রাতের পাখি

রাত ২টা। চট্টগ্রাম রেল এলাকা। ঘুটঘুটে আধার। কারও পক্ষেই এর ভেতর দিয়ে গিয়ে বাসা পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব না। সেই মুহুর্তে কিচছু না দেখা যাওয়া অন্ধ কারে হঠাত কেউ যেন চেপে ধরে আসলাম সাহেব কে । ছুরি ধরে সব নিয়ে যায়। আসলাম সাহেব সউদি আরব থেকে আজকের রাতের ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তার বাড়ি চট্টগ্রাম এ। তিনি আরবি মেয়ে বিয়ে করে সউদি সেটেল্ড। আবার দেশেও উনার এক বউ আছেন। যাহোক এই মুহুর্তে তার যা খোয়া গেল এর জন্য তিনি মোটেও প্রস্তু্ত ছিলেন না । রীতি মত খাস চাটগাইয়া ভাষায় যত গালি আছে সব দিলেন। তিনি এই বারে দেশে এসে রেলে চড়ার কারন তিনি শুনেছেন দেশে রেল এর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে তাই তিনি ও দেখতে চেয়েছেন কেমন হল উন্নতি। পুরাই আরবি তে ও কিছুক্ষন গালি দিলেন । এরপর তার ভেতর পকেট এর থেকে চশমা আর টাকা বের করে কো ন মতে বাসায় ফেরেন । বাসায় ফিরে এসে নিজের পুরান বউকে দিলেন গালি মানে আসার পর থেকেই গালিই চলছে ব্ৃষ্টির মত থামা থামি নাই। কিছুক্ষন আরবি ভাষায় আর কিচছুক্ষন বাংলায় আবার কতক্ষন বাঙ্গআরবিও চলে বাংলিশ এর মত। এরকম গালি কে কাউন্টার দিতে হঠাত উনার ৮ বছরের পুত্র হামিদ কায়সার আরবি তেই বাপকে উত্তর দিতে শুরু করে। আসলাম সাহেব চুপ ত হন ই এবং অবাক হয়ে ছেলের আরবি শুনে তাকিয়ে আছেন । কিচছুক্ষন পর উনার পুরান মানে ১ম বিবি আউজা বেগম পানির গ্লাস এবং খাবার নিয়ে হাজির হলে তিনি সেই গ্লাস আর বাটি ছূড়ে ফেলতে গিয়েও আট বছর পর ছেলে কে দেখে তা আর করেন নাই । তিনি পুত্রের গুনে এত টাই মুগ্ধ যে বাপকে যে পুত্র গালি দিয়েও উত্তর দিয়েছে আরবি তে এর আনন্দে হাসছেন। এই জগতে সন্তানের মুখ দিয়ে আরবিতে গালি শুনার সৌভাগ্য আর কত জন বাপের আছে জানা নাই হয়ত এই আনন্দে আছেন ।আউজা বেগমের আজকে আনন্দের দিন তার সবামী দেশে আসছেন আজ ৮ বছর পরে । মানে তার আনন্দের সীমা নাই। তিনি জামাই এর সকল আওশ পুরন করতেই এত বেশি ব্যস্ত যে ভুলেই গেছেন তাকে নতুন করে আবার সাজ গোজ করতে হবে । বলা বাহুল্য চট্টগ্রাম এর মেয়েরা এই সাজ গোজে ভীষন পারদর্শি। তিনিও তাই সবামির খেদ্ মতে লেগে যান। কিন্ত তার জানা হল না এই যে তার সবামীর তিনি ছাড়া ও আরেক জন রাতের পাখি আছেন, হায়রে অবুঝ বংগ নারী কবে তুমি হবে নিজের জীবনের কান্ডারি! পরদিন সকাল বেলা... আসলাম সাহেব সবাইকে গিফট দিয়ে যাচ্ছেন। তার ভেতর আউজার ভাগে একটি দামি সবর্নের সেট পড়ে গেছে।এতে তিনি যারপরনাই আনন্দিত। এর ভেতর হঠাৎ একটি বিদেশি ফোন। অপর প্রান্তে এক আরবি নারী কথা বলতে চান তার সবামি এর সাথে। আস লাম সাহেবের ছোট্ট সেই ছেলের হাতে ফোন পড়ে। আস্ লাম সাহেব ছেলের আরবি ভাষায় কথা বলা শুনে ছেলেকে উপ হার দিয়েছেন এই ফোন কিন্ত তিনি ভুলে যান সেই ফোনে তার আরেক স্ত্রীর নাম্বারের কথা। ছেলে তার বেশ বুদ্ধিমান। বাপের কীর্তি ধরে ফেলে।আরবি অই মহিলার সাথে সে কথাও বলে। মহিলা কে সেই আট বছরের মাদ্রাসার ছাত্র আরবিতেই জানায় উম্মি (আম্মা)আমি আপনার সবামি এর ১ম ঘরের সন্তান। আরবি মহিলা ত ক্ষেপেই শেষ। দাত বত্রিশ টা বের করে সেই পিচ্চি বাপের হাড়ির সমস্ত খবর নেয়। আর সেই আরবি মাকে অনুরোধ করে যেন তার বাপ কে ফেলে না দেয়।মহিলা সেই ছেলের আরবিতে উম্মি শুনেই খুশিতে আত্ন হারা।এরকম্ ছেলে কত মায়ের হয় মনে হয় জানা নাই!। আস লাম সাহেব ত বিজি এখন তার দম ফেলার সময় নাই কাওরন আত্নীয় সবজন সবাই তাকে বহুদিন পর দেখেছেনের জন্য তার চার পাশে দাওয়াত আর দাওয়াত এর ছড়াছড়ি। