অব্যাক্ত ভাল বাসা

আজ আম রা প্রেম করছি কত বছর হল?? কেন?? প্রশ্ন হাবিবের...  তারা র দিকে  সুচা লো চোখে তাকায় সে...
আমার ব্রেক চাই!!!  কি???? হাবিব লাফিয়ে উঠে বলল  কী বলছ তুমি?? পাগল তো হয়ে যাও নি......
তোমার মতন  ছেলের সাথে প্রেম করাটা আমার ভুল হয়ে গেছে...... তারার সহজ উত্তর। কেন??  কারন আমি ভেবেছিলাম তুমি দায়িতব হীন থাকবে নাহ কিন্ত গত ৪বছরে আমার এই  ভাবনা পালটে গেছে!!! তাই  আমি ঠিক করেছি আমার ব্রেক চাই......... হাবিব নিরু ত্তর ঘটনার কিছু বুঝে উঠার আগেই গালে একটা চড় যে বসে গেছে তা সে টের পেল  যখন বন্ধু রাফি তাকে প্রশ্ন করে কিরে তোকে এইরকম চিনহ দিয়ে গেল কে??
হাবিবের মন খারাপ প্রেমিকার হাতে মার তো খেয়েছেই তার উপর ব্রেক আপ!!!!! সে কিছুতেই এইটা মানতে পারছে নাহ!!!! কারন সে এমন কিছুই করেনাই যার কারনে তারা তার উপরে এইরকমখেপে গেছে।।অবশ্য আগেও এরকম হয়েছে কিন্তু আজকের টা সিরিয়াস............  হাবিব গালে চড় খেয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছে কেন এমন করল তারা?? ............
৭দিন পর......
 হাবিবের গাল এর দাগ ভাল হয়েছে সে এখন তারার সাথে ফেস টু ফেস কথা বলতে চায়  কেন তারা এইরকম আচ্ রন করল জানার জন্য ... এর মাঝে বন্ধু রাফি কে সব কিছু বলা হয়ে গেছে...... রাফি আর হাবিব বসেছে আর এক বন্ধু সায়মনের বাসায়, তুমুল আলোচনা্‌;তারা কে নিয়ে সিদ্ধান্ত হল যে করেই হোক তারার সাথে হাবিবের সম্পর্ক ঠিক করতে হবে। কিন্ত কিভাবে?? তারার বান্ধবি দিয়া কে খবর দেয় হাবিব আর তার বন্ধুরা।। হাবিব তো চড় খেয়ে চুপ কিন্ত বন্ধুরা তাকে প্রতিবাদ করতে বল ল কিন্তু নরম মনের মানুষ বেচারা হাবিব সে বল ল আমারি দোষ ছিল আমিই অন্যায় করেছিলাম ওর জন্মদিনে ওকে আমি বেড়াল গিফট করেছিলাম!!!ভেবেছিলাম ও খুশি হবে কিন্ত এইরকম ভাবে ব্রেক আপ আমি ভাবিনি............ মুখ লুকায় সে... রাফি বলে উঠে তুই বেটা মেয়ে মানুষের চড় খেয়ে এসে আবার বলিস  নিজের দোষ!!আমার গার্ল ফ্রেন্ড এইরকম করলে তো আমি তারে..................
মেয়েমানুষ কে মাথায় তুলতে নাই বুঝলি?? হাবিব হাসে রাফির ক থায়। সায়মন আর জিকু হাবিবের আর ২বন্ধু এসে জুটে তাদের সাথে। কি আর করা আমাদের কপাল খারাপ আমাদের বন্ধু হাবিব গার্ল ফ্রেন্ড এর হাতে মারের চিনহ নিয়ে এসে আমাদের প্রেস্টিজ় এর ১২টা বাজায় দিসে এখন ব্যাপার হল বাকিরা যেন এই ব্যাপার টা না জানে আই মিন রাফির গার্লফ্রেন্ড যদি এই কথা জানে তাহলে পই পই করে বলে রাখছি আমি, ছেড়ে কথা বলবে নাহ রাফিকে......মুচকি হাসির সাথে বলছে জিকু......
