়েই চিতকার দেয় বাচাও বাচাও। দুজনের চিল্লানি তে ততক্ষনে আশ পাশের লোক জন জোরো হয়। লাশ পড়ে আছে তার মতই। কিন্ত জীবিত মানুষের এই কীর্তি দেখে আক্তার আলির মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।এই সাহস নিয়ে এরা কিভাবে পুলিশ হল তার মাথায় আসছে না you fool stupid এক ধমক দিলেন। সব চুপ। স্যার স্যার আসলে অন্ধ কার ছিল।অহ শাট আপ। আমার আর কিচ্ছু বুঝার বাকি নাই। ধুম ধাম করে চলে গেল আক্তার আলি।মনের ভেতর খালি এক চিন্তা কিভাবে এই কেস এর সুরাহা করবেন।বাড়িতে আসছেন তিনি। আক্তার আলির মিসেস বেগম শাহানারার মুখে রা নাই হাসিও নাই এরকম ফ্যাকাসে একজন মহিলা তিনি উনার চেহারা দেখা মাত্রই আক্তার আলির ইনভেস্টিগেটর ব্রেন যেন চালু হই যায়। উনার ভেতরে সন্দেহ কি ব্যাপার আজকে গিন্নি আমাকে অন্যদিনের চেয়ে যেন কম ভাল দেখে?কাহিনি কি? শাহানারার দুঃখের দিন শুরু হয়েছিল যেদিন এই গোয়েন্দা সংস্থার মানুষের বউ হয়েছেন। তার মতে উনার সবামির আক্তার আলি শুধু থানায় না বাসায় ও একজন পুলিশ কারন তার সাথে রোমান্টিককথা বলার অর্থ হল নিজের বিপদ ডেকে আনা। মাঝে মাঝে শাহানারার চিন্তা হয় সে কি অতিমানবি কিনা যে কিনা এরকম একজনের সাথে সংসার করছে!! স্ত্রীর প্রতি আক্তার আলির সন্দেহের দৃষ্টি আসার আগেই ভাগ্যক্রমে আক্তার আলির ফোন ক্রিং ক্রিং করে উঠে। শাহানারা মনে মনে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিল যে বেচে গেছি!!! স্যার স্যার অইপ্রান্ত থেকে কন্সটেবল আরিফ এর চিৎকার। কি হল আরিফ?স্যার জলদি থানায় আসেন আরেক কাহিনি হয়ে গেছে। আরে আরিফ মাত্র আসছি বাসায়।কি হইসে ফোনে বল।আক্তার আলির ভাব্লেশ হীন উত্তর। স্যার আরেকটা লাশ!কি!?এই বারে লাফ দিয়ে উঠে বসল আক্তার আলি।আবার লাশ?কার?স্যার আজকে জিঞ্জিরা থেকে একটা মেয়ের লাশ পাইসি।সবাই বলছে এইটা আত্নহত্যা কিন্ত এই লাশের শরীরে চিনহ আছে আর এই লাশের কাহিনী এর সাথে আগের কেসের মিল পাইসি।কি বলছ আরিফ?এর মানে কি দাড়াল?আচ্ছা তুমি লাশটার পোস্ট মর্টেম এর ব্যবস্থা কর আমি আসছি বলেই লাইন কেটে দিল আক্তার আলি। শাহানারা টেবিলে খাবার দিয়েছি এই কথা বলতে যাবেন কিন্ত ফোনালাপ শুনে আর বলেন নাই বুঝেছেন এই মানুষকে এখন যদি টোকা দেন তাহলে আর রক্ষে নাই শুধু টিফিনের বাক্স এগিয়ে দিয়ে বলেন খেয়ে নিও। আক্তার আলি টিফিন টা নিয়েই মোটরসাইকেল এর দিকে দোউর দিল কয়েক মিনিটে উড়োজাহাজ এর মত করে তার মোটরসাইকেল থানায় উপস্থিত! জাহিদ থানায় আগেই হাজির,সাথে আছে আরিফ আর আব্দুল আজিজ যারা আগের কেসের ইনভেস্টিগেট করতে আক্তার আলি কে সাহায্য করছিল।