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল তখনও তিনি জানেন না তার কীর্তি ধরা পরসে তার আরবি জানা ছেলের কাছে।আস লাম সাহেবের তিন ছেলের মাঝে এই ছেলে ছোট । বাকিরা ছোট। তিনি বছরে দুইবার আসা যাওয়া করতেন কিন্ত আরবি বেগম এর কারনে বর্তমানে তার যাওয়া আসা কমে গেছে। এখন আজকে অনেক বছর পর তার দেশে আসা।অনেক পরিবর্তন হয়েছে দেশের। ইন্টারনেট এসে গেছে।রাস্তা ঘাট আগের মত নাই। এমন কি তার ছেলের মুখে পরিস্কার আরবি ভাষায় কথা শুনা আসলেই একটা বিশাল ব্যাপার। কারন আস লাম অশিক্ষিত এবং লেবার হিসাবে নিজেরে প্রতিষ্ঠিত করতে তার আরবি শেখাটা অনেক শিক্ষার বিষয় তার জন্য। এই কারণে তিনি যখন জানতে পারেন তার তিন ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন এবং প্রত্যেক কে ভাল শিক্ষিত হচ্ছে। চিটাগাং এ আরবি জানা এবং এই লাইনে পড়ে যারা তাদের প্রত্যেকের অনেক সম্মান। এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। আউজা কে তিনি এর জন্য এখন একটু সম্মান দিচ্ছেন নয়ত তার প্রতি আস্লামের মোটেও ভাল বাসা নাই।সকল ভাল বাসা আরবি বেগমের জন্য। যার পকেটে দিনারের ছড়াছড়ি। আউজা বেগম। পান চিবুতে চিবুতে গালের কোণে রস পড়ে যার আজ তার অনেক আনন্দের দিন। তিনি আজকে সেজে গুজে দাত গুলি মেজে সুন্দর হইয়েছেন। রেডি হচ্ছেন সবামি এর সাথে বেড়াতে যাবেন। কিন্ত তার সবামি আস লাম একটি ফোনে এত ব্যস্ত যে আউজার দিকে তাকাতে পারছেন না।আউজা অনেক আশা করে সেজেগুজে বসে আছেন। আসলাম তার আরবি বউ কে বুঝিয়ে আউজার কাছে আস ল। আউজা ফুপিয়ে কেঁদে দেয় আর বলে আজ এতাজ্ঞিন বচ্ছর ফরে আই অনে আরে চাইতু ন লাইজ্ঞুন।(মানে আজকে এত বছর পর এসে আপনি আমাকে দেখছেন না) আস লাম এর মন যে ঘুরে গেছে আউজা এখনো বুঝতে পারেননি। আউজাকে আসলাম এর আজকে ভাল লাগে না। বাংগালি মেয়ে আর কি সুন্দর। আরবির ভাষায় তিনি আউজাকে গালি দেন।আউজা বুঝে সবামি তাকে সম্মান করছেন কিন্ত তার সেই গালি যেই ছেলের কানে যায় সে তার মাকে জানায় তার বাপ আরবি বেগম বিয়ে করেছেন। আউজা শুনেই বেহুশ হয়ে যান।তার গলার সবর্ন তিনি ছূড়ে ফেলে দিতে দিতে বেহুশ।কি শুনলেন তিনি। আর যায় কই সবাই চেপে ধরে আস লাম কে। আসলাম কিছুতেই তার অপরাধ সবীকার করছেন না। তার বউ আউজা আকাশ বাতাস ভারি করে কান্না শুরু করে দিয়েছে এবং বলছে হায় আল্লাহ আমার কিহবে এখন ? এর কম চিতকারে আস লাম এর বাড়ির আশ পাশের মানুষ সব জোড়ো হয়ে গেছে তত ক্ষনে। আস লাম রাগের মাথায় চিৎকার করে বলে তালাক তালাক তালাক!!! আউজা এর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায় । আউজা জান তে চায় তার অপ রাধ কি? অশিক্ষিত আউজা কিছুতেই সবামি কর্তৃক তালাক পেয়ে পাগল প্রায় ।কিন্ত আস্ লামের সেই দিকে নজর নেই সে আরবি মেয়ের ফাদে বাধা পড়ে গেছে। আউজার ছেলে মানে আমাদের আসল্লামের বড় ছেলে এসে মায়ের তালাকের কথা শুনে বাপকে মারতে যায় । ঘটনা খারাপের দিকে যাবার আগেই সকলে মিলে ঠিক করে গ্রামের মেম্বার সহ মুরুব্বিরা মিলে এর একটা সমাধা করার । কিন্ত কম এবং অশিক্ষিত আউজা ও আস লাম এর আবার এক সাথ হবার আশা ক্ষীন। সকলেই চিন্তিত। পর দিন সকাল বেলা, আউজার সবামি আসলাম এখন আরবি বেগমের সংসার এর জন্য আকুল কারন আরবি বেগম তাকে সউদিতে সকল জায়গা সহ সকল বিষয় আশয়ের মালিক বানাবেন এর জন্য সে কোন ভাবেই আরবি বেগম কে ছেড়ে দিতে রাজি না। আর আউজা যে তাকে বিদেশে যাইতে যত টাকা দিসিল সে সব কথা বেমালুম ভুলে গেছে এখন এই মুহুর্তে তার কাছে আউজার চেয়ে সুন্দরি এবং টাকা ওয়ালা আরবি বেগম কে তিনি বেশি পছন্দ করছেন। আউজার কথা তার আদতে মনে নাই। মনে মনে বলছি