রাফির মাথা গরম হয়ে যায় জিকুর কথায়...দৌড়ানি দেয় জিকু কে জান বাঁচাতে সে যায় হাবিবের কাছে হাবিব থামায় রাফিকে ...এই অবস্থায় তারার বান্ধবির সামনে পড়ে যায় জিকু!!!!!মাত্র ইন করল  দিয়া!!বেচারা জিকু...... এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়বে ভাবে নাই মনে মনে গালাগাল করতে লাগ ল রাফি কে  তার কারনে মান্ সম্মান যাওয়ার উপক্রম......
আসসালামু আলাইকুম আমি দিয়া ...তারার বান্ধবি...... জিকু কাচুমাচু  করে তারার সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বস্ তে বলে ভেত রে হাবিব কে ডাক দিল। হাবিব ,জিকু,সায়মান আর রাফি ৪জন ই আস ল।দিয়া এক টু ভয় পেল কারন সে হাবিব ভাই কে চেনে সাথে যে তার বন্ধুরা আসছে...অপ্র স্তুত দিয়া।হাবিব অভয় দিয়ে বলল দিয়া ভয় পেও না এরা আমার বন্ধু ... তারা কেমন আছে?? তোমার সাথে কি ওর কথা হয়েছে?? হাবিব খুব ই আকুল তারার কথা জানতে......। হাবিব ভাই আপনি চিন্তা করবেন নাহ ও খুব ভাল আছে আর আপনি তারার  সাথে যোগাযোগ করেন না কেন?? হাবিব নিশ্চুপ কি বলবে?? অম্ নি জিকু বলে উঠল কিভাবে যোগাযোগ রাখবে  আপনার বান্ধবি যেই ডেঞ্জারাস মেয়ে আমার ভোলা ভালা বন্ধুকে যা আআ...... সায়মন জিকুর মুখে হাত দিয়ে দিল।দিয়া থ!! কি হচ্ছে এইসব?? এক টূ বলেন তো হাবিব ভাই?
দিয়া... তোমার বান্ধবি আমার সাথে রিলেশান ব্রেক আপ করেছে আর......
আর?? দিয়ার প্রশ্ন
গাল ঘুরায় দেখাল হাবিব তারার কীর্তি!!!!!
দিয়া হাসছে... হা হা হা হাবিব ভাই  আপনি এত ভাল কেন??কেন তারাকে এক টা বকা পর্যন্ত দেন না??এই নিয়ে সে ৮বার ব্রেক আপ করেছে আপনার সাথে কিন্ত সে নিজেই আবার এসেছে আপনার কারনে...  এত কিছুর পর ও ছেড়ে থাকতে পারেন নাহ......
হাবিব চুপ।আমি অনেক ভাল বাসি তারা কে দিয়া কিন্ত আমার মাথায় ওর মত বুদ্ধি নাই এইটাই প্রব লেম।আর আমার এই বন্ধুগুলি এত কিউট যে তারা জানে আমি কোনভাবেই তারা কে ছাড়া চলতে পারব নাহ তাই তারা আমার এই সমস্যার কথা জেনেও আসছে। আর তুমিই বল আমি কি করতে পারি এখন??
