নামহীনা

কি লিখব জানিনা, বুঝাতেও পারব না আমি আসলে কিভাবে ভাল বাসি তোমাকে। আমি শুধুই জানি আমার ভাল বাসা আর আমার অসুস্থতা এই দুইয়ের মাঝে যে কোন একটা বেছে নিতে হবে। জানিনা আমি তোমাকে কতটা পরম মমতায় ভেবেছি।আমি জানিনা তোমাকে কতবার ভুলে যেতে চেয়েও ভুলে যাইনি। আমি শুধুই জানি আমিমতোমাকে ভাল বাসি।আমার শুধুই জানা আছে আমাদের মাঝে একটি অদৃশ্য বন্ধন আছে। আমি শুধুই তাকিয়ে থাকি জানালার ফাক দিয়ে যে কবে আমি সুস্থ হয়ে যাব আর তোমার সাথে একবার দেখা করতে পারব।আমি অনেক ভীতু।আমার এই ভীতু মন যেন প্রতিদিন তোমাকে খুজে বেড়ায় আর তোমার জন্য কাদতে থাকে। আমি যে সাহস দেখাই এর পিছনে অন্যতম কারন হল আমার শুধু মাত্র বেচে থাকতে ইচ্ছে করছে তোমার জন্য। চিঠির উপরে বা নিচে কোন নাম নাই। নার্স আসিফা এই মুহুর্তে যে লাউঞ্জের সামনে আছে সেই লাউঞ্জের সামনের দিক থেকেই দেখা যাচ্ছে সেই মেয়েকে। আদৃতা ওর নাম। বেশ কিছুদিন হল এই হস পিটালে উঠেছে। নিউইয়র্ক শহর থেকে একটু দূরে এই পাগলা গারদে এসে উপস্থিত সে এখন। আদৃতার হাল্কা গড়ন আর তার চাহনি দেখার মতন একবার কেউ দেখলে তা ভুলে না কেউই। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আদৃতা, হঠাৎ নার্স চিতকার করে উঠে বলে come back come back,come down from the top. doctor come and see the patient on the top and trying to jump.আদৃতা শেকল খুলে কতক্ষন এ উপরের ছাদে উঠে বসে আছে আর নিচের দিক এ চেয়ে আছে যদি আন মনে পা পিছলে পড়ে তাহলে অক্কা পাবার সমুহ সম্ভাবনা আছে।বিদেশি নার্সের চিৎকারে সবাই ছুটে আসে ন। এরকম ঘটনা কখনো হই নি। রাওগি এই কঠিন নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বেরিয়ে যাবে চিন্তা ও করে নি কেউ।অন্য রোগী রা তাকিয়ে আছে উপরের দিকে আর হাত তালি দিচ্ছে যেন সবাই আনন্দে মেতেছেন। মান সিক রোগি দের সাথে ভাল ব্যবহার করে তাদের সুস্থ করে তোলা অত্যন্ত দরকারী এইরকম একটা কথা বলা হয় কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয় না। আসিফাকে ডাকা হয় যে দেখ তোমার দেশের এই রোগী কে সামাল দেয়া আমাদের জন্য কঠিন তুমি ওকে দেখ হয়ত সে ভাল হয়ে যেতেপারে। অনেক কষ্টে আদৃতা কে নামান হল ছাদের কার্নিশ থেকে।বিদেশ বিভুইয়ে কার্নিশ গুলো তে কোন বাধা নেই আপনি চাইলে লাফ দিতেই পারেন কিন্ত এই কার্নিশটা কিছুটা প্রশস্ত বলে বেচে গেছে আদৃতা আজ। হঠাৎ সে চিৎকার দেয় leave me you basterd! im fine. i want my family back! get me out of here! কে শুনে কার কথা তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হল মজবুত সেই বড় সেলে।নার্স আসিফা ছুটে আসেন আর দেখেন রোগি উত্তেজিত হয়ে আছে। তিনি চিকিৎসক কে জানান let me see sir.ok see her but give her injection. ডাক্তার টম রোফ্রানো এই কথা বলে চলে গেল। আসিফা তাকিয়ে আছে আদৃতার দিকে, কাল চোখ আদৃতাকে বেধে নিয়ে যাওয়া হল মজবুত অন্য এক সেলে। অত্যাচার কাকে বলে আর কত প্রকার তা আদৃতা এর পা এর দিকে তাকালে বুঝা যায়। কাল শিটে দাগ পড়ে গেছে তার পা ২টায়।নার্স যেহেতু বাংলাদেশের সুতরাং সে যখন তার পা গুলি ওয়াশ করে দিল চিৎকারের চোটে বাকিরা থমকে যায়। আসিফা তার জীবনে এরকম দেখেনি যে কোন একটা মানুষের পায়ে এরকম দাগ! ডক্টর রা আসেন দেখেন আর সময় মত সেবা করেন সবাই দল বদল করে।আমেরিকান দের বড় গুন তারা যা করে সব সৎ ভাবেই করেন কাজের ব্যাপারে তাদের কোন আলস্য নেই।পরিপাটি তারা কিন্তু খারাপ হল তারা কাউকে অত আথিতেয়তা করেন না। আদৃতা জানালার দিকে তাকিয়ে আছে।সাদা পোশাক ধারি এক ইংরেজ তার দিকে তাকিয়ে আছে। ইংরেজ এর মাথার ভুল দেখে হঠাৎ আদৃতা একগাল হাসি দিল। ইংরেজ যেন কাল চোখ এর আর কাল চুলের আদৃতা এর প্রেমে পড়ে গেল!নার্স আসিফা প্রায় খেয়াল করে ডক্টর রবার্ট কাজ ছাড়াই ঘুরছেন আদৃতা এর কেবিনের আশ পাশ। বিষয় টা তার ভাল লাগেনি কারন পাগল মেয়ে আদৃতা বিদেশি মানুষের বিশবাস কি!এর জন্য সে বস কে বলে ২৪ঘন্টার ডিউটি নিয়ে ফেলেছে কারন ডক্টর রবার্ট এর থেকে এই মেয়েকে দূরে রাখা।