আউজা তুমি কিভুলে যে আস লাম কে দুবাই যাইবার টাকা দিয়েছ জানা নাই। আস লাম তাহাকে কিছুতেই মেনে নিবে না। আউজার কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয় কিন্ত আস্লামের মন গলে না। সালিস বসেছে আজ উঠানে ,যে উঠানে আউজা এক দিন বউ সেজে এসেছিল সে উঠানে আজ সালিস বসেছে । আকরাম মেম্বার এলাকার নতুন মেম্বার । দেখতে খুব সুন্দর না কিন্ত যথেষ্ট সুঠাম দেহের অধিকারি এই ব্যাক্তি এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে তিনি যথেষ্ট তৎপর। এই কারনে উনার অনেক সুনাম আছে এলাকায়। আজকের ঘটনায় তিনি যার পরনাই বিস্মিত । কারন আস লাম তার চাচাত ভাই। আত্নিয় বাড়ির এই কাহিনি শুনে তিনি মর্মাহত। যাই হোক সালিস এর জন্য তিনি আসলেন আসলামের বাড়ি বাড়িতে মহিলা বলতে আস্ লামের বউ আর চাচি মানে আস লামের মা। এই সব শুনার পর তার মনের কি অবস্থা সেইটাই ভাবছিল মেম্বার। ভাব তে ভাবতে সে আসলাম এর বাড়িতে এসে হাজির । আস লাম এবং অন্যরা যারা আজকের সালিস এ আছেন তারা সবাই উপস্থিত হয়েছে সাথে মাওলানা সাহেব ও এসেছেন তাকে ডাকা হয়েছে কারন আস লাম তার বউকে তিন তালাক বলে ফেলেছে। এর ভেতরে পটিয়া থানার ওসি কে খবর দেয়া হয়েছে কারন আস লাম তার বউ কে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করেছে যা আইনত দন্ডনীয় অপ রাধ। এখন আউজাকে ত আর আস লাম চায় না কিন্ত আস লামের মেম্বার ভাই আক রাম যে আওজার জন্য দিওয়ানা এই খবর কয়জনে জানে? বিচার বসছে আস লাম এর । কেন আস লাম তার ১ম পক্ষের স্ত্রীকে বিনা দোষে তালাক দিল আর তাকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করল এর জরিমানা দিতে হবে আস লাম কে। আস লাম তখন বলে আই হন কিচছু মাইন্তন ন। ( আমি কিছুই মানব না) আই আরব দেশ গেই দি ফইসা হামাইবার লাই আরে কেউ হেল্প ন গরে অই দেশত আরবি বেগম এ গইজ্জি আই কি ল্লাই ইবেরে সারিদিউম? বউ আউজা যদি থাইক্কতু চায় ফুয়া ছা লই দেশত থক আই বেয়াগ কিচছু লি্কি দিউম বারি গ স সম্পত্তি কিন্ত আই এই বউ লই আর ন থাকির । ( চিটাগাং এর ভাষায় আস লাম জানাল সে আর থাকবে না আওজার সাথে ) তার ছেলে কাজি লোক মান কিচছুতেই বাপের এই অবস্থা দেখে মেনে নিতে পারছে না। সে বাপ কে বলে আর মাই যে তুয়ারে সউদি যাইত ট্যায়া দিইয়ে ইন কিজ্জু? বেয়াজ্ঞুন আরবি রে দিই আইসসু। তুই এতাজ্ঞিন গইজ্জু আম্মায় ত তুয়ারে ফালাই ন দের তুই আজিয়ে না দেহাই দুিউর দে তুই কি জিনিস? তুই কি মনে গরর দে না তুয়ারে আরবি লইবু? আরা ইবের লয় হতা হই তুয়ার সউদি যন বন্ধ গরি দি। কি ? সুদানির ফুয়া বলে যে গালি দিল আস লাম এক গালি দিয়েই বেহুশ হয়ে যায় আস লাম সালিস এর ভেতর ই এই দৃশ্য দেখে সবাই থ! কেউ থামাতে পারল না আস লাম কে সে আউজাকে তালাক দেবেই। কারন তার আতের পাখি আরবি বেগমের কল আসছে তার কাছে। সে সউদি বউ এর অর্থে বিক্রি হয়ে গেছে সবাই বলা বলি করছে। আস লাম কে সবাই তুলে ঘরে নিয়ে যায় । আস লামের ভাই মেম্বার আক রাম ভেত্রে ভেত্রে এত খুশি হলেও আউজার শোক মেনে নিতে পারছে না । মনে মনে বলছে আউজা তুই কিল্লেই কাইন্তু লাইজ্ঞু আই ত আছি। আস লাম গেলে গুই আই তুয়ারে চাইয়ুম( আস্ লাম চলে গেলে আমি দেখব তোমাকে) চিটাগাং এর চড়া ভাষার গালি দিয়ে কথা বলা আস লাম বেহুশ থেকে সুস্থ হয়েছে ।তার রাগে মাথা খারাপ এখন ।