দিয়া এখন চুপ...আমাকে ভাবতে দিন। আমি জানি আপনি গত ৭দিন কেদেঁছেন তারার জন্য কিন্ত তারা যে ঘুরে বেরিয়েছে আমাদের নিয়ে এই খবর ও আপনি জানেন ,ভাইয়া যে মেয়ে আপনাকে এক টু কদ্ র করে না তার পিছে কেম নে আপ্নি??আজব মানুষ আ্পনি... হাবিব চুপ।সায়মন বলএ উঠল এই মেয়ে তুমি আমার বন্ধুকে সমস্যার সমাধানে হেল্প করবে নাকি লেকচার দিতে আসছ??হাবিব তাকে থামায়। সায়মন বলে তুই চুপ থাক আমরা জানতে চাই এইরকম চড় দেয়ার কারন কি হাবিবকে??সে হয়ত কিছু বলে নাই কিন্ত এইভাবে একটা ছেলের গায়ে হাত তোলার মানে কি??তোমার বান্ধবির এত সাহস কি করে হয়?? দিয়া দাড়িয়ে যায় ......ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়ার আগেই হাবিব সায়মন কে থামায় তোরা চুপ কর সব। আমি কোন সমস্যা চাই না আমি চাই তারা ফিরে আসুক।
বন্ধুরা মন ছোট করে যা তুই আরো একটা চড় খা গিয়ে............।কিন্ত আমরা যাব না তোর সমস্যা সমাধান করতে।
প্লিজ থামুন আপনারা। দিয়া ব লে উঠে। ঝগড়া না করে সমস্যার সমাধান করা দরকারি। সবাই চুপ হয়ে যায়।আসলে
আমরা যদি তারা আর হাবিব ভাই কে একসাথে করতে চাই তাহলে আমাদের ১ম এ তারার সাথে আলাপ করতে হবে জানতে হবে সে কি চায়??এইভাবে তো চলা মুশকিল তাই নাহ হাবিব ভাই??হাবিব মাথা নাড়ে। বাকি রা ও একমত হয়
ঠিক আছে আমি তারার সাথে আলাপ করব আগামিকাল।কিন্ত সেই পর্যন্ত আপনাদের অনুরোধ কেউই হাবিব ভাই কে কুপরামর্শ দিবেন নাহ প্লিজ কারন বন্ধুর ভাল করতে গিয়ে যদি ভুল হয় তাহলে তার জন্য আপনার ও দায়ি থাকবেন।
চলি।দিয়া বেরিয়ে যায়।।
বুদ্ধিমতি মেয়ে!!জিকু বলে হাবিবের দিকে তাকিয়ে তুই এই মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারলি নাহ??বেকুব কোথাকার!!
আচ্ছা তুই যেহেতু পারিস নাই আমাকে বল আমি ট্রাই করব । হাবিব এইবারে খেপে যায় আমার জীবন মরন সমস্যা আর তুই আছিস তোর তালে.....................

রাফি আর সায়মন ডাক দেয় তাদের রাতের ডিনার করতে ......সেই বাড়ীতে রাত কাটায় তারা...
হ্যালো ?? কে তারা??
ওপাশ থেকে তারা বলে দিয়া?? কেমন আছিস??
দিয়া জিজ্ঞেস করে তারা তুই হাবিব ভাই কে কি বলেছিস আর কি করে আসছিস?? তারা বলে দেখ আমি আর এই ব্যাপারটাই নাই।
কেন?? দিয়ার প্রশ্ন। তুই কি আমাকে এই কথা বলার জন্য ফোন করেছিস? হু দিয়ার সরাসরি উত্তর। তারা ফোন কেটে দেয়।
 ৩মাস পর.........
দিয়া র বিয়ে,
বন্ধুরা প্রায় সবাই এসেছে,শুধু তারা বাদে,হাবিবের বন্ধুরাও উপস্থিত।তাদের চোখ এখন তারা বিয়েতে আসছে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায়,দিয়াকে সবাইই উইশ করছে কিন্ত দিয়াকে উইশ করতে তারা আসবে নাহ এইটা কেউ ভাবে নাই। হাবিব ও আসছে বিয়েতে, কারন দেখা হবে তারার সাথে এই আশায়, তারাকে কন্টাক্ট করে পাওয়া যায়নি,দিয়ার মন খারাপ তারা ওর বেস্ট ফ্রেন্ড কিন্ত সে এল না..... সবাই ই তারার আসার অপেক্ষায়, দিয়ার হাজবেন্ড দিয়াকে প্রশ্ন করল কি ব্যাপার আমি থাকতে কার জন্য গেটের দিকে তাকিয়ে আছ?? দিয়া হেসে ফেল ল। আমার এক বন্ধুর জন্য সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।

হলিফ্যামিলি হাস্পাতাল......... তারার মা বাবা ২জন ই হাটছেন। ডাক্তার আসেন আর যান এক টু  পর পর। তারার ব্রেনের একটা সমস্যা ধরা পড়েছে কেউই জানে না  হঠাত ই চেহারা ভুলে যাওয়া একজিনিস কে ২বার খোজা এইরকম কিছু সাইন দেখছেন ডাক্তার, তারার ছোট ভাইটা কাদঁছে আপুনি কি আর ভাল হবে নাহ ?? তার প্রশ্ন...