এর জন্য সে আরেকটি উপায় ও বের করে রেখেছে কেবিন পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করে রেখেছে যাতে রবার্ট আর আদৃতা এর আশে পাশে আস তে না পারেন। বিদেশ বিভুইয়ে এরকম কাজ সজ্জন ছাড়া করে না কেউই কিন্ত... ঝামেলা হল আদৃতা কে নিয়ে। সে ডক্টর রবার্ট কে না দেখে এখন চিল্লাতে থাকে। মাত্র দুই দিনের পরিচয় এর মাঝেই এরকম করছে কেন মেয়েটা!নার্স আসিফা তাকে আবারও ঘুমের ওষুধ দিয়ে যায় তার কাজে। অইদিকে,কাল চোখ এর আদৃতাকে না দেখে ডক্টর রবার্ট এর মন খারাপ হয়ে আছে। পেশেন্ট টা কই চলে গেল! তিনি জিগেস করতেই তাকে একজন জানাল এশিয়ান মেয়েটিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।শুনেই তিনি জানার চেষ্টা করলেন কোথায়? উত্তর এল দুঃখিত ডক্টর বলা যাবে না তার পরিবারের থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ডক্টর রবার্ট অনেক মন খারাপ করলেন আর।কাজে ফিরে গেলেন। রবার্ট বুঝে যায় কেউ হয়ত চায়না তার সাথে দেখা হোক।মন খারাপ হয়ে যায় যাহোক কাজে ফিরে। আজ ভ্যালেন্টাইনের জন্মদিন! রবার্ট তার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে বসে এক রেস্ট্রুরেন্ট এ। তার বান্ধবী ক্লারা তাকে ট্রিপ দিয়েছে আর সে এনজয় করছে এই মুহুর্তে তার দেয়া বিয়ার আর হুইস্কিসোডা কিন্ত তার মন যেন অচেনা নাম হীনা কাজল কাল কুচ কুচে চোখের জন্য ঘুরপাক খায়। হঠাৎ ক্লারা তাকে প্রশ্ন করে রবার্ট wana marry me? রবার্ট হেসে জবাব দেয় sure. Clare খুব খুশি হয় এতে। সে আসলে কন ফার্ম করতে চাইছে যে রবার্ট তাকে বিয়ে করছে। সে এক অজানা আতংকে আছে। কারন সে শুনেছে রবার্ট তার এক রোগিণী এর প্রতি দুর্বলতা দেখাচ্ছে এতে সে কিছুটা আতংকে আছে। সে জান তে চাইছ এ যে শুনেছে সে তা মিথ্যা।তাদের সম্পর্ক আজ তিন বছর এত দিনেও সে ক্লারাকে একটি বার ও বলেনি সে ভালবাসে তাকে আসলে তাদের সম্পর্ক টা শীতল আর ভালই আছে কিন্ত এইবারে সেই ভারতীয় মেয়েটিকে দেখে রবার্ট এর কি হয়েছে সে বুঝতে পারছে না।এত রোগিণী এর মাঝে সে কেনই বাএরকম আচরণ করছে। তার বান্ধবি সারা নার্স হিসাবে সেই হাস্পাতালে জব করে যেখানে রবার্ট কাজ করে। তাকে বলে তুই রবার্ট কে ধরে রাখতে পারবি না।পুরো হাসপাতাল এর কিছু গুঞ্জন শুরু ত হয়েছেই । এক কৃষনাংগির প্রেম এ পড়ে গেছে রবার্ট। এর জন্য ক্লারা চিন্তিত। এই প্রেশার সে নিতে পারছে না বলেই রবার্ট কে ধরে এনেছে রেস্ট্রুরেন্ট এ। তার ধারণা সে হয়ত পরিবর্তন হবে তাকে দেখে।ক্লারা সুন্দর করে সেজেছে গলায় মুক্তোর মালা আর কানে টপ রবার্ট এর পছন্দের কালারের পোশাক পড়েছে সে আজ। কিন্ত অনেক্ষন ধরে সে আশা করছে রবার্ট তাকে একটা চুমু দেবে কিন্ত রবার্ট অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।তাকে কখনো এরকম মনে হয়নি বা সে এরকম না সে যথেষ্টই সিন সিয়ার একজন মানুষ কিন্ত তার আজকের এটিটুড আসলেই ভিন্ন যা ক্লারার মনে শংকা সৃষ্টি করেছে।তাই সে বার বার চেষ্টা করছে সে যেন ক্লারার দিকে তাকায়।আজকের ডিনার টেবিলে সে সম্পুর্ণ অন্য এক রবার্ট কে দেখছে। robert what happen with you? why you not joining with me? please tell me have you any tension or any anxity? Clare please i know you heard something but please don't missunderstand me please. i'm serious about my patient that's it.রবার্ট বলে দিল।আশবস্ত হল যেন ক্লারা।সে তার বন্ধু এর কথায় ভয় পেয়েছিল। ভারতীয় মেয়েরা সুন্দরী সে শুনেছে কিন্ত এই মুহুর্তে তার কাছে রবার্ট এর কথাগুলি কেই সত্য মনে হচ্ছে। সে এক নিবিড় ভাল বাসায় পড়ে গেছে।আসলে তার অই বন্ধুর কথায় সে খুব বিশবাশ করে আর এর জন্য ই সে এখন অনেক আপ সেট। অনেক রাত হয়েছে এখন তাদের উঠা উচিত রবার্ট বিদেয় নিতে চাইছে ক্লারার থেকে। ক্লারাকে সে বাড়ি পোউছে দিতে আস তে চাইছে না রবার্ট কারন আজ তার মন খারাপ সেই কাজল কাল কুচ কুচে চোখ যেন তাকে এক অজানা কারণে টানে নামহিনা সেই মেয়েটা শেকলে বাধা সেই এলোমেলো চুল আর রবার্ট কে দেখেই ফিক করে হেসে দেয় সে!