আরবি বেগমের প্রেমে আস লাম মত্ত এর জন্য সে যে কোন কিচছু করতে পারবে। হঠাত আউজাকে দেখা যাচ্ছেনা। আউজা কই আউজা কই সবাই খোজ করতে শুরু করে। আউজার কোন পাত্তাই নাই। কত ক্ষন খোজা খুজির পর আউজার লাশ দেখতে পায় সবাই পুকুর পাড়ে। আহাজারি আরো ২গুন হয়। রাগে অপ মানে আউজা ম্ৃত্য কে বেছে নিয়েছে ,মারা যাবার আগে চিরকুট এ অশিক্ষিত আউজা লিখে আরবি ভাষায় যেই সবামির কারনে আমাকে সমাজে অসম্মানিত হতে হল আমি সেই সাবমির কাছ থেকে নিজেকে মুক্তি দিলাম এই ভাবে। বাংগালি মেয়েরা সব ত্যাগ করে কিন্ত সবামি নাহ এই আদর্শে বিশবাসি আউজা বাংলা না আরবি শিখেছিল সবামির সা্থে সউদি যাবেন এই আশায় , হজে গিয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাইবার কথা সে বলেছিল কিন্ত আজ তার মৃত্যু আস লাম কে সবার কাছে দোষি করে দিল। কবরে শুইয়েদিয়ে আসা হল আউজাকে। বাংগালি মেয়েরা যে এক কাপড়ে সবামীর ঘর থেকে বের হয় তা হল কাফনের কাপড় তা জান দিয়ে প্রমান করল আউজা। এই দিকে আউজার মৃত্যুকে ঘিরে সবাই খুব মন খারাপ কিন্ত রাতের বেলা দেখা যায় আউজার সবামি আস লাম ফোনে বিজি। এত রাতে আস্ লাম কার সাথে কথা কয়? রাত তখন ২টা । আসলামের বউ মরে গেছে সেইদিকে আস লামের খবর নাই । আস লামের এখন শুধু ভয় তারে না আবার জেল দেয় সবাই। মেম্বারের উপস্থিতি তে এইসব হল কিন্ত পুলিসশ আসবে না তা তো হবে না এটা ত পুলিশ কেস। যাই হোক পরদিন সকালে আস লামকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ, আরবি বেগম রাতে আস লামের সাথে কথা বলেনি তাহলে আস লাম এত্ত রাতে কার সাথে ?? আউজার মারা যাবার পর এই দিকে তার তিন ছেলের ভেতরে শুরু হয়ে গেছে বাপের প্রতি তীব্র ঘৃনা. আস লাম তার এখন ব্যাগ নিয়ে সউদি যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিরবে কেউ জানে না , এর মাঝে তদন্ত কারি কর্ম কর্তা এসে গেছে আস লাম কে ধরতে , আস লাম আগেই পালিয়েছে কার ন্সে আরবি বেগম এর কাছে ফিরতে চায়। আই হন দি ন ভাবির ন ফারি আস্ লাম এইল্লে এক্কান কাম গরিবু আস লামের বুড়া আম্মা কাঁদছেন আর চিটাগাং এর ভাষায় বলেই যাচ্ছেন আমি ভাবিনি আস লাম এমন কাজ করবে ,তিনি আরো বলছেন আই ফুয়ারে এইল্লে শিক্ষে ন দি, আই কি গইজ্জুম আর ফুয়ারে ফুলিশে মারি ফালাইবু আর ফুয়ার সোনার জীবন গেইয়ে গুই অ ফুত তুই হডে ও ফুত তুই বাচি আছস না ও ফুত । কর্ন ফুলি নদ এর পানি বয়ে যাচ্ছে তার নিয়মে এর কোনই পরিবর্তন নাই কিন্ত এর পাড় এর মানুষ গুলির জীবনের পরিবর্তনের কারনে আকাশ বাতাস ভারি হয় যেমন আজ আস লাম আস লামের মা আর তার আউজা বিবি এবং আরবি বেগম সহ কত গুলি জীবনে নেমে আসছে কাল মেঘ। আস লাম ফুসলে বলে তার আরবি বেগম কে আই তুয়ারে মোহাব্বত গরি আরবি (আনা বাহেব্বাক) আরবি ও আরবিতেই তার ভাল বাসা গুলি প্রকাশ করে যাচ্চছে কিন্ত পুলিশের তাড়া খেয়ে আস লামের একখন সেই শক্তি নেই ,সে আরবির কাছ থেকে সাহায্য চাইছে যেন আরবি তাকে সউদি নিয়ে যায়। আরবি সব শুনে সবামির দেশে আসার জন্য প্রস্তু্তি ও নিয়ে ফেলে। পুলিশ আরবি কে খুজছে মানে বাঙ্গাল আরবি । সে এমন গালি দিয়েই যাচ্ছে যে বলার মত না কিন্ত রাগের ত শেষ আছে। আউজার আতনহত্যার খবর ততক্ষনে তার বাপের বাড়ী চলে গেছে সেই খানে শুরু হয়েছে আরেক শোকের মাতম। আউজার মা অফুত ও ফুত করে মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন আর বাবা চিতৎকার করে বলছেন আস লাম্মেরে আই ন ছাইড়যযুম আই ইতেরে চাই লইয়ুম(আস্ লাম কে আমি ছাড়ব না আমি তাকে দেখে নিব ) কিন্ত আস্লাম কিভাবে কিভাবে যেন তার ভিসা আর পাস্পোর্ট করে ফেলে আর দেশ ত্যাগ করতে যেই এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে যায় অমনি এইয়ার পুলিশ তাকে ধরে ফেলে, এই হল আস লামের গ্রেফ্তারের নিউজ যা আজকের পত্রিকায় ছাপা হয়েছে এই ভাবে সবামী কর্তিক স্ত্রী প্ররোচিত হয়ে আত্ন হত্যার পথ বেছে নিয়েছেন । আউজার তিন ছেলের সেই ছেলে বাবা আর মায়ের