বার মুখ কাল।কেসের কোন সুরাহা না হবার কারনে সবাই মান সিক একটি চাপে আছেন বুঝাই যায়।যাহোক আক্তার আলিকে দেখেই রিপোর্ট করল সব কন্সটেবল আরিফ। স্যার এই লাশের গায়ে মার বা দাগ নাই কিন্ত বিষ খেয়েছে। কারন কি? স্যার প্রেম ঘটিত।কন্সটেবল আরিফের জবাব। হুম।আক্তার আলির উত্তর কিন্ত তুমি বললে আগের কেসের সাথে মিল পেয়েছ সেটসা কিভাবে? স্যার এই মেয়ের সাথে যার আফেয়ার সে ছেলের সাথে আগের মেয়ে মানে আমাদের নাইমার ও সখ্যতা ছিল! কি বলছ?আক্তার আলি বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে।জি স্যার।মা আর নাইমার মাঝে রিলেশন ভাল ছিল না বাবা ছাড়া একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আঞ্জিনা বেগমের সংসার। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়িয়েছেন তিনি কিন্ত মেয়ের ইচ্ছা মানেন নাই এতে মা মেয়ের সম্পর্ক খারাপ হয়। মা বিয়ে দিতে চেয়েছিল মেয়ের কিন্ত মেয়ে বিয়েতে রাজি ছিল না আর তার সবপ্ন ছিল লেখিকা হিসাবে প্রতিষ্টিত হবে।সেই সময়ে এই ছেলের সাথ্ সম্পর্ক ছিল বলে আমার ধারণা স্যার। আচ্ছা এসব খবর পেলে কেম্নে?জাহিদ বলে উঠে স্যার আমার সোর্স জানিয়েছে এসব।হুম গুড জব জাহিদ।আক্তার আলির মেজাজ ভাল হয়ে গেল। কিন্ত স্যার একটি প্রশ্ন আসছে মাথায় কন্সটেবল আব্দুল আজিজ এর কিউরেটর মার্কা চেহারাটা দেখে আক্তার আলির মাথা খারাপ হয়ে যায় আর তার বেকুব মার্কা প্রশ্ন বিরক্ত সহকারে বলেন তিনি বল কি বলতে চাও।স্যার ইয়ে না মানে যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে নাইমার মাকে আটকে রেখে লাভ? আক্তার আলি এইবার খুশিনহয়েছেন বুঝা গেল এতদিনে হাবাগোবা আব্দুল আজিজ এর মাথা খুলেছে। রাইট। না স্যার আমার নাইমার মাকে ছাড়ার ব্যাপারে আপত্তি আছে।নাইমার মা তার আপন মা না।কি!এসব কি ঘুরিয়ে কথা বলছ?আক্তার আলি থ খেয়ে গেছেন এখন। জি স্যার ডিটেকটিভ এর মত জবাব জাহিদের।তাহলে? স্যার এখন উপায় কি? আব্দুল আজিজ এর প্রশ্ন। আক্তার আলি গভীর ভাবনায় চলে গেছে। স্যার আমার ধারণা হল একই ব্যাক্তি দুই জায়গায় প্রেম করেছে আর উদ্দেশ্যে হাসিল হবার পর মেরে লাশ ফেলে গেছে। তুমি এতো শিউর হচ্ছ কেম্নে?আক্তার আলির প্রশ্ন জাহিদ এর কাছে স্যার লাশ দুইটাই বিষ খেয়েছে এই একটা ক্লু আছে আমাদের। সুতরাং কাহিনি যাই হোক কোথাও একটা কানেকশন আছে। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই দুইজনেরই লেখালিখির শখ! এক্সিলেন্ট জাহিদ এই কেস সলভ করতে পারলে আমি তোমার প্রমোশন এর জন্য সুপারিশ করব।