বেডে শোয়া তারা তার ভাইটি কে ডেকে বল ল শোন দিপু আমার একটা কাজ করে দিবি?? কি কাজ আপুনি? আমি তোকে দিয়ার বিয়েতে যেতে বলছি তুই এ্ক টু যা...দিয়া জানে না আমার এই অবস্থা।।দিপু বল ল হাবিব ভাইকে জানাই?? তারার উদাস দৃষ্টি ...... না............ কেন?? কেন আপুনি?? আমি চাই না সে আমাকে এই অবস্থায় দেখুক,তার কাছে আমি যেভাবে ছিলাম সেইরকমই থেকে যেতে চাই। এ তোমার কেমন ভাল বাসা আপুনি??তুমি নিজেকে এইভাবে আড়াল করছ কেন? জানিস পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে বরাবরই আমার মত পাগল কিসিমের!!!!! আনন্দ গুলি তাদের কাছে অল্প সময়ের জন্য... তারা উপরে দেখায় একরকম আর ভেত রে অন্যরকম তাদের বোঝা আসলেই দায়...... তারার উদাস হাসিমাখা জবাব। তারা আরো বলতে থাকে আজ আমি হাবিবকে অনেক মিস করেছি কিন্ত তার গালে যে চড় টা দিয়েছি তার কারন সে যেন আমাকে ভুলে যায় কিন্ত ব্যাপার কি জানিস সে আসলেই আমাকে অনেক ভাল্ বাসে যার যোগ্য আমি নই,তাকে এত জালিয়েছি যেন সে আমার থেকে দূরে সরে যায় কিন্ত সে আমাকে সরে যেতে দেয়নি...... হু হু করে কেদেঁ উঠে তারা আমি যে মারা যেতে পারি যে কোন সময় সেই কথাটা বলার মতন সাহস আমার হয় নাই কারন বড় লোভী আমি হাবিবের ভালবাসার্‌, আমি কি করব বলতে পারিস দিপু??
দিপুর চোখ বেয়ে অশ্রু.........আপুনি তোমার কিছুই হবে নাহ দেখো... মিথ্যা আশা দিস নাহ আমাকে আমি জানি বাবা মা তিল তিল করে যে টাকা রেখেছে ...আমার জন্য তার কিছুই থাকবে নাহ... তার চে যে কয়দিন বেচেঁ আছি আমি সেইকয়দিন আনন্দে কাটাই,দিপু কাদঁছে......... ভাই আমার তুই যাহ দিয়ার বিয়েতে আমি এক নজ র হাবিবকে দেখতে চাই শেষবারের মত ন।দিপুর নিঃশব্দ হাহাকার.........ওকে আমি যাচ্ছি।
ওদিকে দিয়ার বিয়েতে সবাই ই খুশি আড্ডায় ব্যস্ত, সায়মন,রাফি, হাবিব একপাশে আর জিকু বসেছে দিয়ার কাছে... আহা কি সুন্দর লাগছে ২জন কে তাই নাহ??রাফি বলে উঠল। বাকিরা মাথা নাড়ে কিন্ত হাবিবের সেইদিকে খেয়াল নেই সে তাকিয়ে আছে গেটের দিকে, হাবিব এই হাবিব কিরে মড়ার মতন হয়ে আছিস কেন?? তারা কে কল দিয়ে লাভ নাই ও আর আসবে নাহ ওর আশা বাদ দে জাস্ট মুভ অন দোস্ত। হাবিব নিরুত্ত্ র, তারা আসবে এই আশায় বসে আছে সে.........চড় না হয় একটা বেশিই দিবে গালাগাল দিবে কাজকর্মের জন্য কিন্ত সে অবশ্যি আসবে এই এ্কটা আশায় সে বসে আছে,
দিয়ার পাশে দিয়ার বর বসে  আলাপ করছে সবার সাথে ঠিক সেইমুহুর্তে দিপু কে গেটের কাছে দেখে হাবিব দৌড়ে যায় ,দিপু এতদিন কোথায় ছিলে তোমরা??? আমি তোমাদের বাসা পর্যন্ত গিয়ে ফেরত এসেছি,পরে খোজঁ নিয়ে জানি তোমরা চলে গেছ বাসা ছেড়ে, দিপু কাঁদছে ভাইয়া আপনি আপুনি কে মাফ করে দিয়েন... কেন??কি হয়েছে??হাবিবের প্রশ্ন।ভাইয়া আপুনি অনেক অসুস্থ ব্রেনের একটা নার্ভ এ অক্সিজেন আর ব্লাড সারকুলেশান ঠিক মত হয় নাহ......হাবিব থ!!আপুনি আমাকে বলতে না করছিল আপনাকে কিন্ত আমি বলে দিলাম  আপুনির এই সমস্যা অনেকদিনের  সেকারনেই হয়ত আপুনি এইরকম করত আপনার সাথে, তার ইচ্ছা ছিল আপনাকে বিয়ে করবে কিন্ত .........