এই দুর্দুশা দেখে পাগল প্রায় মাদ্রাসায় যাওয়া অফ করে দেয়। তাদের দাদি মানে আস লাম এর মা নাতিদের দেখছেন কিন্ত তিনি তার পুত্রের কীর্তি দেখে হতবাক আর বুড়া মানুষ তাই আর কিচছুই বলছেন না , বাপ মা বুড়া হয়ে গেলে সন্তান রা যা ইচ্চছে তা করে । যাই হোক আমার কি এই ভেবে তিনি চলে যান । আস লাম কে কয়দি হিসাবে চট্টগ্রাম জেলে দেয়া হয়েছে। আউজার পিতা কবির মুন্সি তার বিরুদ্ধে কেস দিয়েছেন তার মেয়ের হত্যাকারি হিসাবে। বছর গেল এই করেই, সউদি বঊ আস লামের খুজে বাংলাদেশ হাজির। প্ত্রিকায় লেখা হল চট্টগ্রাম এর ছেলে আস লাম বউ ফেলে পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থায় তাদের কে চট্ট গ্রামে আনল সত্য কিন্ত এসে পেল আস লাম এখন জেলে। আরবি বেগম আরবিতেই বলে যাচ্ছে আমি তুরে বিয়া করসি কি এইসব করতে ? গালি কি গালি সব আরবি গালি । আস্ লাম চেয়ে থাকে বউ এর দিকে । আস লামের চাহনিতে আরবির মন গলে নাই সে আস লাম কে সরাসরি জানায় আমি আবার বিয়া করব তুই যদি না যাস , আস লাম চুপ। কিভাবে যাবে সে । তার ত সাজা হয়েছে । আউজার মৃতুয় কে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে , আস লাম হঠাত ক্ষেপে যায় গালাগাল শুরু করে তোর মায়েরে ...।... আস্লামের গালি শুনে টেকনাফের এক লোক চিৎকার করে বলে হালার ফুতেরে এইল্লে গরি ফিডীবিতদে বউর শখ মিডেই দিবি। এত কেন মাইফুয়া তুয়া্য? (শালার পুতকে এমন মাইর দিবি যেন বউএর শখ মিটে যায় এত কেম নে মেয়েমানুষ খুজে) আস লাম এর আরবির আবার এক্টা নাম আছে স্ কিনা বানু। সকিনা আরব দেশের এক শেখের বেটি। তার বাপ এর ৭ বউ। আরব দেশে এইরকম বিয়ে কোন ব্যাপার না। এমনকি এই চল পাকিস্তানেও আছে। আবার সকল মুস্লিম দেশ গুলিতেও আছে সেই চল আবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামের লোকদের মাঝেও দেখা যায়। কারন এই অঞ্চল্টা আরবি এলাকা ও বিদেশি এলাকা নামে পরিচিত অনেক মানুষের কাছে ভিন দেশিরা এই অঞ্চছচলে আনা গোনা করেছেন বেশি কারন সমুদ্র এলাকা আর পোর্ত এলাকায় বিদেশিদের আনাগোনা বেশি। আস লাম ও বহুদিন জাহাযে কাজ করেছে মদের বোতলে মুখ ডুবিয়েছে এমন কি বিশেষ রাতের পাখির সাথে মেলা মেশাও করেছে সউদি তে । এটা কন ব্যাপার নাহ । এই দেশ মানে বাংলাদেশের যা বৃহৎ এবং স্পেশাল কাহিনি তার একটা অংশ হল এইই অঞ্চল কে নিয়েই। ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসা নানান দেশ আর জাতের মানুষ রা এই অঞ্চলে এসেছেন থেকেও গেছেন তাই চট্ট গ্রাম অন্য এলাকা থেকে অনেক ভিন্ন। আউজার পুত্র কাজি মাদ্রাসা পাসশ করেছেন দাখিলা পাস করেছেন কৃতিতবের সাথে । এই খবর গ্রাম থেকে শহরে আস লাম পর্যন্ত এসেছে কিন্ত সেই পুত্র যাকে আসলাম তার ফোন দিয়েছিল আর যার কারনে আস লাম তার স্ত্রীর কাছে ধরা পড়েছিল সেই ছেলে বাপের সা্থে দেখা করতে নারাজ। এর মাঝে... আসলামের রাতের পাখি আরবি বেগম আস লাম কে ফেলে অন্য এক শেখের সাথে চলে গেছেন। আস লামের আজ পাশে কেউ নাই। আছে শুধুই স্মৃতি আরবি বেগমের, আরবি চলে যাবার পর থেকেই আস লাম এর নারীর প্রতি আকৃষ্টতা বেড়ে যায়। আস লাম এর এখন বয়েস ৫৫ ছুই ছুই এর পরেও আস লাম সম্পুর্ন বদল হয়নাই। সে আছে তার ধান্ধায় রাতের পাখি শিকারে। একদিন আস লামের সউদির বাসায় এক বাংলাদেশি নারী যান কাজের আশায়। অপুর্ব সুন্দরি মহিলা দেখতে এক দম আউজার মতন। আস লাম তাকে দেখেই চমকে যায় ,আউজা! আউজা! কিভাবে এই দেশে? সে তো মারা গেছে আজ থেকে ২০ বছর আগে। আমার আউজা! এই বলে যেই জাপটে ধরতে যাবে মেয়েটা চিৎকার দেয় ,সাথে সাথে সেই মেয়ের জামাই এসে হাজির মেয়েটার জামাই এক সাথে কাজে এসেছে সউদি এই দৃশ্য দেখে তারা চলে যায় । আস লাম মদের বোতলে ডুবে গিয়ে চিতকার করে বলে আই তূয়ার লই ভালা ন গরি আউজা আরে মাফ গরি দ এই বলে পাগললামো করতে থাকে। আস লামের রাতের পাখিরা আস লাম কে ডেকে নিয়ে যায় আবারো ।