আক্তার আলির হাসিমুখ দেখে জাহিদের প্রতি বাকিদের হিংসা শুরু হল। ধ্যাত এত কষ্ট করি আমি খাটি আর ফল পায় জাহিদ কন্সটেবল আরিফ এর খেদোক্তি। যাই হোক এই কেসের সুরাহা হলেই আরিফ বাড়ি যাবে এই হল প্লান।কিন্ত কেস ত খালি প্যাচ খায় খুলে না খালি এক একটা কাহিনিতে কেস আবারো প্যাচ খেয়ে যায় লাশ টা মানে ২য় যে মেয়েটা মারা গেছে এই মেয়ের পরিবার ও তার জীবন যাপন নিয়ে কথা হচ্ছিল জাহিদের সাথে আক্তার আলির ঠিক সেই মুহুর্তে খিবর আসছে বাড্ডা থানায় এক লোক নিজেকে নাইমার খুনি বলে পরিচয় দিচ্ছেন! আক্তার আলি ত থ!তবে বুঝতে পেরেছেন যে নিশ্চিত কোন কাহিনি আছে। জাহিদ আর আক্তার আলি বেরিয়ে যায় বাড্ডা থানার উদ্দেশ্যে। থানায় পোউছে তারা যা দেখে তার দৃশ্য হল এমন পুলিশ এক সাদা ধবধবে পাঞ্জাবি পড়া এক বয়স্ক ব্যাক্তিকে আটক করেছে!এটা দেখে কেউই বিশবাস করেনাই কারনেই লোকটা একদম সাদা মনের এই ইনফরমেশন তারা বাড্ডা থানার লোকজন থেকে পেয়েছে। তার হাতে কিছুনপেইন্টিং। পুলিশ তাকে রাস্তায় মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সকল গাড়ির সামনে একটা প্ল্যাকার্ড হাতে থাকা অবস্থায় ধরেছে।প্ল্যাকার্ডে লিখা ছিল আমি নাইমার মাকে ভাল বাসি!তাই নাইমাকে হত্যা করেছি! এরকম অদ্ভুত একটা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাড়ানোর কারন কি?আক্তার আলির প্রশ্ন? লোকটা চুপ।উত্তর দেন চাচা?জাহিদের ধমক।তাও জবাব নাই। বাড্ডা থানার ওসি আলম বলছেন মনে হয় পাগল হয়ে এসব লিখেছে আমি বা আমরা বেশি কিছুক্ষঞ্জেরা করেও তেমনকিছুই পাইনি কাউকে বাচতে দেবে না কাউকে না হঠাৎ লোকটা চিৎকার করে উঠে আক্তার আলি তাকে জাপ্টে ধরে বলে এই কি বলিস?লোকটা হলদে দাত কেলিয়ে হাসছে আর বলে আমাকে জেলে দেন প্লিজ। আক্তার আলির এইবার সন্দেহ হয়।এই চাচা আপনার আসল উদ্দেশ্যে কি? জানে বাচা স্যার।আমাকে বাচান। হঠাৎ বুড়া চাচা আতংক নিয়ে বলা শুরু করে। স্যার আমি একজন পেইন্টার। আমি নাইমার মাকে ভাল জান তাম তার সাথে আমার সম্পর্ক ও ছিল স্যার আমাদের বিয়ের কথাও ছিল কিন্ত এক দিন এই বলেই সে চুপ হয়ে যায়। তার চোখে মুখে আতংক প্রকাশ পায়। কি হয়েছে বলেন আক্তার আলির জোরে শোরে চেপে ধরে সেই অজানা মানুষ কে। কারন তার কথস বার্তায় তাকে পেইন্টার মনে হচ্ছে না। তখন অচেনা মানুষ টাকে আক্তার আলি বলে দেখ এই মুহুর্তে রা যদি সত্য কথা না বলিস তাহলেলিশ এর এই বেতের মাইরের ঠেলায় তোর কথা বের করব। ভয়ে সে বলতে শুরু করে স্যার আমি একজন হেরোইনচি,মদ, গাজা সহ হেন কোন কাজ নাই আমি করিনি।