কি সরল তার হাসি! যেন আকাশ থেকে নেমে এসেছে একটা ফেরেশতা! আজব এক অনুভুতি যন্ত্রণার মত হয়ে বাধছে তার হৃদয়ে! আজ ক্লারাকে ভাল করে দেখতে ইচ্ছে করছে না। ডিনার শেষ। তারা উঠে গেল রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়েই সে একটি ফোন পেল!ফোন পেয়েই অস্থির হয়ে গেছে ক্লারা দেখ ল রবার্ট তাড়াতাড়ি করছে বেরিয়ে যেতে। সে জিগেস করতে চাইলে রবার্ট উত্তরে জানায় একটু ইমার্জেন্সি আছে। সে দ্রুত একটি সৌজন্য চুমু দিয়ে চলে গেল গাড়ি নিয়ে।অপ লক দৃষ্টি তে একবার তাকিয়ে ক্লারা মন খারাপ করে তার গাড়ি তে উঠে চলে যায় বাসার দিকে is everything ok?robert asked the nurse. the Indian patient jumped from the stair railings and tried to kill herself.what where's the nurse?she is in holiday today. where you shift her? casual dept.she broke her legs but still alive.Roberts ran off there. want to see the nameless. আদৃতা এর নাম এখনো জানে না এই বিদেশি চিকিৎসক। তার কাছে সে এখনো নাম বিহিন একজন। আজব মানুষ এই চিকিৎসক আসিফা দূরে থেকে দেখল আর দোউরাতে দোউরাতে আসছে। Robert যেন মদ্যপান করেছে এইভাবে দোউর দিয়ে আসছে কেবিনে! আদৃতা কে ততক্ষণে ইঞ্জেকশন পুশ করা হয়েছে আর আদৃতা তখন ঘুমিয়ে। আদৃতা আদৃতা বলে ডাক দিল নার্স কিন্ত গভীর ঘুমে আছে সে। রবার্ট কৃষন কলিকে দেখে খুশি হল যে সে অনেক দিন পর দেখা হইসে। আসিফা জানাল She's sleeping sir.why you dont here last night? you must be fired! robert এরকম উত্তেজিত চেহারা দেখে আসিফা ভয় পায় তার মাথায় ঘুরে এই আমেরিকান এর হঠাৎ করে আদ্রিতার জন্য এত দরদ কেন? মুসলমান এর মাইয়ার জন্য এত দরদ! রোগী ত আরো আছে আর আদৃতা এর চেয়ে খারাপ রোগি ও আছে বলা যায় উন্মাদ চিল্লাতে থাকে কিন্ত এই ডাক্তার এর এত দরদ কেন? বিদেশিদের বিশবাস নাই। আমার এখান থেকে এই চুল নড়া উচিত হয়নাই ইশ কি দুঃখে একটু বাইরে গেসিলাম এ ব্যাটা ঠিকি কেবিন খুজে খুজে বের করসে।এখন কি হবে? এই মেয়ের কিছু হলে আমার চাকরির সাথে দেশের ইজ্জত ও যাবে।এক কাজ করি যাই এর আত্নীয় কেউ থাকলে কল দেই কিন্ত যাব কেম নে এই মুহুর্তে এই ব্যাটা ত যায় না। নার্স মনে মনে ভাবছে আর এই ফাকে অপ লক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে রবার্ট! আসিফাও যায় না।চেক করল আদৃতাকে। বিদেশি মন ও যে মানুষের জন্য কাদে এই টা দেখছে আজ আসিফা! কিন্ত তার মনে বিশেষ করে এই মুহুর্তে যে দৃশ্য সে দেখেছে এর জন্য প্রস্তুত ছিল না সে! ইঞ্জেকশন রেখে ট্রে তে সে দেখে ঘাড় ঘুরিয়ে রবার্ট আদৃতা কে চুমু খেয়েছে!বিদেশিরা এইরকম! এক বার এই ডালে ত আরেকবার অই ডালে!। আদৃতা ঘুম। আসিফা চুপ করে থাকতে পারল না কারন এটা বাংগালী মেয়ে! বলেই ফেল্ ল sir what are you doing? what? Robert এর জবাব. ilike her! asifa আসিফা উত্তেজিত হয়ে বলে sir she's not american and she's muslim.she is ill and no idea how long time and you have girlfriend. who the hell are you talking like this?রবার্ট চিতকার দেয় আসিফা ভয় পেলেও বলে i am her sister and Bangladeshi and i don't think it's right please leave!একটি যুদ্ধের আবহাওয়া! আরেকজন চিকিৎসক দোউরে আসেন বাংগালি।তিনি সব শুনে রবার্টকে বুঝিয়ে নিয়ে যান কিন্ত আসিফার চাকরি চলে যায়। কারন এক জন ডিউটি ডক্টর কে অপমান করার অধিকার নাই।এটা আমেরিকা। এইখানে ত্যাড়ামি করলে বিপদ।আসিফাও কম না তিনি অভিযোগ করে দেন যে রবার্ট এক বাংগালী মান সিক ভাবে অসুস্থ মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় চুমু দেন এর বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে সাস পেন্ড করা হয়েছে। কতৃপক্ষ ব্যাপার টি তদন্ত করা শুরু করে আর সময় বেধে দেয় নেক্সট উইক পর্যন্ত। I feel I'm so lonely. I don't know why Robert I think we need to change our environment let's move from here. Clare, I can't move. Robert straight cut answered her. Claire shouted you cant do it with me! মারামারি লেগে গেছে রীতিমত,clare ভডকার একটি বোতল তুলে মেরে দিল রাগে রবার্টের মাথা বরাবর! সাথে সাথে রক্ত পড়া শুরু। ঘটনা যে এই পর্যায়ে চলে যাবে কেউ ভাবেনি সামনে ছিল তাদের এক বন্ধু টেরেস।