জীবন যেন এক বৃত্তে আবদ্ধ। আস লাম আর ফেরে না সে অন্ধকার জগতের থেকে। আরেক দিকে আস লামের মায়ের মৃ্ত্তুয়র খবরে তার কাছে আসে তার নাতিরা । সারা গ্রাম খবর হলেও আস লাম এর দেখা নাই কারন সে আউজা হত্যার আসামি, দেশে আসবে কিভাবে? এই ভাবে কত আসলাম দেশের থেকে বিদেশে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায় আর বিদেশি রাতের পাখিদের সাথে ভিড়ে টাকা উড়ায় তার ইয়ত্তা নাই, কত শত আস লাম চট্টগ্রাম থেকে সউদি এসে খারাপ হয়ে যায় আর কত জনের সংসার ধুলায় মিশে যায় এইসব নাইটিংগেল এর পাল্লায় পড়ে তার ইয়ত্তা নাই । আস লাম কে ধরার পর আস লাম যে জামিন নিয়ে দেশ থেকে ভেগেছে তাও পত্রিকায় আস লেও তাকে ধরার জন্য পরে আর কোন ব্যবসথা করতে পাররেনি সরকার বা পুলিশ তবে মাম লা করা আছে ,যেইদিন সে দেশে আসবে সেইদিন তাকে জেলে দেয়া হবে। রাতের পাখিরা রীতিমত ভীড় করে সউদির আলোর ঝল কানির জন্য বসে থাকে। যত বার দেখা যায় এই আরব সমুদ্রের বুকে হাজারো আরবি নারী বিদেশি পুরুষের মনো রঞ্জনে বিজি। saiya bina ghar suna suna hai saiya bina ghar suna ... darsa mera dill payarsa akhiya saiya bina ghar suna suna hai .... হিন্দি গান চলে করিম মিয়ার দোকানে। হিন্দি গানের সাথে গরম গরম প রোটা আর চা দিয়ে খাচ্ছিল আদমজি ক্যান্টন মেন্ট এর ছাত্র সাবিত। এর মাঝেই তার বন্ধু আকিব এসে হাজির , তারা আজকে একটা মুভি দেখতে বের হবে চুরি করে স্কুল পালিয়ে যাবার অনুভুতি কি তা বুঝার জন্য। অবশ্য একখন ইন্টার নেটের যুগে মুভি ঘরেই দেখা যায় কিন্ত তারা আজকে ভিন্ন সবাদ নিতে চাইছে। করিম মিয়া বসে বসে তাদের কার্য কারিতা দেখছে আজকালের পোলা পান সব অনলাইনে সুত রাং কে কখন কি করে বসে তা বুঝা মুস্কিল। তাকিয়ে থাকা দেখে ছেলে গুলি সরে যায়। ঢাকা শহরে এরকম অনেক ছেলে পেলে আচছে যারা বুঝে যায় বয়সের আগেই এই হল করিমের ধারনা। কাজি আস লাম এর ছেলে আজকে তার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে আসছে ঢাকায়, দোস্ত আজিয়ে তুরার লই গুইজ্জম। কিহস? পরিক্ষা শেষে কাজি আজকে তার খালার বাড়ীতে আসে, মায়ের মৃত্যুর পর আজকেই আসা একখানে তার। কাজির খালা আর তার খালু চিটাগং থেকে আজ প্রায় ১৩ বছর যাবত ঢাকায়। কাজির রেজাল্ট এর পর তারা তাকে নিয়ে আসে এইখানে। bangladesh থেকে আসা করিম তার বন্ধু কাজিকে ফোন দেয় সউ দি আসার জন্য , কাজ হল বিল্ডিং এর ওয়েল্ডীনং এর কাজ। বেতন ৮০০ রিয়াল আর থাকা খাওয়া আর চিকিতসা ফ্রি। । কাজি মাত্র ঢাকায় আসছে তার খালা খালুর কাছে, সে তার বন্ধুর প্রস্তাবে রাজি হয় না বলে দেশেই ভাল কিছু করবে সে।DUBAI.... one night club. people are drinkingand dancing like mad. one brownish pakistani man stand for some girls and also stand for some goons who are smugglers of the world. if you think this is really happend yeah this is happening around the world.নিউ মার্কেট এর দিক থেকে আসা একটা গাড়িতে এক ঝাক মহিলা পাওয়া গেছে আর তাদের সাথে একজন স্মাগ্ লার কে ধরেছে পুলিশ জানা গেছে সে নাকি বাংলাদেশ থেকে এই সব মেয়েদের দুবাই পাচার করছিল চাক রির নাম দিয়ে । চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটন পুলিশ ব্রিফিং দিয়ে দিল এই দালালদের মাধ্যমে ,অশিক্ষিত এই সব মেয়েরা কাজের বুয়া হিসাবে যাবেন সে হিসাবে নিয়ে গিয়ে এদের বিক্রি করে দেবে এইসব দালাল।