এখন জেলে যাইবার ডরে কই।আমার নামে ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ আমারে ছাইড়া দিসেস্যার। অত্যন্ত বিরক্তি নিয়ে আক্তার আলি বলতে থাকেন তুই নইমাকে কিভাবে জানিস? নাইমার মায়ের সাথে প্রেম ছিল আমার। আমি আর নাইমার মা আমরা বিয়ে করতে চাইসিলাম কিন্ত নাইমা রাজি হয়নাই।আক্তার আলি এইবারে আসগর মিয়ার কলার চেপে ধরেন আর বলেন আসল কথা বল এই বলেই কিল ঘুষি আর ডান্ডার মাইর শুরু করেদেন।মাইরের চোটএ অজানা মানুষ আসগর মিয়া বলতে শুরু করে আসল ঘটনা। আমিনা বানু মানে নাইমার মায়ের সাথে আমার পরিচয় আর সম্পর্ক হয় ৫বছর আগে।নাইমা কে তার বাপ বিয়ে দিয়ে দিবে আর আমরা নিজেরা নাইমার বিয়ের সাথে সাথে বিয়ে সারব।কিন্ত.. আসগর আবার চুপ।কিরে বলিস্ না কেন? নাইমার একজনের সাথে প্রেম ছিল। ছেলেটা অনলাইনে কি করত জানি।সেই ছেলের সাথে আমার ও এক দিন দেখা হয়।আর আমি ছেলেটা কে দেখে ভাল মনে হয় নাই।কিন্ত মা ত সে শুনে নাই মেয়ের পছন্দ মত বিয়ে দিতে চায়।আরেক দিকে তার আগের জামাই মানে নাইমার মা বিয়ে দিয়ে ফেলে নাইমাকে।এখন বিয়ের পর নাইমা চায় তার মতন চলবে সে কিন্ত জামাই ত তারে সব দিয়েছে কিন্ত নাইমার মনে শান্তি নাই কারন সে কি ছাইপাশ লেখে পত্রিকায়। এর মাঝে আমার আর নাইমার মা বিয়ে সাদির চিন্তাটা বাস্তবে পরিণত করতে সবার সাথে পারিবারিক ভাবে আলাপ করি।কিন্ত বাধ সাধে নাইমা।নাইমা বাধা দেয়ায় আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়। এরপর সে চুপ করে। আক্তার আলি তাকে পানি দেয়।পানি খেয়ে সে বলতে শুরু করে। আমি তখন বলে দেই আমি তোর মাকে বিয়ে করবই করব নাইমা চিৎকার দিয়া কয় হারামি হেরোইন চি ইয়াবা ব্যবসায়ী তোরে আমার বাপে মাইরে খেদাবে আর আমার সাথে তুই তোকারি করিস তোরে আমি জেলের ভাত খাওয়াব।তুমুল ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমি আমার মাথা ঠিক রাখতে না পেরে... পিস্তল দিয়ে নাইমাকে গুলি করি। নাইমার মা চিতকার দেয় নাইমা বলে।সেইখানে আরো যে ছিল তিনি আমাকে ধরে ফেলেন আর এরপর আমি জানি না স্যার।এখন আমি আপ্নাদের সামনে। আক্তার আলি তখন বিলিভ করে নাই আসগরের কথা।তার রেকর্ড ভাল না এবং তার নামে কেস আছে গুলশান থানায়,আর বাগেরহাট এর পুলিশ তাকে খুজছে চোরাই মদ আর নারি পাচারকারিনহিসাবে। কিন্ত স্যার লাশের গায়ে ত কোন গুলির চিনহ নাই। এই শালা মিথ্যা বলছে।একে ধরে আরো মাইর দেন তাহলে সব বেরিয়ে আসবে।