এইসব দেখে সে চিৎকারে ছুটে এল।Are you mad clare? just shut up.বলেই সে গাড়িতে করে বেরিয়ে যায়! টেরেস রবার্ট কে তুলে নিয়ে হস পিটাল এর দিকে ছুটল। ৬টা স্টিচ দেয়া হয় রবার্টকে সে আজ বেহুশ হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে তার কেবিনে। কোথাকার কোন ভারতীয় মেয়ে এর কারনে রবার্টকে আহত করেছে তার বান্ধবি খবর চাওর হয়ে গেছে চারদিকে। আসলেই ব্যাপার টা অনেক অদ্ভুত। হাস পাতাল এ ফিসফিস চলছে। এইদিকে আমাদের পাগল নায়িকা আদৃতা তার গায়ে ১৫টা জামা পড়ে বসে আছে বিল্ডিং এর উচু এক সিড়ির গোড়ায়। আজ তাকে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে তার সাথ আছে আসিফা,সে তার কাহিনি শুন ছে। হঠাৎ তার হাতের কাছে থাকা ডায়েরি টা তুলে নিল আসিফা।সেটা দেখেই আদৃতা এর চিৎকার দিল।কারন কি বুঝতে পারে নি আসিফা তবে এই মেয়ে কিছুতেই এই ডায়েরি হা তছাড়া করে না। ঘুমের ভেতর এ ও সে এটাকে জড়িয়ে ধরে। ভারতীয় এক মেয়ের জন্য যে তুল্কালাম হয়ে গেছে এটা আদৃতা পর্যন্ত জানেই না আর জেনেই বা কি সে ত আর সুস্থ না। আর সে যে বাংলাদেশ এর এটাও জানা ছিল না রবার্ট এর আর জানার সুযোগ কই? যে জাদ রেল নার্স আছে তার সাথে।সে এমন আচরণ করে যেন সে তার নিজের মেয়ে।আদৃতা সুস্থ হয়ে উঠছে আবার। আসিফা তাকে সুস্থ করতে আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেবিনের ভেতর থেকে রবার্ট এর মন আরও খারাপ হচ্ছিল যেন সে তার নিজের সাথেই যুদ্ধ করে যাচ্ছে যে কেউ তাকে বুঝতে পারে নি। তার মা এসেছিল এবং সব দেখে তিনি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করলেন রবার্ট এর মা আন্দ্রিয়া নিপাট ভদ্রমহিলা ছেলের সাথে তার বান্ধবির এরকম আচরণ এ তিনি মর্মাহত। ঘটনা কি নিয়ে ঘটেছে সব শুনলেন আর অত্যন্ত বিরক্ত হলেন এই ভেবে তার ছেলে কেন এমন একজনকে পছন্দ করে ফেলল যে কিনা ইউরোপ এর না একজন এশিয়ান ১ম তিনি অনেক টা বিরক্ত হলেন এর পর তিনি যখন জানলেন মেয়েটি অসুস্থ আর এই বিষয় এ কিছুই জানে না এবং এর জন্য তার ছেলেই দায়ি তখন তিনি অবাক হন আর ছেলে কে বাহবা দেন এই জন্য যে সে একজন অসুস্থ মানুষের দায়িত্ব নিতে চায় আর ক্লারার আচরণ এ অনেক ধমক দেন ক্লারাকে! জর্জ বার্নারডস এর বই পড়ছিল আসিফা, পাশের রুমে আদৃতা বসে খেলছে। আজ আদৃতার মন ভাল সে ঠিক মত ওষুধ খেয়েছে আর সব কথা শুনেছে নার্সের।এই মুহুর্তে আসিফা তার একজন ভাল বন্ধু। হঠাৎ করে কাচের দরোজা এর দিকে চোখ গেল তার। সে দেখে রবার্ট আর সাথে এক মহিলা বয়স্ক গোছের তাদের কেবিনে আসছেন। আসিফা দাড়িয়ে সম্মান জানাল ডক্টর রবার্ট কে। রবার্ট তার মাকে দেখাতে চাইছে সে কাকে দেখে পছন্দ করেছে। আগা মাথা না বুঝেই আসিফা হাসি দিয়ে বৃদ্ধাকে সবাগতম জানাল ড় রোগিনির অবস্থা জানাল। উকি দিয়ে তারা দেখে দুই বেণি করে রেখেছে আদৃতা আর হাসছে পুতুলটা নিয়ে। তাকে বেশ সুন্দর লাগছে আজকে। রবার্ট এর মা তাকিয়ে রইলেন ছেলের দিকে আর বল লেন এটাই কি তোমার পছন্দ? এই ভারতীয়? আসিফা থ খেয়ে তাকিয়ে রয়েছে!কি বলে এই মহিলা।বিদেশিনির এই কথা শুনে হতভম্ব হয়ে আছে সে।রবার্ট বল ল ইংরেজিতেই আমি তাকে অনুভব করি।সরাসরি এরকম বলার অর্থ কি বুঝতে পারেনাই। আসিফাকে জিগেস করল তার নাম কারন তখনও আদৃতা তার কাছে একজন অপরিচিত নাম হীনা। আসিফা তাকে দেখাতে চাইছিল না আদৃতার রিপোর্ট কিন্ত নিরুপায় হয়ে দেখাতে বাধ্য হল। তারা সকলে আদৃতা কে দেখছে দূর এর কাচের জানালা দিয়েই আসিফা বলে স্যার এখন সে শান্ত আছে কিন্ত খেপে গেলেই আপনার উপর হাম লা করবে। আসলে সে চাইছিল রবার্ট আদৃতার সাথে দেখা না করুক। কে শুনে কার কথা। সে ভেতরে যায়। আদৃতার সামনে দাঁড়ায়। একজন সাদা মানুষ কে দেখে আদৃতা ভয় না পেয়ে হাসি দেয় আবারও আগের মত। রবার্ট চায় আদৃতাকে সুস্থ দেখতে আর এর জন্য নার্স আসিফাকে সাহায্য করতে চায় সে।