হাবিব একটা মুহুর্ত  আর শুনল নাহ... রাফি... রাফি এই রাফি আমি বিয়ে করব এক্ষুনি... রাফি সহ বাকিরা থ!! কি হল হঠাত!! হাবিব কি বলছে এসব!!তারা ভাবল তারার শোকে সে বিয়ে করবে কিন্ত পাত্রি???আর হাবিবের সাথে দিপু ??? ঘটনা কি?? কিছুই বুঝতে পারছে না সবাই
সায়মন রাফি জিকু সহ বাকিরা দৌড়ে এল। কি বলছিস তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি দিয়ার বিয়ে দেখে?? নাহ আমি আজকেই বিয়ে করব এবং তা এক্ষুনি !! কাকে বিয়ে করবি??রাফির প্রশ্ন?সেসব পরে জানবি এক কাজ কর দিয়ার বিয়ের কাজি কে বল আমাদের সাথে গাড়ীতে আসতে, আর জিকু তুই যাহ বিয়ের  শাড়ী কিনে আন বন্ধুরা  থ কি বলছে হাবিব আর কি করছে !!! সায়মান বলে উঠে তোর কি মাথা ঠিক আছে??কি করছিস এসব??আমার মাথা সম্পুর্ন ঠিক আছে যদি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে থাকিস গাড়ী নিয়ে চলে আয়, আর কথা বলবি  না, কিন্ত আমরা যাচ্ছি কোথায় জিকুর প্রশ্ন ...গেলেই দেখবি হাবিবের উত্তর ,আর দিপু ??তুমি তারার ভাই নাহ??সায়মান সিউর করে... হু বলে দিপু,কি হয়েছে ??দিয়া এরই মাঝে এসে গেছে বর সহ,কিছু নাহ দিয়া তুমি যাও এখন দিয়া পরে সব বল ব।হাবিবের উত্তর, দিয়া কিছু বলার আগেই ৪বন্ধু এক গাড়ীতে দিপু কে নিয়ে সরাসরি হাস্পাতালেরদিকে রওয়ানা হল।
ডাক্তার সাহেব আমার মেয়েটার কি অবস্থা??তারার মা জানতে চান। ডাক্তার আহমেদ নিউরোমেডিসিন এর ডাক্তার তিনি একটু চিন্তিত কারন তার ভয় এই নার্ভটা ফুলে যদি জমাট বেধে যায় তাহলে সেটা ব্রেন টিউমার পর্যন্ত যেতে পারে।তাই উনার আশা যে তাড়াতাড়ি ট্রিট মেন্ট শুরু করা কিন্ত......