ওসি আলম আর জাহিদ তাকে ধরে নিয়ে বেদম মার দিল। এমন মার যে মরে যাবার উপক্রম হলো। আক্তার আলি তখন তাদের থামালেন। কিছু বলেছে? না স্যার। জাহিদের উত্তর। আচ্ছা নাইমার যে সবামি সে কই?আক্তার আলি হঠাৎ করে বলে বসেন।স্যার নাইমা যে ম্যারিড এই কথায় ত আমরা এখন জানলাম।তাহলে নাইমার মাকে ধরে আন।সেই সব জানে।সে কেন মেয়ে বিবাহিত এই কথা চেপে গেল। নাইমার মাকে ধরে আনা হল।মহিলা খুব চালাক এবং তার সকল কিছু চেঞ্জ হয়ে গেছে দেখে অনেক অবাক হল তদন্তকারি কর্মকর্তারা। যাহোক তিনিথানায় পা রেখেই আসগরকে দেখেই একটু ভ্যাবাচেকা খেলেন কিন্ত নিজেকে সাম্ লে ফেলেন আর আক্তার আলির সাম্নের চেয়ারে বসে যান অনুমতি ছাড়াই। আক্তার আলি তখন তাকে জিগেস করেন আচ্ছা আপনার বাড়িতে ওয়ালের ভেতর থেকে আমরা এক টা লাশ বের করর আনলাম আর আপনার মেয়ে মারা গেল মাত্র ৪০/৪৫দিন এর ভেতর এ আপনার এত পরিবর্তন? কারন্ টা জান তে পারি? নাইমার মা বলেন দেখেন মেয়ে আমার বিষ খেয়েছে সুতরাং অইরকম একটা মেয়ের জন্য মন খারাপ করে কি লাভ? আক্তার আলি বলেন আপনার মেয়ের জামাই কই?এই কথা শুনে নাইমার মা লাফ দিয়ে উঠে কিসব যা তা বলে যাচ্ছেন আপনি? আমার মেয়ে একটি আন ম্যারিড মেয়ে ছিল। তখন আক্তার আলি তার হাতে নাইমার কাবিনের কাগজ বের করে দেন।এইবারে নাইমার মায়ের চেহারায় একটা চিন্তার ছাপ দেখা যায়। মহিলা আমতা আমতা করে বলেন আসলে নাইমার সাথে তার জামাই এর বনি বনা হচ্ছিল না তাই আমিনকথাটা বলিনি। অহ তাই?আক্তার এর শোন দৃষ্টি। আপনি মহিলা মানুষ এর উপর নাইমার মা হয়ে আপ্ নি মেয়ের জামাইকে খবর দেন নি কেন যে নাইমা বেচে নাইন্সে বিষ খেয়েছে? আমেনা সাহাবী এইবারে লাইনে আসছেন।ভয়ে আতংকে তার চেহারা দেখার মত হয়েছে। বলেন জবাব দেন কি হয়েছিলো সেদিন?আর এই ২য় লাশ কার? মহিলা আতংকে বলতে শুরু করেন কারন না বললে বাচার উপায় নাই। সে বলতে শুরু করে। নাইমা আমার নিজের মেয়ে সত্য কিন্ত আমার আগের জামাই সম্প্রতি তার নামে অনেক বড় আকারের ব্যাংক ব্যালান্স রেখে যায় আর বিলাতে তার বাপের বাড়ি তাকে দিয়ে যায়।অভাবে আমার জীবন আর নাইমার জীবন দুইজন ই কষ্ট করতে হচ্ছিল তাই আমি এই বুড়ার সাথে মিলে সংসার এরখরচা দিতে থাকি আর নাইমা জানত না তার বাপ তাকে এত কিছু দিয়েছেন। তখন আমি ফন্দি করি নাইমাকে বুদ্ধি করে আমরা দুই জনে মিলে বিয়ের কথা বলে ডেকে নি।কিন্ত জানা ছিল না আমার মেয়ের এই অবস্থা হবে।রাগের মাথায় তারে গুলিনকরে দেয় আসগর। আমার সামনে আবারও মিথ্যা?আসগর গুলিনকরলে তার চিনহ কই? আছে।নাইমার শরীর এ আমরা সে মারা যাবার পর আমরা সেলাই করে দেই যাতে কেউ ধরতে না পারে যে তাকে গুলিকরসে। কিভাবে? আক্তার আলির প্রশ্ন।