এতে আসিফা কিছুটা আশবস্ত হলেও খুশি হয়না মোটেই। তার মাঝে একটি হিংসা তইরি হয়। অইদিকে রবার্ট এর বান্ধবী ক্লারা তাকে ছেড়ে চলে যায় ক্যালিফোর্নিয়ায়। সে চায় না রবার্ট এর সাথে এভাবে সম্পর্ক রাখতে। ক্লারার এইভাবে ভুল বুঝে চলে যাওয়াতে রবার্ট অনেক মর্মাহত হয়। আমার সাথে কেন এইরকম হচ্ছে একটি অসুস্থ মানুষ কে ভালবাসার কারনে। এই সাদা মানুষ টা কে দেখে নার্স আসিফার মাঝে এক ধরনের পরিবর্তন হয় সে ভাবে সাদারা কি মানুষের উপকারে আসে? মানে এরকম একজন কেউ হতে পারে এটাই সে বুঝে নাই। রবার্ট প্রতিদিন দেখতে আস ত আদৃতাকে। তার চিকিৎসার প্রায় সব খরচ ও নিয়েছে সে।আসিফা এর পরেও আদৃতার দিকে কড়া নজর রাখে।একজন নার্স হয়েও মায়ের মত তাকে আগলে রাখে আসিফা।একদিন হঠাৎ করে তার হাতে সেইই ডায়েরি। ডায়েরির ১ম পাতায় লেখা আছে লিখতে বসেছি আজকেই ১ম। আমার অনেক দিনের সবাদ যেন ফিরেছে।আসিফা পড়ে কি লিখব আমি আজ জানিনা আমার এই অসুস্থতা আমাকে কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলছে জনি কিন্ত আমার পক্ষে আর তোমাকে ভালবাসা সম্ভব না।সেই চিঠি।উপরে যার নাম নেই বা নিচের অংশেও নয়।এর পরের পাতায় হাত দিতে যাবে অম্ নি আদৃতা চিৎকার দিয়ে উঠে আমাকে মেরো না প্লিজ আমি আর কখনোই ভাল বাসব না তবুও তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না।আমি জানিনা তুমি আমাকে আদতে ভাল বস কিনা শুধু একবার দেখা দাও।কাদছে আর চিৎকার করে করে সে রীতিমতো পাগলের মত করছে। আসিফা অবাক।কি ব্যাপার একটু আগেও ভাল ছিল। তাকে ইনজেকশান ও দেয়া হয়েছে হঠাৎ কি হল? কাছে গিয়ে দেখে আদৃতা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এর সাথে পেচিয়ে আছে! এই দেখে আসিফা চিৎকার দেয় সবাই ছুটে এসে তাকে সেই জায়গা থেকে ছাড়ায় ততক্ষণে সে কয়েকটি শক খেয়ে ফেলেছে। কিভাবে এই ঘটনা হল এর তদন্ত করা হয় আর এর পরে তাকে এমন একটা সেলে নেয়া হয় যেখানে তার থেখে সকল ডিভাইস অনেক দূরে থাকবে আর সকল তার গুলি দূরে। রবার্ট শুনেই ছুটে আসে আর তাকে ঝাকুনি দেয়। comeon please. অক্সিজেন দেয় নিজেই যেন অনেক দিনের চেনা! আজব পৃথিবী এক দিকে যে মেয়ের কোন খবর কেউ রাখে না তার মা বাবা থাকা সবত্তেও সেই দিক বিবেচনাকরলে এই মানুষ অসাধারণ! আসিফা চেয়ে থাকে আর কিছু বলে না তাকে। চেয়েই থাকে সে আর ভাবে মানুষ এরকম কিভাবে হয়? আসলে ভাষা কোন ব্যাপার না সব মনের ব্যাপার। এই বিদেশি কিভাবে আদৃতা কে যত্ন করছে তাকে।সুস্থ করতে সেটাই দেখে সে। তার চেয়েও বেশিপরিশ্রম করে সে এখন আদৃতার জন্য। বলা যায় আদৃতার চিকিৎসার সকল দায় তার! আরেকদিকে আসিফা আদৃতার ডায়েরি টা নিয়ে যায় তার সাথে বাসায়।আজ রাতে ডক্টর রবার্ট থাকছেন কিন্ত আসিফা যেতে চায়নি আদৃতা কে ছেড়ে রবার্ট তাকে ঘুরে আস তে বলে কিন্ত আদৃতার পাশ থে কে সে নড়ে না।যত কিছুই হোক বিশবাস নেই কারো।এর ফাকে রবার্ট।আদৃতার।বেডে ঘুমিয়ে যায়।আসিফা তখন জেগে আছে। আজ সে পন করেছে আজ সে আদৃতার কাহিনি পড়ে শেষ করবে কিভাবে সে এইখানে আসছে জানবে সে। ১৯৯৭ ৬মার্চ।আমার বাবা হেডমাস্টার এক জিলা স্কুলের। আমি বাবার বড় মেয়ে। বাবা আমাকে অনেক ভাল বাস ত আমিযা চাইতাম তা তিনি না করত না কারন আমার মা বাবা বিয়ের অনেক বহছর পর আমাকে পান। এই কারনে বাবা মায়ের অতি আদরের মেয়ে ছিলাম আমি।আমার অনেক বছর পর আমার একটি ভাই হয় তাও জমজ ভাই আমার। এর এক বছরের মাঝে আমার মা মারা যান কাওরন উনি অসুস্থ হয়ে যান এই দুই জমজ সন্তান কে জন্ম দিতে গিয়ে।আব্বা আমাকে নিয়ে অনেক চিন্তিত কারন ছেলেদের না হয় কোন ভাবে ম্যানেজ করা যাবে কিন্ত আমাকে নিয়ে তিনি কি করবেন? আমার তখন এইচ এস সি পরিক্ষা শেষ। আব্বা চিন্তায় আছেন কি করবেন আমার ব্যাপারে। আত্নিয় রা বিয়ে দিয়ে দিতে বলে আব্বাকে যা আমাদের মত বাংলাদেশের সমাজে একটি সহজ ব্যাপার। মা হারা একটা এতিম মেয়েকে বিয়ে করলে ভাল হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্ত আব্বা শুনেন না।