হাবিব্ ও তার বন্ধুরা হাস্পাতালে পৌছে গেছে,রাফি এতক্ষন চুপ ছিল এখন প্রশ্ন করে বস্ ল কিরে তুই না বিয়ে করবি কিন্ত হাস্পাতালে কেন??পাত্রি কি ডাক্তার নাকি ?হাবিব মাথা নাড়ে নাই  দিপু কে দেখে ও যে রাফি গাধার মত প্রশ্ন করে বসেছে এইটা সবাই বুঝলেও সে বুঝে নাই।
রাফি তোর মুখ টা বন্ধ কর।আমি আবার কি করলাম?প্লিজ চুপ  কর হাবিব এইবার বলে উঠে।হাবিবের গায়ে বরের পোশাক নেই কিন্ত তার ভেত রে কি যাচ্ছে সেইই জানে।সোজা কেবিনের দিকে যেতেই নার্স একজন তাদের আটকায়,কি ব্যাপার আপনারা কারা আর এইরকম পোশাকে কোথায় যাচ্ছেন??তারার মা বাবা হাবিবকে চেনেন না কারন তারা হাবিবের ব্যাপারএ তাদের কিসসু জানায় নাই হাবিব আজকে অন্যরকম,ডাক্তারকে ম্যানেজ করে তারার রুমে সবাই ঢুকে যায় সাথে বিয়ের কাজি। তারার বাবা মা অপ্রস্তুত... কি হচ্ছে এসব?? বন্ধুরা থ হয়ে তামাশা দেখছে কারো মুখে টু শব্দ নেই তারাকে হাস্পাতালে দেখে সায়মন,রাফি জিকু থ !!!তাকিয়ে আছে একে অন্যের দিকে।কাজি সাহেব বিয়ে পড়ান হাবিবের সহজ আর্জি!!তারা চোখ মেলেছে তখনি,বিস্ফারিত নেত্রে তাকায় হাবিবের দিকে!!! সে কি ভুল দেখছে নাকি !!!!!হাত দিয়ে ছুয়ে দেখল হাবিবকে !!নাহ আসলেই হাবিব, হাবিব তারাকে কিছুই বলার সুযোগ না দিয়ে বলতে লাগ ল তুমি আমাকে কি ভেবেছিলে??বাকি সব ছেলেদের মতন আমি??সার্থপর?? তুমি কি জান না আমি তোমাকে কত ভাল বাসি তুমি যতদিন বেচে থাকবে আমি তোমাকেই ভাল বাসব আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই  তারা এক্ষুনি... তারার চোখে জল।।কাজি সাহেব বিয়ে পড়ালেন, বিয়ের শাড়ীটা তারার শরীরে জড়িয়ে দিল তারার মা
এর মাঝে রাফির জোক শুরু হল। তারা তুমি যা একখান দেখালে!! আচ্ছা হাবিব আমার একটা প্রশ্ন তারার যদি কিছু হয়ে যায় তাহ্ লে কি তুই আর একটা বিয়ে করবি?? তারার সাম্ নেই ...। সায়মন হাস্ ছে রাফির কথায়।।জিকু এতক্ষনে একটু উদাস কারন দিয়াকে প্রেম নিবেদন করবে করবে মনে করে আজকে তার বিয়ে খেয়ে আস ল সাথে হাস্পাতালেই হাবিব তারা কে বিয়ে করে ফেলেছে!!!!
বন্ধু হাবিব তো বিয়ে করল এখন আমাদের কি হবে?? সায়মানের প্রশ্ন ..আমি ভাবছি অন্য কিছু রাফির কথায় ঘুরে গেল টপিক!!!   হাবিব আজকে যা দেখাল তা আস্ লেই বেশ সাহসি কাজ কিন্ত ও কিভাবে এইটা করল?? আসলে মানুষ যে রিয়েল লাভ করতে পারে হাবিবকে না দেখলে আমরা বুঝতাম নাহ কি বলিস জিকু?? হু? জিকুর উত্ত র.. কিরে তুই কই আছিস??রাফির প্রশ্ন... এই করতে  করতে সবাই রাত টা হাস্পাতালেই কাটাল,..
এদিকে তারা আর হাবিব..... আমি ভাবি নাই তুমি আমাকে এত  বেশি............  কাঁদছে তারা... আমি জানি আমি তোমার যোগ্য না কিন্ত এর পর ও................. হাবিব তারাকে চুপ করিয়ে বলে তুমি আমাকে আজো চিন্ তে পারো নাই ,অবশ্য এইটা আমার কারনেই, আমি  তোমার কাছে হাবাগোবা থেকেছি সরি তারা...
তারার চোখে আনন্দের অশ্রু কারন  তার হারিয়ে যাওয়া আনন্দ গুলি যা কখন ই ফিরে আসার কথা ছিল না তা আজ তারার হাতের মুঠোয়...মনে হচ্ছে আকাশের চাদঁ হাতে পেয়েছে সে জ্যোৎস্না ভরা রাতের আলোয় ২জনের  অব্যাক্ত কথাগুলি যেন ফুটে উঠছে............নতুন ভোরের আলোয়  শুরু হল  অব্যক্ত ভাল বাসার নতুন কাহানি !!!!!!!!!!!! 

Comments

Popular posts from this blog

কুয়াশা

কবিতার ভালোবাসা ......

বঙ্গাসন—গুরুজী