আমেনার উত্ত র।আসগরের কাছে এমনকিছু প্লাস্টিকের মত কাভার ছিল যা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিলেই কেউ ধরতে পারবে না যে লাশের গায়ে গুলির চিনহ্ন আছে। নাইমার জামাই কই এখন?আক্তস্র আলির প্রশ্ন। স্যার জাহিদ দোউরে এসে বলে স্যার পাওয়া গেছে। কি পেয়েছ?আক্তার আলির প্রশ্ন নাইমার জামাই!! জাহিদের জবাব। আক্তার আলি তাকে ডাকেন। হ্যালো ইয়াং ম্যান। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে। কোন উত্তর নাই। তাকে পেয়েছ কিভাবে জাহিদ? মান সিক হাস পাতাল থেকে স্যার। উনার নাম শ্যামল। নাইমাকে অনেক ভাল বাসে।নাইমা মারা যাবার পর থেকেই তিনি এই অবস্থায়। স্যাড।আক্তার আলির শোক প্রকাশ। এই যে বলেন এইটা আপনার মেয়ের জামাই? হ্যা।নাইমার মায়ের জবাব। কত টাকার সম্পত্তি পাইত নাইমা?আক্তার আলির প্রশ্ন। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার চেয়ে একটু বেশি। জাহিদের জবাব।বাহ জাহিদ তুমি একটি জিনিয়াস এই কতক্ষনের মাঝে তুমিন্সব ইনফরমেশন কালেক্ট করে ফেললে!দারুন।আক্তার আলি অত্যন্ত খুশি আজকে। তা আমেনা সাহাবি আপনি ত আপনার মেয়ের হত্যার বিচার চান তাই না? নাকি তাও চান না? চাই।আমেনার উত্তর।আপ্নি যা যা বলেছেন তা যদি সঠিক হয় তাহলে আমরা আপনাকে সবসম্মানে ছেড়ে দিব। আক্তার আলি এবারে নাইমার জামাই এরদিকে চেয়ে বলতে শুরু করে বউ চলে গেছে বলে এত মায়া?!আমাদের দেশে রেয়ার কি বল জাহেদ?স্যার প্রেম ছিল ত বুঝতে হবে। আক্তার আলি হো হো করে হেসে উঠে। যাহোক, এই মানসিক রোগি কে নিয়ে যাও ইনভেস্টিগেশিন কর আর কিছু ক্লু পেলে আমাকে জানাও। আবার নাইমার মায়ের দিকে ঘুরে যান আক্তার আলি বলেন আপনি। নাইমা কে মেরে লাভ কি হল? থমকে যান তিনি।আমেনা সাহাবির জীবনে এরকম দিন আসবে তার এটা ভাবনায় ও ছিল না তিনি ত ভাবতেই পারেন নিযে একদিন তাকে নিজ সন্তান কে হত্যার দায়ে থানায় বসে থাকা লাগবে।তিনি চোখের পানি মুছে যাচ্ছেন। আক্তার আলি তাকে কোর্টে চালান করে দিতে বলে। দুইমাস পর..... কোর্ট রায় দেয় আমেনা সাহাবি তার লালসার জন্য তার কন্যাকে জোর জবরদস্তি করে বিয়ে দিতে চান কিন্তু মেয়ের আরও পড়াশোনা আর লেখিকা হবার বাসনায় ছেদ পড়ে যাবে বলে তিনি আর জোর করেন নি কিন্ত আমেনার উদ্দেশ্য ছিল তার মেয়ে নাইমার নামে উইল করা সম্পত্তি।তিনি কোর্টের কাছে সবীকার করেছেন যে তিনি তার মেয়ের নামে তার বাবার করে যাওয়া উইল পেতেই এইরকম নির্মম ভাবে নাইমা আর তার নন্দাই কে হত্যা করেন তিনি!