আব্বা আমাকে পড়াতে চান আরো। এর মাঝে আমার এইচ এস স্যার রেজাল্ট এসে গেছে আমি ৪.৫৯পেয়ে পাশ করেছি।আব্বা খুব খুশি।যেন উনার মাথার উপর থেকে বোঝা নেমেছে। তিনি আমাকে নিয়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসাবে যোগদানের জন্য সব ব্যবস্থা করে ফেলেন কিন্ত আমার মাথায় ঘুরছে ঢাকায় পড়ার চিন্তা।ঢাকায় আমার বন্ধুরা সবাই পরিক্ষা দিচ্ছে আর আমি কিনা প্রাইমারিতে শিক্ষক হতে আব্বার পিছু পিছু যাচ্ছি।আমাওর মন সায় দেয় না।আমি ঢাকায় বিশব বিদ্যালয়ে পড়তে চাই। আব্বার কথা ও শুন তে হবে কারন আমাদের সংসারে আব্বা আর আমি ছাড়াও আরো দুই জন আছে যারা ছোট তাদের জন্য হলেও আমাকে কাজ করতে হবে আব্বাকে সাপোর্ট দিতে।আমার আব্বার পক্ষে একা সব করাটা একটু জটিল হয়ে যাচ্ছিল।আমি পরিক্ষা দেই। টিকেও যাই পরীক্ষায় আর এর ভেতরে আমার কাংখিত ঢাকা বিশব বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যাই। আব্বা আর না করেন নাই কারন আমার চাকরি ত হয়েই আছে সুতরাং আমি আমার ইচ্ছে মত সব করতে পারব। কিন্ত...কপালে যেন সুখ সয় নাই।আব্বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান। হাস্পাতাল থেকে বাসা এই করে আমাদের ছয় মাস কেটে যায়।আব্বা সুস্থ হয়ে বাড়ি আসেন কিন্ত উনার মান সিক সমস্যা দেখা দেয় এর জন্য উনি আর ছাত্র পড়াতে পারেন না। এক সময় আমার চাকরি হয়ে যায় আর আমার এই চাকরির টাকায় সংসারে কিছুটা সবস্তি এলেও আমার আব্বার যে মান সিক সমস্যা তা বেড়ে যায়। একদিন একজন সূট পরা।ভদ্রলোক আমাদের বাড়ি আসেন। তিনি আমার আব্বার ছাত্র।তার পোশাক আশাক দেখে মনে হয় তিনি খুব ধনী মানুষ। আমার আব্বাকে তিনি ও আব্বা বলেন। আমার আব্বা তাকে স্নেহ করে আসালান বলেন। আসালান এর মানে কি আমি জানি না।যা হোক অল্প। সময়ে তিনি আমাদের ভাল পারিবারিক বন্ধু হয়ে যান। একদিন হঠাত আমার আব্বা উনাকে চেপে ধরে বলেন বাবা আমার মেয়ের জন্য একটি ভাল ছেলে খুজে দাও কারন আমি অসুস্থ যে কোন সময় মারা যেতে পারি আর মারা গেলে।এই মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে যেতে পারলে আমার এই মরেও শান্তি নাই। আমি জানতাম না আব্বা কি বলেছেন তাকেএর পর চলে যান তিনি আর দেখা করতে আসেন নি। আমার আব্বা একদিন ডেকে আমায় নিয়ে বলেন মা আমি তোকে বিয়ে দিতে চাই।আমি আব্বার অবস্থা চিন্তা করে না করিনি সত্য কিন্ত ভেতরে ভেতরে আমি ও কাউকে ভাল বাসি এটা বলা হয়নাই আসলে অই কম বয়সে সেই সোসাইটি তে প্রেম থাকা লাগবে না এই সত্য ছিল। কিন্ত আমি তখনও আব্বাকে কিছুই মুখ ফুটে বলিনি। একদিন দেখি আসালান বাসায় এসেছে পরনে শেরোয়ানি আর আব্বার সাথে দেখা করতে আসছে আমাকে দেখে ১ম হাসি দিয়ে বলে কেমন আছ?আমিত থ।যে আমাকে কোন দিন কথা বলেনি সে কিভাবে আজ এইরকম নরম সুরে কথা বলতে পারে? আব্বা আমার দিকে তাকান আর বলে মা আমি চাই তুমি এই শাড়ী পরে আস।আমার আর বুঝতে বাকি নেই তিনি তার এই বৃদ্ধ না বৃদ্ধের কাছাকাছি ছাত্রের সাথে বিয়ে ঠিক করে রেখেছে আমি যেই এটা বুঝতে পারি তখন আমি বেহুশ হয়ে যাই, কারন এরকম কাউকে আমার জন্য সাহায্যের জন্য একেই বেছে নিল!আর একাই করল আমাকে।জানাল না। তাহলে এত পড়াশোনা করে ফায়দা কি যদি আমি আমার সিদ্ধান্ত নিতে না পারি। আদৃতা হঠাৎ জেগে যায় সাত্নে রবার্ট ও। আর অইদিকে ডায়েরি টা লুকিয়ে পড়তে থাকা আসিফা আস্তে করে বাতি নিভিয়ে দেয়. i fall in love with you. adrita! robert said! i never think i will feel like this about you and this is my heart for you. অবুঝ আদৃতা ঘুমিয়ে আছে।রবার্টের কথা গুলি আধাঘুমে থাকা আসিফা নার্স শুনে কাদছে।তার হাতে সেই ডায়েরিটা। সে ডায়েরির সবটা পড়ে ফেলেছে।এই মুহুর্ত থেকে তার মাঝে অন্য রকম পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য অনেক কিছুই এখন থেকে অনেক বেশি অন্যরকম।