আরব দের মাজঝেএক বাংলাদেশি দালাল সাথে অনেক সুন্দরিরা বিকরি হবে। আরবি দালাল বলছে আরবিতেই তুই কি আমার জন্য এত দাম দিবি? মেয়েগুলি সুন্দরি । বাঙ্গাল মেয়ে সুন্দরি। বাংলাদেশ থেকে যেসব দালাল এদের নিয়ে আসে তারা টাকা খায় আর বিক্রি করে দেয়। কাজিদের সংসারে আজকে আর সেই জউলুস নেই কিন্ত শান্তি আছে। চলার মত অবস্থা আম জাদ আলি জিভ দিয়ে টাকা গুনতে গুনতে বলে এই লোহিত সাগরের মাঝে কত জন বাংলাদেশের মহিলা আছে? তার সাগ রেদ আজম সোহেল বলে বস ১০০এর উপরে হবে। সব কি দুবাইয়ের জন্য নাকি সৌদি আরব ও যাবে?মনে হয় সব দুবাই যাবে।অই এতক্ষণ ধরে কি করসস ?সরি স্যার মিস্টেক হইসে। তারা বানু ভাগ্যের ফেরে আজকে এই মুহুর্তে জাহাজে বন্দি হয়ে আছে। তার কাছ থেকে দালাল মোট ১০লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা এখন সে বুঝতে পারছে। দুইবেলা ভাতের জন্য আর সন্তানের ভাল থাকার জন্য কাজের বুয়া হতে সউদিতে যাচ্ছে সে। কিন্ত তখনও জানে না সে একজনের বউ আর থাকতে পারবে না।তার জামাই এর জন্য এখন শুধু টাকা যাবে কিন্ত সে আর যাবে না। তাদের বোটে একটি পাকিস্তানি কে দেখে সে জিগেস করে ভাই আমারে পানি দেন।চুল ধরে মাইর দেয় সেই পাকিস্তানি। ভারতীয় যে একজন আছে তাকে ও টাকা দিতে হইসে তাদের। সবচেয়ে খারাপের নিজের দেশের দালাল গুলি মাইর যেমন দেয় তেমন বেইজ্জতি ও করে।এদের নিজের মা বোনদের যদি এরকম করা হয় তাদের চোখের সাম নে তাদের কি ফিল হবে?মনে হয় না।টাকা এদের এমন অমানুষ বানিয়েছে যে এরা আর কে মা আর কে বোন চোখে দেখে না।পারলে নিজের ঘরের বউকে ও বেচে দেয়। lalala..14 dead body infront of the officer of dubai. 10 bangladeshi 1 sudani, 1 pakistan 1 india and 1 nigerian. bangladeshi is more dead in the boat. the caribian sea is a witness of many death but this time not like this death train .. the dubai police and govt. request to the bangladesh govt to stop sending more woman in dubai. অই লাশ গুলি ভাসায় দে। বাংলাদেশি দালাল বলছে। কারন বিদেশিরা লাশ নিয়া কই যাবে জানে না কেউ। দুবাই সরকার বাংলাদেশ থেকে মহিলা নেয়া বন্ধ করলে কি হবে আজো বাংলাদেশের কিছু দালাল দেশের ছেলে মেয়েদের বেচে দেয় সামান্য কিছু অর্থের জন্য। পেটের দায়ে নিজের দেশের মা বোন এর ইজ্জত নিয়ে খেলতে যাদের মন কাদে না তাদের আর কি মানুষ বলা যায়? লাশ গুলি ভাসিয়ে দেয়া হল কারন মাঝ সমুদ্রে এই লাশের গন্ধে টিকে থাকা দায়। খালাসিরা লাশ গুলি ফেলে দিল বাক্স বেধে, আজগর নামের একটা ছেলে কাদছে ! বয়েস মাত্র ১৮। সে তার মায়ের সাথে এসেছিল, তার মাকে দুবাইয়ে বেচে দিয়েছে এই দালালরা নর্তকি বানাতে। আর তারে নিয়ে এসেছে এই লোহিত সাগরের মাঝে। সে বলছে আর আর কাদ ছে আল্লাহ এইবারের মত ছাড়াইয় দেও দেশের মাটিতে পৌছায়া দেও এর পরে এই শালাদের আমি দেইখে নেব। আরেক দিকে তারাবানু বেহুশ হয়ে পড়ে আছে। আজ সহ তারা বানুর তিন দিন কোন দানা পানি জুটে নাই। মেয়েগুলিকে আলাদা করে রাখা চছিল যাতে কোস্ট গার্ড রা না দেখে । দালারল এর সর্দার চট্টগ্রামের । খাটি চাটগাইয়া টোনে বলছে অই তুরাএদিজ্ঞিন ঝামেলা গরি মাইফুয়া দে আইন্নুস টিয়া ত বেশ দন ফরের আত্তুন বিদেশি পার্টিরে। তুরারে হইলাম দে মাইফুয়া গিন ন আনিবার লাই ত আইন্নুস। (অই তোরা যে মেয়েদের এনেছিস এদের জন্য পার্টীকে আমার বেশি টাকা দিতে হবে আর তোদের মানা করা সবত্তেও তোরা এনেছিস) এই দালালের কথায় তার সহকারি বরিশ্যাইল্ল্যা বলছে মুই আগেই কইসিলাম কিন্তু আমারে কেউ পাত্তা