পত্রিকার পাতা, মিডিয়া সর্বত্র এই চাঞ্চল্যকর হত্যার রিপোর্ট প্রকাশ হয়। রিপোর্টে বলা হয় নাইমা তার বাবার আর মায়ের সন্তান হলেও আমেনা সাহাবি এর এক সময় কার উশৃংখল জীবন দেখে তারবাবা তার নাম না দিয়ে তার সন্তানের নামে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেন।সন্তান যদি ছেলে হয় তাহলে সে সব পাবে আর মেয়ে হলে মেয়ে আর মেয়ের জামাই পাবে। এটা আমেনা মেনে নেয় নাই সে তার উছৃখলতা ছাড়ে নাই উল্টো আরো বেশি খারাপ হয়ে যায় সেই সময়ে।এই সব দেখে উনার ধনী পিতা তাকে জোর পুর্বক এক গ্রামের বাড়ি থেকে ধরে আনা এক ছেলের হাতে তুলে দেন। এই জেদে আমেনা তার বাবার গায়ে গুলি করে।এরপর আমেনার জেল হয় কিন্ত বিয়েটা আর তিনি ঠেকাতে পারেন নাই বিয়ে হয় সেই অজ পাড়ার সেই ছেলের সাথেই। নাইমার জন্মের আগে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেলেই উইল এর ব্যাপারে জেনে যান তখন তিনি নাইমাকে জন্ম দেন। মেয়ে হয়েছে দেকেহ আমেনা তাকে বেশ কবার মেরেও ফেলতে চেয়েছেন কিন্ত নাইমার বাবার কারনে পারেন নি স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনি আরও বলেন অনেক বারমেরে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন কিন্ত পারেন নাই। প্রতিবারই কেউ না কেউ তাকে বাচিয়ে দিত। সব শেষ এ তিনি এবিং তার হবু বর ঠিক করেন যে তারা নাইমাকে মান সিক রোগি বানিয়ে ফেলবেন আর তার জামাই কে হত্যা করে দেয়ালে চিরকাল এর জন্য কবর দিয়ে দিবেন আদ এই প্লানের সামিল ছিল তার হবু বরের ছেলে। আমেনা সাহাবি নিজের মেয়েকে মারতে চাইলেও তাকে বাধা দেন সেই লোকটা যাকে তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, এর মাঝে তিনি নাইমার বাবাকে ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলেন কারন তার সবামিকে তিনি কোন দিন মেনে নেন নি আর তার বায়াব্র সম্পত্তির কেয়ার টেকার ছিল সে। পুলিশ কাসডাটিতে নাইমার হত্যাকারী হিসাবে এবং তার সবামিকে পাগল হিসেবে আইডেন্টিফাই করার মত অপ রাধ করায় নাইমারমা আমেনা সাহাবিকে মৃত্যু দন্ড দেয়া হয়েছে। আর তার হুবু বয়ফ্রেন্ড কে যাবতজিবন কারাদন্ড দেয়া হল। .…....…............................................ অন্যদিকে.. উইল মোতাবেক নাইমার সবামিকে নাইমার সমস্ত সম্পত্তি এর উত্ত রাধিকার করা হল নাইমার লাশের সাথে যার লাশ ছিল সেটার তথ্য ও পাওয়া গেছে এটা ছিল কেনা কারও লাশ যা বেওয়ারিশ। ই চ্ছে করেই এই কাজ করা হয় যাতে পুলিশ ধাধায় পড়ে যায়। নাইমার কবরটা অনেক সুন্দর হয়ে আছে সেখানে অনেক কাঠ গোলাপ ফুল ফুটেছে, মনে হচ্ছে সে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল জায়গায় কছে৷ এখন। কবিতা খাতাটা তার কবরের উপরে রাখল শ্যামল। কিভাবে কিভাবে যেন বুঝে গেল সে নাইমার কবরের সামনে আছে। আর হঠাৎ হাউমাউ করে কেদে উঠে বলছে আমি মেরে ফেলেছি তোমায়, আমার জন্য আজ তুমি বেচে নেই। আক্তার আলি, জাহেদ সহ সকলেই কবরে দাঁড়িয়ে দোয়া করলেন আর নাইমাকে একটু আগে শুইয়ে দিতে দিতে তার বন্ধু রা কাদছে আর বলছে আমরা তোকে লাশ হয়ে যেতে দেখতে চাইনি.... শ্যামল দাড়িয়ে আছে... যার যার মত করে সবাই চলে যাচ্ছে আক্তার আলি শ্যামল কে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিলে শ্যামল চিৎকার করে বলে উঠে ভাল থেক আমার ভাল বাসা আমিও আসছি বলেই ঝাপ দিয়ে দিল গাড়ির নিচে পরক্ষণেই লাশ হয়ে গেল সবার চোখের সামনে!সবাই কে তাক লাগিয়ে দিয়ে চলে যায় শ্যামল তার ভাল বাসার কাছে। আক্তার আলি হতবাক তার সাথে পুলিশ এর বাকি কর্মকর্তা রাও। তিনি বুঝতে পারছেন না শ্যামল বদ্ধ উন্মাদ হয়ে কিভাবে?! রিপোর্ট দেয়া হল আর তার সেই ডায়েরি যেটায় কবিতা লিখে রাখত নাইমা।আক্তার আলি ঘেটে দেখেন সেই কবিতায় লেখা আছে শ্যামল চক্রবর্ররতি! মন আজ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে জাহেদের, বাড়িতে ফিরে আর কারও সাথে কথা না বলে সে চুপ চাপ নিজের ঘরে যায় আর হাত মুখ ধুয়ে চুপ মেরে বসে থাকে ভাল বাসা অদ্ভুত! এই ভাবতে ভাবতে সে পরের কেসে র জন্য ফাইল গুছায় আর নাইমার কেস অফ করে দিতে বলে অফিসে। আক্তার আলি সিগারট এ একটি সুখ টান দেন আত্ন তৃপ্তি নিয়ে আজ তার মুড ভাল, স্ত্রীর সাথে বেশ গল্প করছেন। তার স্ত্রী অত্যন্ত অবাক এই পরিবর্তন এ! তাও তিনি খুশি যে তার সবামির পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আক্তার আলি এর মন এত পাথরের মত না যে আজকের ঘটনা ভুলে যাবেন।বাথরুমে এর দরজা আটকে ১ম বারের মত কেদে গেলেন। আমার জীবনের এত বছর এর পুলিশ এর ক্যারিয়ারে যা দেখিনি তা দেখলাম.... রাত প্রায় ভোর হয়েছে আবার সেই পুলিশ স্টেশন, চোর বাটপার ধরে ধরে জেলে পুরা এই ত জীবন। শুধু আশা আক্তার আলির নাইমার মত করুন মৃত্যু যেন আর কাউকে বরন করতে না হয়।

Comments

  1. nice article admin. please visit our aznews website for more new update news.

    ReplyDelete
  2. Thanks share my blog in your site. people should know our families situation in coronatime

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

কুয়াশা

কবিতার ভালোবাসা ......

বঙ্গাসন—গুরুজী