আসিফা তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে আগামি সান ডে তে যেই মেয়েকে সে স্বীকার করে নাই এত গুলি বছর। কারন তার মেয়ে একজন ধর্ষিতা।আমেরিকা আসার পর সে হেট ক্রাইমের শিকার হয় আর তাকে ধর্ষণ করা হয় আর এরপর সে বাংলাদেশের কমিউনিটি এর সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করেছে কারন তাকে গ্রহইন করেনি কেউ।ধর্ষক ধরা পড়েছে সত্য কিন্ত বিচারে সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পেলেও আসিফার মেয়েটা পাগল হয়ে যায় আর মান সিক রোগি হিসাবে হস পিটালে উঠেছে আজ ১৫বছর। আদৃতা এর ডায়েরি তে লেখা ছিল আমি নিপীড়িত। যউন নিপীড়ন এর শিকার আমি। আমার আপন মামা আমাকে মাত্র ৯বছরবয়সে ধর্ষন করে। আমার মায়ের সামনেই আমার মা বাবা এর বিচার করে নি।এরপর আমাকে জোর করে এক মদ্যপ লোকের কাছে বিয়ে দেয়া হয় আর সেই লোক আমাকে বেচে দিতে চেয়েছিল পতিতা লয়ে আমি বহু কষ্টে বেচে আসি যেটুকু আমার সম্মান আছে এর জন্য কিন্ত আমার জানা ছিল না আমি হার্পিস নামক এক যোন রোগে আক্রান্ত হয়েছি কারন আমার সবামি।আমার অপ রাধ কি? আমি কেন এরকম একটা রোগে আক্রান্ত হলাম? আমি ত এখন আর কাওকে ভাল বাসার যোগ্য রইলাম না।আমি অনেক কষ্টে আমেরিকা আসছিলাম জানে বাচ তে।আমাকে আমার পরিবার আবার সেই চরিত্রহীন মানুষের হাতে তুলে দিতে চায় এর জন্য আমি তাদের আমেরিকান ডলারের লোভ দেখিয়ে বেচেছি সত্য কিন্ত এই বাচার মানে কি? আমি জানিনা তোমাকে আর আমি ভাল বাসব কি না।তোমার সাথে q১ম দেখা আমার অনলাইনে। আমার অদেখা ভাল বাসা ভাল থেকো তুমি! যত দূরেই থাক আমি থাকব তোমার সাথে তোমার পাশে। কিন্ত.... এরকম থাকা জানা ছিল না তার।আবার লাঞ্চিত হয়ে যাবার ভয়ে যে আদৃতা চেনা জনপদ ছেড়ে পালিয়ে ছিল সেই আদৃতা আজ নামহীনা হয়ে এই ম্যান্টাল আস্যাইলাম এ কেন? আসলে কে তাকে এখানে এনেছে? পরেরদিন সকাল.... আসিফা তার ভর্তিকৃত ফর্ম দেখেছে সেইখানে এক বিদেশির নাম লেখা।স্টুয়ার্ড সিম্পসন। অহ! অই কাল মানুষ টা যে কিনা প্রায় ডরমেটরিতে থাকে। যাকে দেখা যায় হস পিটালের ধোয়া মোছা করতে। আসিফা তখনই আস্তে করে ডিউটি রেখে যায় তার কাছে জানার জন্য সে কিভাবে আদৃতা কে পেল। Stuart said i was working like other day she was beside the dustbin and searching food fromthe bin! ijust looked at her and feel she's asian or indian may be! i called her but she didn’t answered me that day! but I felt good after doing from when I talked with her !&said to her will you come with me? I don't know why did this that day but I fee seel good after this. asifaq said, thanks. . আসিফা এখন আদ্রতাকে ইন জেকশান দিতে যাবে আরসেই সময় দেখে রবার্ট দাঁড়িয়ে আছেন। তাকে দেখেই সে বলে।হ্যালো স্যার।রবার্ট ও উত্তর দেয়।রবার্টের হাতে আদৃতার।ডায়েরি। তিনি মনে করেছেন এটা আসিফার তাই তিনি এটা আসিফা কে ফিরিয়ে দিতে দিতে বলছেন তাকে দেখে রেখো। wait sir i need to talk with you. robeert replied what? sir you should know about her. what you mean? please sir do you know what's her name? where she from? and whats her story?and do you know anything? asifa asked dr.robert. Robert just annoyed cause he dont like it. infact no one like it. asifa said sir you must know she's a Bangladeshi and her name is adrita! i Think you check it already.also must know shes a patient of sexual disease! robert just shocked and few min stuck after listening tis! this is her diary asifa telling her on she will die soon. or her whole life she may be like this! im sorry to say this is cause I heard last day your feelings for her. sir, we are the third world people never lie and never cheat you this time she needs a good friend .will you? asifa asked him! আসিফার কথা শুনে রবার্ট একদম থমকে গেছে!