দেসনাই? রাতের হারিকেন এর আলোয় আরেক লোক বাড়ী ফেনীর সে বলে আর কতা গান হুইনলে এত কিসস্যা অইত ন। আলোয় দেখা গেল সর্দার কে, তিনি আর কেউ না আস লাম!! নারীপাচার কারি হিসাবে গালফে তার ভাল খ্যাতি! পেটের দায়ে মানুষ বিক্রির ধান্ধায় আজ সে লাখ লাখ টাকার মালিক। আহা এই ধান্ধা যদি বিদেশিদের সাথে করত আসলাম তাহলে হয়ত অনেক গুলি মানুষের জীবন বেচে যেত। এই দিকে জাহাজ টা আসলে বড় বোট টা মেক্সিকোতে পৌছে গেছে ভাগ্য ক্রমে সেইখানের কোস্ট গার্ড তাদের কে ধরে ফেলে। তারাবিবি সহ যারা এত দিন বন্দি ছিল তাদের উদ্ধার করে। আর আস লা ম আর তার সাথিরা জেলে যায়। এরকম হইত না যদি না ভাগের টাকা নিয়ে আস লামের সাথে ঝামেলা না হত বাকিদের । seriously? are they from bangladesh? basterds are not changed. the indian army captain tapas said to his sir. we found five dead bodies in the andaman sea sir. uff. with some indian troops. aslam one of the name . how you find out his name? the ID card. he had that the id card. khabr karo kaha sa ei banda aiya tha! Bangali zaha zaha gaya lopat kar diye. ei jaat e bahut dangerous hai! aslam the killer of many innocent bangladeshi labour killed in the ambush oparation by indian army! the nextday headline it is. Chittagong. Newmarket area... The king of gold smuggler and this business of human trafficing is so sad and so much angry becasue she faced losses in this business. 'SHE' yes she ,her name is afroza banu. all know her banu madam or banu sister as a good peroson and helped all but no one knows about her blacklife with the smugglers. aslam death made her so sad. she was nto ready to loss aslam any more.May be they had relationship .. Some times i feel as a descirber crime can not stop and the truth always behind the scean. no one know who is in the next gun point. criminal life is really uncertained and therir nothing without blood and crying। চট্টগ্রাম শহর টা অন্য রকম আজ। আরবি বেগম আর তার সন্তানেরা আসছে চট্টগ্রাম ঘুরতে , আসলাম এর লাশ দেখতে, আস লাম এর লাশ আজকে দাফন করা হবে আজ। বাদ আসর। আস লামের মা মারা গেছেন সেইই কবেই যখন কিনা আসলাম কে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। আস লাম যে বেচে আছে এটা কেউ জান ত না। আস লামের মৃতুয়টা কেউই মেনে নি্যেছে আর কেউ নেয়নি। তার সেই ছোট ছেলে যে কিনা আরবি তে পারদর্শি ছিল সে এখন একটা মাদ্রাসার শিক্ষক। বিয়ে করে ভাল আছে। বাড়িএরর পাশের জমিতে সে ফল বাগান করেছে। এর থেকে তারা বেশ সুখেই দিন কাটাই। aslam is dead. now what? the man wo was his second in command asking another friend about the team. europe the dream of earn and a new life many people go for a new life . চট্টগ্রাম শহর থেকে দূরে আনোয়ারার পারকির চরে আবারো চোরাচালানের একটা দল ধরা পড়েছে এবং এরা সংঘ বদ্ধ। আস লাম মারা যাবার বেশ কিছু মাস পর এই কাহিনি পত্রি কায় প্রকাশিত হয়েছে এবং এই দলেই আছে আস লামেরই এক আত্নীয়। আকাশে বাতাসে লাশের গন্ধ, সারি সারি লাশের মাঝে দেখা যায় একটা টুপি। অভাব মানুষের মাঝে কত ধরনের কিস্যা বানাইতে পারে তা দেখার অপেক্ষা নাই । পুলিশ সবাই কে নিয়ে যায় আর বলে কবে এই সিরিয়াল শেষ হবে জানা নাই। শেষ।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

কুয়াশা

কবিতার ভালোবাসা ......

বঙ্গাসন—গুরুজী