তার সকল সবপন যেন শেষ। কাল চোখ আর কাল রঙের প্রতি তার যে আসক্তি তা চলে গেছে এখন হয়তো। কিছুক্ষন পর সে ঘুরে ফিরে আবার আসে। এত দিন সে কি দেখেছে চিন্তা করতে থাকে।সে সোজা আদৃতার রিপোর্ট নিয়ে চলে যায় ল্যাব এ। সে সেক্সুয়ালি একজন পেশেন্ট এটা রবার্ট মেনে নিতে পারছে না কিছুতেই।বিদেশি হলেও ত মানুষ! রক্ত মাংসের মানুষ স্ব একজন তাই তার ভেতর এ এই বোধ কেন কাজ করবে না।দ্রুত আদৃতার ব্লাড সেম্পনল নেয়া হল দেখা হল তার শরীরে কীভাবে এই জীবানু আসছে।আসিফা খেয়াল করল রবার্ট বিমর্ষ।সে অনেক শক্ত প্রান হলেও আজ তাকে অন্য রকম দেখাচ্ছে। সে এর উত্তর বের করে আনবেই এর জন্য যেন দৃড় প্রতিজ্ঞা করেছে। আসিফাকে ধন্যবাদ জানাল সে। সে আরো ডিটেইলস জান তে চায় আদৃতার সম্পর্কে। সেই সময় সম্পর্কে কিভাবে সে এইরকম অবস্থায় আস ল। আসিফা ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন করে রবার্ট কে আদৃতা এর ডায়েরি টা পড়ে শোনাল যার সারমর্ম হল এই যে আদৃতা এর বাড়ি রাজ শা ই জেলায় শহর এলাকায়। ডিভি পেয়ে তাদের পুরা পরিবার আমেরিকা তে চলে আসে। এর পর এক দিন তার মা বাবার সাথে এক পার্টিতে গেলে তাকে নিয়ে যায় এক শেতাংগ ডান্স করতে। আদৃতা নাচ জানে কিন্ত সে কিছুতেই অই লোকটার সাথে নাচার জন্য রাজি হচ্ছিল না। বাবা এসে তাকে নিয়ে যায় যখন সে রাজি হয় নাই আমেরিকা এর মুসলমান কমিউনিটি অনেক শক্ত হলেও অনেক পরিবার নাম কা ওয়াস্তে বাংলাদেশের পরিচয় দেন আদতে তারা না মুসলিম থাকতে পারেন আর না বাংগালী। কালচারাল যে ভেদাভেদ এটা ভুলে যান অনেক মুসলিম। আদৃতার পরিবারেও এটা হল তার মায়ের উচ্চাভিলাস আকাঙ্ক্ষাএর কারনে আমেরিকা এসে আদৃতা এর মা সম্পুর্ন পরিবর্তন হয়ে গেলেন। যে মহিলা বাংলাদেশ এ স্কার্ফ না দিয়ে বাইরে বের হন নি তিনি আজ ক্লাব পার্টি এসবে বিজি।উনার জামাই এখন মাথা ঠুকে বলে আহারে আম রিকা আমাকে তুই কাংগাল করে দিলি। আদৃতা এর মাঝে সেরকম চিন্তা ভাবনা সৃষ্টি হয় কিন্ত সে চেষ্টা করে যেন সে একজন মুসলিম হিসাবেই নিজেকে নতুন পরিবেশে মানায় নিতে। কিন্ত এক দিন তার মায়ের ভুলের কারনে আদৃতা কে রেপ করে এক শেতাংগ ভদ্রলোক। তার মায়ের বন্ধু মদ খেয়ে তাদের বাড়িতে ঢোল হয়ে মাতাল এর মত পড়ে ছিল সে। জ্যাকব নামের এই আমেরিকান এর চোখ আদৃতা এর দিকে ছিল কিন্ত এটা যে এরকম হবে কেউ ভাবেনাই।আচমকা এসে আদৃতার ঘরে চলে যায়সে। আদৃতার মাও টলতে টলতে সেই একই রুমে যায়। তারা শারিরীক সম্পর্ক করে আদৃতার ঘরেই।এর পর যখন আদৃতার মা তার ঘরে চলে যান এর কিছুক্ষণ পর আদৃতার মাতম শুরু হয়।আদৃতার বাবা এসে মেয়েকে বাচাতে গিয়ে আহত হন এবং আদৃতা হয় ধর্ষিত। এর পর সেই ছেলেকে জেলে দেয়া হয় আর এর পর আদৃতা মান সিক রোগি হয়ে যায় আর তার রক্তে পাওয়া যায় সিফিলিস নামক রোগ! এই কাহিনি শুনার পর রবার্ট নিজেকে ধরে রাখতে পারে না কান্না শুরু করে।কাদ তেই থাকে। আসিফাও কাদছে।কিন্তু এই মুহুর্তে কিচ্ছু করার নাই। শুধু অপেক্ষা তাকে সুস্থ করে তোলা। I don't know why God give me this? please god save my love. for the first time Robert going to pray! suddenly his mom entry in his room and said dear are you sad? yeah mom she's sick suffering from a disease of syphilis. It's kind of dead news for me. Time 2022 1.30pm evening asifa is in her bedroom.writing the story of love about adrita n the doctor robert;she back in bangladesh in her old city comilla. asifa come back bangladsh. she is retired now. suddenly she find the photograph and roaming in the memories. that doctor treat adrita and tired to save her life she wrote in the diary but for the infections she died. robert dont go back for her girlfriend she came back again to him but robert deny to settle down with her. now robert come in bangladesh with adritas memories and marry asifa and staying here like a friend !

Comments

Popular posts from this blog

কুয়াশা

কবিতার ভালোবাসা ......

Muslim(মুসলিম)